রংপুরে তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীর ওপর জাতীয় পার্টির কর্মী-সমর্থকদের হামলা
ছবি: সংগৃহীত
রংপুর-৩ আসনে তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী জনসংযোগকালে জাতীয় পার্টির (জাপা) কর্মী-সমর্থক দ্বারা হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় রংপুর মহানগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের দেওডোবা বড়বাড়ি মরিচটারি এলাকায় হামলার এ ঘটনা ঘটে।
রানী অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে আমি নিয়ম মেনে প্রচার-প্রচারণা করছি। শুক্রবার বিকেল থেকে ১৪ ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ করে সন্ধ্যায় মরিচটারি মোড়ে এলে দুই থেকে আড়াইশ মানুষ আমাকে দেখতে ঘিরে ধরে। তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় জাতীয় পার্টির কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আমার হাতে থাকা হ্যান্ড মাইক কেড়ে নিয়ে আমাকে ধাক্কা দেওয়া শুরু করে। এরপর তারা প্রচণ্ড গালিগালাজ করে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়।’
রানী আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি বুঝে গেছে রংপুরের মানুষ আর তাদের চায় না। সাধারণ মানুষ আমাকে ভালোবেসে ৭ তারিখ বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। তাই তারা আমার ওপর হামলা করছে। আমিও প্রতিজ্ঞা করছি আমাকে কোনো হামলা বা ভয় দেখিয়ে লাভ নাই। আমি রংপুরের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য মাঠে নেমেছি। কারো ভয়ে আমি পেছাব না।’
নিজের কর্মী-সমর্থক ও উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে হামলায় জড়িতদের ব্যাপারে আইনগত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান আনোয়ারা ইসলাম রানী।
এদিকে অভিযোগের ব্যাপারে রংপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এ ধরণের কোনো অভিযোগ পাইনি। খোঁজ নিতে হবে।’
রংপুর-৩ আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারা ইসলাম রানী। এছাড়াও এই আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের (লাঙ্গল), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আব্দুর রহমান রেজু (একতারা), বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক (ডাব), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সহিদুল ইসলাম (মশাল) এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম (আম) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রংপুর সদর ও সিটি কর্পোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৪ জন ও পুরুষ ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে দুইজন।