শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪ | ২৩ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিচারহীনতার ৯ বছর পেরিয়েও বিচার পায়নি গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালরা

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল সম্প্রদায় ৯ বছর পেরিয়েও নিজেদের ভূমিতে অধিকার প্রতিষ্ঠায় সফল হয়নি। ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর সাঁওতাল পল্লীতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং তিনজন সাঁওতালের হত্যার ঘটনার স্মরণে প্রতি বছর এই দিনটি ‘সাঁওতাল হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে তারা। বিচারহীনতার দীর্ঘ পথে আজও সাঁওতাল পরিবারগুলো অপেক্ষায় আছে ন্যায়বিচারের।

বিচারের দাবি নিয়ে বুধবার সকালে গোবিন্দগঞ্জের জয়পুর গ্রামে অস্থায়ী বেদিতে সাঁওতালরা ফুল দিয়ে, মোমবাতি প্রজ্বলন করে। মাদারপুর ও জয়পুর গ্রাম থেকে জাতীয় ও কালো পতাকা, তীর-ধনুক, বাদ্যযন্ত্রসহ একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে গাইবান্ধা শহরে নিয়ে আসে। গাইবান্ধার নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সামনে সমবেত হয়ে, সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি ও বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ আয়োজনে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

২০১৬ সালের হামলার ঘটনায় সাঁওতালদের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হলেও ৯ বছরেও মামলার বিচার কাজ শুরু হয়নি। মামলাটি প্রথমে পিবিআই এবং পরে সিআইডি তদন্ত করলেও, মূল আসামিদের বাদ দিয়ে চার্জশিট দেয়ার অভিযোগে বাদী থমাস হেমব্রম নারাজি দেন। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর আদালত গাইবান্ধার পুলিশ সুপারকে নতুন করে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়।

১৯৫৪ সালে আখ চাষের জন্য গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্মের প্রায় ১৮৪২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়, যার ২৭ শতাংশ ছিল সাঁওতালদের। এই জমি ফিরে পেতে ২০০২ সালে সাঁওতালরা আন্দোলন শুরু করে। ২০১৬ সালের ১ জুলাই সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মের জমিতে বসতি স্থাপন শুরু করলে, সংঘর্ষ বাধে চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী এবং পুলিশের সঙ্গে।

পুলিশ ও চিনিকল কর্তৃপক্ষ কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সাঁওতালদের উচ্ছেদ করে; তবে সাঁওতালরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই বেড়া ভেঙে কৃষিকাজ ও মাছ চাষ শুরু করেছে।

এই বিরোধপূর্ণ জমিতে সরকার একটি অর্থনৈতিক প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছে। সাঁওতালরা ইপিজেডের বিরোধিতা করলেও প্রশাসন এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। সরকার বলছে, ইপিজেড হলে স্থানীয় যুবকদের কর্মসংস্থানসহ বৃহত্তর রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চলের উন্নয়ন ঘটবে। তবে, সাঁওতালরা জমি ফেরতের দাবি জানিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।

সাঁওতাল হত্যা মামলার বাদী থমাস হেমব্রম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "সারা পৃথিবীতে আমাদের ওপর আগুন লাগানোর ভিডিও, ছবি প্রকাশ পেলেও এখনও পর্যন্ত দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।" সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাসকে বলেন, "যে দেশ আমরা স্বাধীন করেছি, সেই দেশে আজ নিজ ভূমিতে বেঁচে থাকা নিয়েও যুদ্ধ করতে হচ্ছে।"

গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর নতুন তদন্ত শুরু হবে, এবং স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।

Header Ad

হামাস-হিজবুল্লাহর হাতেই ইসরায়েলি দখলদারিত্বের সমাপ্তি হবে: খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সাইয়েদ আলি খামেনি। ছবি: সংগৃহীত

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সাইয়েদ আলি খামেনি হিজবুল্লাহর প্রয়াত মহাসচিব শহিদ সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহর সাহস এবং কৌশলগত দূরদর্শিতার প্রশংসা করেছেন, যা লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির উল্লেখযোগ্য শক্তি এবং প্রভাবের জন্ম দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘হাসান নাসরুল্লাহর আল্লাহর ওপর নির্ভরশীলতা এবং তার সাহস, জ্ঞান এবং ধৈর্যের কারণে হিজবুল্লাহ অসাধারণভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে’।

বৃহস্পতিবার তেহরানে ইরানের অ্যাসেম্বলি অব এক্সপার্টস সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে খামেনি এ কথা বলেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, হিজবুল্লাহ এমন এক শক্তি হয়ে উঠেছে, যাকে শত্রুরা পরাজিত করতে পারেনি। যদিও তারা সমস্ত সামরিক, মিডিয়া এবং রাজনৈতিক সম্পদ ব্যবহার করে ফায়দা নিচ্ছে।

তিনি বলেন, সাইয়েদ নাসরুল্লাহ ‘একটি স্থায়ী উত্তরাধিকার রেখে গেছেন। আর তা হলো- হিজবুল্লাহ’। যা গত চার দশকে একটি ছোট যোদ্ধা দল থেকে একটি শক্তিশালী শক্তিতে পরিণত হয়েছে এবং একাধিকবার ইসরাইলি দখলদারিত্বকে লেবাননের এলাকা থেকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছে।

খামেনি বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে যে, হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে গেছে, তারা ভুলের মধ্যে আছে। একদিন গোটা পৃথিবী দেখবে- কিভাবে এই প্রতিরোধ যোদ্ধারা দখলদার ইসরাইলকে পরাজিত করবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘শত্রু এই সংগঠনকে পরাজিত করতে পারেনি এবং ইনশাআল্লাহ তারা কখনও পারবেও না। একদিন বিশ্ব দেখবে যে, ইসরাইলি দখলদাররা এই যোদ্ধাদের হাতেই পরাস্ত হবে’। সূত্র: আল-মায়াদিন

Header Ad

শহীদ নাফিজের দেহ বহনকারী সেই রিকশাটি গণভবনের জাদুঘরে

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ গোলাম নাফিজের দেহ বহনকারী রিকশাটি জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে রাখা হবে। বৃহস্পতিবার গণভবনে নাফিজের দেহ বহনকারী রিকশাটি দেখতে এসে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন।

গণভবনে রিকশা হস্তান্তরের সময় উপদেষ্টা রিকশাচালক নূর মোহাম্মদকে তাঁর সাহসিকতার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন।

গত ৫ নভেম্বর ‘নাফিজের নিথর দেহ পড়ে থাকা রিকশাটি বিক্রি করে দিয়েছেন নুরু’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করে একটি গণমাধ্যম। পরে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তাৎক্ষণিক রিকশা ও রিকশাচালককে খুঁজে বের করার জন্য তাঁর দপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী রিকশাচালক নূর মোহাম্মদ ওরফে নুরুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা (রিকশা) ৩৫ হাজার টাকায় লন্ডনপ্রবাসী আহসানুল কবীর সিদ্দিকী কায়সারের নিকট বিক্রি করেছেন বলে জানান। পরবর্তী সময় আহসানুল কবীর সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিকশাটি জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে হস্তান্তর করার ইচ্ছা পোষণ করেন। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রিকশাটি জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফার্মগেটের পথচারী-সেতুর নিচে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী গোলাম নাফিজ। গুলিবিদ্ধ নাফিজকে পুলিশ যখন রিকশার পাদানিতে তুলে দেন, তখনো তিনি রিকশার রডটি হাত দিয়ে ধরে রেখেছিলেন। রিকশাচালক তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। পরবর্তী সময় এই রিকশার ছবি কাঁদিয়েছে পুরো বাংলাদেশকে।

Header Ad

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ সময় নতুন করে এক হাজার ২০৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৪০৬ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ১০৮ জন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৯ হাজার ৪৫৬ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৭৯৩ জন। মারা গেছেন ৩৩৭ জন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হামাস-হিজবুল্লাহর হাতেই ইসরায়েলি দখলদারিত্বের সমাপ্তি হবে: খামেনি
শহীদ নাফিজের দেহ বহনকারী সেই রিকশাটি গণভবনের জাদুঘরে
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু
পদত্যাগ করলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান
শেখ হাসিনাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করল ভারত
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বাজারে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, খাবার হোটেলে জরিমানা
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জামায়াতের অভিনন্দন
২০ বাংলাদেশিকে ফেরত দিলো আরাকান আর্মি
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত
‘দেশের মানুষের কাছে এই মুহূর্তে সংস্কারের চেয়ে নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ’
নিজেকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে ট্রাম্পকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
‘বিশ্বই যেন বাংলাদেশের কাছে আসে সেভাবেই দেশকে গড়তে হবে’
ভাগ্য খুলতে পারে ২৭তম বিসিএসে বাদপড়াদের
স্মার্টফোনে ইন্টারনেটের গতি কম? জেনে নিন বাড়ানোর কৌশল
সালমানের পর এবার শাহরুখকে হত্যার হুমকি
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চালু হলো বেনাপোল পৌর বাস টার্মিনাল, যানজট নিরসনে আশাবাদ
ট্রাম্পের জয়ে বাড়ল ডলারের দর, বিটকয়েনের দামে নতুন রেকর্ড
বিচারহীনতার ৯ বছর পেরিয়েও বিচার পায়নি গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালরা
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ৫ বাংলাদেশির জয়
প্রতারণা বন্ধে প্রায় ২ লাখ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ ও ৪ লাখ অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত করেছে ইমু