বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সিসিক নির্বাচন: সহজ হিসেবে জটিল সমীকরণ

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে চমক। শুরুতেই দলের মনোনয়ন পেয়ে চমক দেখালেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এই নেতা দলের ১০ প্রার্থীকে পেছনে ফেলে নৌকা প্রতীক লাভ করতে সমর্থ হন।

আর বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এখনো গেম খেলে যাচ্ছেন স্বভাবসুলভ ভঙ্গিমায়। তিনি ‘রেড’ ও ‘গ্রিন’ সিগন্যাল ঘোষণাতেই আটকে আছেন। এমনকি যুক্তরাজ্যে নিজ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করার পরও ঘোরে রেখেছেন ভোটারদের।

এদিকে প্রার্থী হতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন বিএনপির সাবেক দুই ডাকসাইটে নেতা। এরমধ্যে বদরুজ্জামান সেলিম ‘যদি’ অপশন রেখে নিজের প্রার্থীতা বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তবে অপর নেতা সামসুজ্জামান জামান কিছু না বললেও তার অনুসারীরা বলছেন, প্রার্থীতা বিষয়ে ভোটারদের চাপ রয়েছে। তাদের অনুরোধ ও সমর্থনকে সম্মান জানাতে শেষ পর্যন্ত তিনি প্রার্থী হতেও পারেন। মোট কথা- সিসিক নির্বাচনে সহজ হিসেব এখন জটিল সমীকরণে।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী
সিলেট-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচনে প্রার্থী হতে বেশ আগে থেকেই প্রচার চালান আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতেই একটি গ্রিন সিগন্যালে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। ২২ জানুয়ারি দেশে আসেন আনোয়ারুজ্জামান। এ সময় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে মোটর শোভাযাত্রা করে তাকে নিয়ে আসা হয় নগরীতে। দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং হজরত শাহজালাল (র.) মাজার জিয়ারত করেন আনোয়ারুজ্জান চৌধুরী।

এ সময় দলীয় নেতা-কর্মী এবং গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি জানান, দলীয় প্রধানের নির্দেশেই সিলেট এসেছি। তিনি নগরবাসীর জন্য আমাকে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এতেই তার মনোনয়নপ্রাপ্তির বিষয়টি অনেকটাই খোলসা হয়ে যায়। তখন থেকেই বিরামহীন চষে বেড়াচ্ছেন নগরের অধিকাংশ ওয়ার্ড। অতি অল্প দিনে জনমত জরিপে ভোটারদের কাছে তিনি একটি শক্তিশালী অবস্থানও তৈরি করে নেন। তবে দলের অপর মেয়র প্রার্থীরা শুরুতে আনোয়ারুজ্জামানের প্রার্থীতা ঘোষণার বিষয়টি সহজভাবে মেনে না নিলেও জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একটি বৃহৎ অংশসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা পাশে ছিলেন আনোয়ারুজ্জামানের। তবে শেষ সময়ে এসেও সকলেই অভিনন্দন জানিয়েছেন দলের মনোনীত প্রার্থীকে।

নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, বিভাজন ভুলে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করলে বিজয়ী হওয়া সহজ হবে।

আরিফুল হক চৌধুরী
সিলেট পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা করা হয় ২০০২ সালে। প্রথম নির্বাচন হয় চারদলীয় জোট সরকার আমলে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। তিনি পৌরসভা থাকাকালে চেয়ারম্যান থেকে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পরে ২০০৮ সালে কারাগারে থাকা অবস্থায় দ্বিতীয়বার বিজয়ী হয়েছিলেন কামরান। তৃতীয় নির্বাচন হয় ২০১৩ সালের ১৫ জুন। এ নির্বাচনে কামরানের সঙ্গে মেয়র পদে ওয়ার্ড কমিশনার থেকে মেয়র পদে প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিএনপি– সমর্থিত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। ‘পরিবর্তন’ আওয়াজ তুলে আরিফুল হক চৌধুরী ৩৫ হাজার ১০০ ভোটের ব্যবধানে কামরানকে হারিয়েছিলেন। ২০১৩ সালের নির্বাচনে আরিফুল হক পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭ হাজার ৩৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বদরউদ্দিন আহমদ কামরান পেয়েছিলেন ৭২ হাজার ২৩০ ভোট। তাদের ভোটের ব্যবধান ছিল ৩৫ হাজার ১০০। ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হন আরিফুল হক চৌধুরী। ওই নির্বাচনে আরিফুলের প্রাপ্ত ভোট ৯২ হাজার ৫৯৩ ভোট। অন্যদিকে বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের প্রাপ্ত ভোট ৮৬ হাজার ৩৯৭ ভোট। এবার তৃতীয় বারের মতো মেয়র পদে প্রার্থী হচ্ছেন-এমনটি শোনা গেলে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এখনো নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, আরিফুল নির্বাচনে অংশ নিলে বদরুজ্জামান সেলিমও অংশ নিতে চান নির্বাচনে। আরিফুল ও বদরুজ্জামান একই দলের নেতা হলেও স্থানীয়ভাবে তাদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এদিকে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা সামসুজ্জামান জামানও প্রার্থী হচ্ছেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে এই দুইজন প্রার্থী হলে বেকায়দায় পড়তে পারেন আরিফুল হক চৌধুরী।

সামসুজ্জামান
নব্বইয়ের দশকে ছাত্ররাজনীতিতে মাঠ কাঁপানো নেতা সামসুজ্জামান জামান। মেধা, যোগ্যতা ও আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজ যোগ্যতায় স্থান করে নেন বিএনপি’র রাজনীতিতে। পরবর্তীতে অভিভাবক সংগঠন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে যুক্ত হন স্বেচ্ছা সেবকদলের রাজনীতিতে। দূরদর্শী এই নেতার হাত ধরেই সিলেটে প্রতিষ্ঠা পায় স্বেচ্ছাসেবক দল। আর স্বেচ্ছাসেবক দলই হয়ে উঠে সিলেটে আওয়ামী লীগের আতঙ্ক। সিলেট জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটিতে ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করার অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট সামসুজ্জামান কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সামসুজ্জামানের ঘোষণার পর তার অনুসারী বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের জেলা ও মহানগর পর্যায়ের প্রায় তিনশ পদধারী নেতা কয়েক দিনের ব্যবধানে পদত্যাগ করেন।

সিসিক নির্বাচনে প্রার্থীতা বিষয়ে সামসুজ্জামানের অনুসারীরা বলছেন, বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেও দল ও দলের বাইরে সামসুজ্জামানের এখনো একটা বিশাল কর্মীবাহিনী রয়েছে। সম্প্রতি একাধিকবার তিনি তার সমর্থক কর্মীদের নিয়ে নানা ধরনের সভাও করেছেন।

উল্লেখ্য ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সামসুজ্জামান মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃতীয় হন। এখন নগরে তার অবস্থান আরও পাকাপোক্ত হয়েছে বলে মনে করেন সামসুজ্জামানের সমর্থকেরা।

বদরুজ্জামান সেলিম
২০১৮ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন তৎকালীন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তখন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হন। যদিও শেষ পর্যন্ত দলের অনুরোধে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর সমর্থনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর রাজনীতির দৃশ্যপট থেকে বদরুজ্জামান অনেকটাই ‘উধাও’ হয়ে যুক্তরাজ্যে চলে যান।

বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, একই দলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হলেও মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে বদরুজ্জামানের দূরত্ব আছে। তাই, যদি কোনো কারণে মত পাল্টে বিএনপি নির্বাচনে আসে, তাহলে বদরুজ্জামানও বিএনপির দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। যদি আরিফুল দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, তাহলে বদরুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন।

এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বদরুজ্জামান সেলিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে, বদরুজ্জামান সেলিমের ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, ঈদের পরপরই দেশে ফিরে পরিস্থিতি যাচাই–বাছাই করে তিনি সিদ্বান্ত গ্রহণ করবেন।

নির্বাচনের বিষয়ে সামসুজ্জামান জামান জানান, ‘এরকম কোনো প্রস্তুতি নেই। তবে, দীর্ঘদিন মানুষের কল্যাণে ত্যাগের রাজনীতি করেছি। এর ফলে নগরের শুভাকাঙ্ক্ষিদের অনেকেই যোগাযোগ রাখছেন। চাপেও রাখছেন। তা ছাড়া, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, রাজনৈতিক-সামাজিক অঙ্গনের নেতাসহ সাধারণ মানুষের চাপ আছে।’

তিনি বলেন, জণগণের কল্যাণে যেহেতু রাজনীতির মাঠে ছিলাম, সেক্ষেত্রে সময় এবং সুযোগে তাদের ভালোবাসা ও সম্মানের প্রতিদান দিতে নিজেকে সঁপে দিতে কার্পণ্য করব না।

এ ব্যাপারে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমি সিলেটের ছেলে। এ শহরে ছাত্ররাজনীতি করেই আমার বেড়ে উঠা। সুতরাং সিলেট থেকে কখনোই আমি বিচ্ছিন্ন নই। তা ছাড়া দলের মনোনয়ন পাননি এমন নেতাদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। টানা দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগ নেই নগরভবনে। এই বিষয়টি আমলে নিয়ে সিলেট, দল এমনকি উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। তা ছাড়া, প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখছেন, একইভাবে আমি এ সিলেট নগরকে স্মার্ট নগরে পরিণত করতে চাই। পরিকল্পিত উন্নয়ন ছাড়া কোনোভাবেই এ নগরকে আদর্শ নগরে পরিণত করা যাবে না।

নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, ২১ জুন ইভিএমে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে। ২৩ মে পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৫ মে আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১ জুন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে।

এসএন

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত