রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফিলিপের উপহারে আশার আলো দেখছে সেই অন্ধ পরিবার

অন্ধ বাবা, আর প্রতিবন্ধী ভাইসহ ৫ পরিবারের সংসারে জন্ম নিয়ে সংসারের হাল টানছে মেয়ে রিনা রানী। অভাবের সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে প্রতিদিন শ্রম দিচ্ছে অন্ধ বাবার সঙ্গে। বাড়িতে মায়ের সঙ্গে মাটির জিনিস তৈরির পর হাট-বাজার কিংবা গ্রাম-গঞ্জে ভাঙা সাইকেলযোগে অন্ধ বাবাকে নিয়ে ছুটে রিনা।

বিক্রির সামান্য আয়ে নিত্যপণ্য কেনে বাড়ি ফেরা এখন তাদের নিত্যদিনের গল্প। বলছিলাম ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা আমজানখোর ইউনিয়নের উদয়পুর বালুবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা সুবেশ চন্দ্র পালের পরিবারের কথা। রিনা রানী ছাড়াও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সুবেশের সংসারে রয়েছে দুই ছেলে। লক্ষ্মী চন্দ্র (১৪) ও প্রহ্লাদ চন্দ্র (১৭)। পরিবারের সামর্থ্য না থাকায় তারা অন্যের দোকানে কাজ করে।

কয়েক দিন আগে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বাবা সুবেশ চন্দ্র পালকে সঙ্গে নিয়ে সাইকেলে করে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করতে লাহিড়ী বাজারের পথে হেঁটে যাচ্ছিলেন ১২ বছর বয়সী রিনা রানী। আর সাইকেলের একটি অংশ ধরে পেছন পেছন হাঁটছেন তার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বাবা।

তাদের এমন কষ্টের হৃদয় বিদারক দৃশ্য চোখে পড়ে পার্শ্ববর্তী পাড়িয়া ইউনিয়নের বামুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সসদ্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রথম সভাপতি ভাষা সৈনিক অ্যাডভোকেট মরহুম মুহম্মদ দরিরুল ইসলামের ছেলে আহসান উল্লাহ ফিলিপের। পরে তিনি পরিবারটির বাড়িতে খোঁজখবর নেন। বাস্তবতা বিবেচনায় একটি গবাদিপশু (গরু) দেওয়ার আশ্বাস দেন। শুক্রবার (১২ মে) বিকালে গরুটি তুলে দেন ওই পরিবাটির হাতে। তবে হঠাৎ এমন উপহার পেয়ে অনেকটা খুশি অসহায় সুবাসের পরিবার ওই স্থানীয়রা।

মুনছুর আলী নামে এক শিক্ষক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, জাতির পিতার ঘনিষ্ঠ সহচর ও ভাষা সৈনিক দবিরুল ইসলামের ছেলে আহসান উল্লাহ ফিলিপকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তার মতো আরও কয়েকজন থাকলে এলাকায় এত অসহায় মানুষ থাকত না। আরও উন্নত হতো। তিনি এখন পর্যন্ত অনেককে সাহায্য করেছেন। আজ অন্ধ পরিবারটির পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।

প্রতিবেশীরা জানান, রিনার বয়স যখন ৭ বছর তখন থেকে তার বাবা তাকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। একটি লাঠি নিয়ে রিনা সামনে হাঁটত, তার বাবা সেই লাঠি ধরে পেছনে হাঁটতেন। মেয়েটার বয়স ১১-১২ বছর হওয়ার পর বিভিন্ন লোকজন নানা কথা বলা শুরু করে। এরপর মেয়েটা আত্মসম্মানের কথা বিবেচনা করে মায়ের তৈরি মাটির জিনিসপত্র বাজারে বিক্রি শুরু করে। এভাবেই কোনোমতে তাদের সংসার চলছে। ফিলিপ দাদাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তিনি অন্ধ পরিবারটির পাশে দাঁড়ালেন।

সুবেশ চন্দ্র পাল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমি অন্ধ মানুষ। মেয়ের সাহায্যে রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করি। যে দুইটা বেটা (ছেলে) আছে একটা প্রতিবন্ধী আরেকটা সবল। মানুষের দোকানত কাজ করে। এলাও মাঝেমধ্যে মাটির হাঁড়ি-পাতিল বিক্রি না হলে দোকানে দোকানে ভিক্ষা করিবা যাছু। কাজ তো করিবা পারু না। হামার কথা শুনেহেনে ফিলিপ দাদা আইচ্চে দেখিবা। একটা গরু দিলে আর কোনো সমস্যা হলে ফিলিপ দাদা কহিবা কহিচে।

রিনা রানী ঢাকাপ্রকাশ-কে জানায়, সমাজের আর দশটা মেয়ের মতো তারও ইচ্ছে হয় স্কুলে যাওয়ার, পড়াশোনা করে মানুষ হবার। কিন্তু বাবা আর পরিবারের কথা চিন্তা করে বাড়ির পাশে একটি স্কুলে ভর্তি হলেও তৃতীয় শ্রেণি থেকে পড়ালেখা বাদ দেয়। এখন বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি এবং বাড়ির যাবতীয় খরচ করতে দিন কেটে যায়।

রিনা বলে, আমার বয়সী ছেলে-মেয়েরা যখন স্কুলে যায়, মাঠে ঘাটে খেলা করে তখন তাদের দেখে আমার খুবই কষ্ট হয়। কান্না পায়। আমারও সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুলে যেতে মন চাই। কিন্তু কপাল খারাপ গোটা সংসারটা আমার উপর পড়েছে।

রিনা আরও বলে, বাবার সঙ্গে হাট-বাজারে ঘুরে ঘুরে মাটির জিনিস বিক্রি করি। বেচাকেনা যা হয় তা দিয়েই চলে সংসার। সেদিন ফিলিপ কাকা আসছিলেন আমাদের খোঁজখবর নিতে। বললেন কিছু একটা ব্যবস্থা করে দেবে। সত্যি সত্যি আমাদের একটা গরু দিলেন। এই কষ্টের দিনে ফিলিপ কাকার উপকারের কথা কখনো ভুলব না।

এ বিষয়ে মো. আহসান উল্লাহ ফিলিপ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সুবেশ পাল তার কিশোরী মেয়েকে নিয়ে ফেরি করে বেড়াচ্ছিল এমন দৃশ্য দেখে আমার খুবই খারাপ লেগেছে। পরে আমি পরিবারটি খোঁজ নিয়ে জানি তারা খুবই অসহায়। বাস্তবতা বিবেচনায় আমি তাদের একটি গরু কিনে দেই। সমাজের বিত্তবানদের উচিত এমন অসহায় পরিবারগুলোর পাশে এসে দাঁড়ানো। আমি দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানাব তারা যেন অসহায়দের পাশে এসে দাঁড়ায়।

এসজি

Header Ad
Header Ad

আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক

সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক। ছবিঃ সংগৃহীত

সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হকের ৩ ব্যাংকে মোট ১৬টি ব্যাংক হিসাবের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব হিসাবগুলোতে প্রায় ২১ কোটি টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। যা ইতোমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুদক সূত্রে জানা যায়।

আনিসুল হকের হিসাবগুলোর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক বনানী শাখার ৬টি হিসাবের মধ্যে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে ৫ কোটি টাকা এবং অন্য এক হিসাবে এসসি গোল্ডেন বেনিফিটস নামে ৫০ লাখ ৮১ হাজার টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া, সিটিজেন ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের ৯টি হিসাব থেকে মোট ১৫ কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে নথিপত্র সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। অনুসন্ধান টিম প্রতিবেদন দাখিল করলে কমিশন আইন অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবে।

এ বিষয়ে দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও পাচারের অভিযোগ থাকলেও দুদক দালিলিক প্রমাণ ছাড়া আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে না। আমাদের তথ্য ও সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। যা অংশ হিসাবে তিন ব্যাংকে প্রায় ২১ কোটি টাকা জমা থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং ফ্রিজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই টাকা তার আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলেই আপাতত মনে হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।

আনিসুল হক ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গত ৭ অক্টোবর থেকে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। যার মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অপর এক সহযোগী ফারহানা ফেরদৌস নামে অপর এক নারীর বিরুদ্ধে আসা পৃথক আর একটি অভিযোগও আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করছে দুদকের অনুসন্ধান টিম।

Header Ad
Header Ad

নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা

হুমায়ুনের মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক। ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নরসিংদীর মেহেরপাড়ায় এক ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে নরসিংদীর পাঁচদোনা মেহেরপাড়া বাড়ি আগিণার খেলার মাঠ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

নিহত হুমায়ুন কবির (২৬) মেহেরপাড়া ইউনিয়নের নাগরারহাট এলাকার একরামুল হকের ছেলে। তিনি মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য।

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একই এলাকার বাদল মিয়া, শাহআলম ও আতাউর মেম্বারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল হুমায়ুন কবিরের। দ্বন্দ্বের জেরে ইতোমধ্যে দুই পক্ষ একাধিক মামলা করেছে। গতকাল শনিবার দিনগত রাতে নিহত হুমায়ুন বাড়ির পাশের আঙ্গিনায় ব্যাডমিন্টন খেলছিল। রাত ১২টার দিকে দুটি মোটরসাইকেল যোগে শাহ আলম ও টিপুসহ চারজন হুমায়ুনের বাড়ির সামনে আসে। ওই সময় তারা হুমায়ুনকে ব্যাডমিন্টন খেলা থেকে ডেকে পাঁচদোনা বাজার মাছের আড়ৎ মসজিদের দিকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ত্রাসীরা তার বুকে, পিঠে ও ঘারে পরপর তিনটি গুলি করে। এ সময় সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। গুলির শব্দ শুনে খেলার মাঠ থেকে লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে তারা মটোরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় হুমায়ুনকে হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, হুমায়ুন হত্যার বিচার দাবিতে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এলাকাবাসী।

নিহত হুমায়ুনের বন্ধু ও মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সুজন ভূইয়া বলেন, ‘স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা ছিল নিহত হুমায়ুনের। তার নেতৃত্বেই পাঁচদোনা মেহেরপাড়া ও মাধবদী আন্দোলন হয়েছিল। এসব ঘটনা নিয়ে সে এলাকার অনেকের রোষানলে পড়ে। এসবের জেরে তার বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। প্রাণ বাঁচাতে সে পালিয়ে থাকে। ৫ তারিখের পর এলাকায় আসে। এর মধ্যেই গতকাল তাকে বাড়ির আঙ্গিনা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হলো।’

নিহতের বড় ভাই আল মামুন বলেন, ‘আমাদের ১৭ শতাংশ একটি জমি দখল করে নেয় বাদল মিয়ারা। পরে মামলার রায় পাওয়ার পর আমরা জমিটি দখলে নিই। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তীব্র হয়। এরই জের ধরে তারা আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ ছাড়া স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এসব নিয়ে অনেকে তাকে দমানোর চেষ্টা করছিল।’

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন খেলা শেষে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনসহ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।’

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির বিষয়ে নিশ্চিত নয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। নোটিশ জারি হলে তা পুলিশের এনসিবি শাখা জানাবে বলে জানান তাজুল ইসলাম। 

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এদিকে শেখ হাসিনাকে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির মাধ্যমে ভারত থেকে দেশে ফেরাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে রেখেছেন চিফ প্রসিকিউটর। সে বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে অগ্রগতি জানানো হয়নি।

শুধু শেখ হাসিনাই নয়, দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাসান মাহমুদসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে প্রসিকিউশন।

গত ১০ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে জানান, হাসিনাসহ জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অভিযুক্ত পলাতক সকল আসামিকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরাতন ভবনের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, পলাতক ফ্যাসিস্ট চক্র পৃথিবীর যে দেশেই থাকুক, ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে গত ১০ নভেম্বর ইন্টারপোলকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

১২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণহত্যা, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এবং মামলার আসামি। তবে তিনি পালিয়ে গেছেন এবং বর্তমানে দেশের সীমানার বাইরে অবস্থান করছেন।

এরকম একজন অপরাধীকে গ্রেফতার করতে বা তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোলকে চিঠি দেয়া হয়েছে।'

তিনি আরও জানিয়েছিলেন, চিঠিতে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ইন্টারপোলকে গ্রেপ্তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করার বাধ্যবাধকতার কথা জানানো হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক
নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বিমান হামলা
লোকসানের মিথ্যা গল্প শোনাচ্ছে ব্রিডার ফার্মগুলো
একজন ঢাকা অন্যজন কলকাতায় সংসার ভাঙছে মিথিলার
আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ
যে কোন সময় বাংলাদেশের পাশে নতুন দেশ
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস
  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে ‍তুলবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা