আজও ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন চা শ্রমিকরা

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে টানা ১১ দিনের মতো ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন চা শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকরা ৩০০ টাকা মজুরি নির্ধারণের দাবিতে ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন।
মৌলভীবাজারের মুন্সীবাজারের ইলাশপুরে চা শ্রমিকরা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তারা। তবে কুলাউড়ার কালিটি চা বাগানের শ্রমিক মৌলভীবাজার কুলাউড়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা বাগানেও কর্মবিরতি চলমান রয়েছে।
এদিন সকালে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম ও শ্রীমঙ্গলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা বাগানে গিয়ে শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনাদের সঙ্গে কথা বলবেন। দুর্গাপূজার আগেই তিনি আপনাদের সঙ্গে কথা বলবেন। আপনাদের সমস্যা নিরসন করবেন।
এই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া, জেরিন চা বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে ভাড়াউড়া আর জেরিন ছাড়া বাকি বাগানের শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট ঘোষণা না পাওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
কালীঘাট চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি অবান তাঁতি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর নিজের মুখের ঘোষণা চাই। তিনি মজুরি নিয়ে ঘোষণা দিলেই আমরা কাজে ফিরব।
এসজি/
