তিস্তার পানি বাড়ায় খুলে দেওয়া হলো ৪৪ জলকপাট
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। পানি বৃদ্ধি পেতে থাকায় ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুন) বেলা ৩টার দিকে তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৮৪ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার দশমিক ৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
হঠাৎ তিস্তার পানি বাড়ায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যায় প্লাবিত হতে পারে তিস্তাপাড়ের নিম্নাঞ্চল। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিস্তাপাড়ের মানুষ। এ ছাড়া ফসলের ক্ষেত ডুবে ফসলহানির শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা।
এ প্রসঙ্গে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বেড়েছে। ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম বলেন, পানি বৃদ্ধি পেতে থাকায় শুক্রবার রাতেই ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে পানির প্রবাহ কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এভাবে কমতে থাকলে বিকালের মধ্যে পানি কমে যেতে পারে।
তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় নীলফামারী ও লালমনিরহাটের নদী-তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
তিস্তাপাড়ের বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, হঠাৎ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। পানি বাড়ায় সারা রাতে জেগে ছিলাম। এখন পানি কিছুটা কমেছে।
একই এলাকার কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, তিস্তার পানি হুট করে বেড়ে যাওয়ায় আমরা আতঙ্কে আছি। পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা হলে আমাদের কৃষকের ধান নষ্ট হয়ে যাবে।