অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্রিজের সংযোগ সড়কে ধস
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে তীরনই নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের সংযোগ সড়কের দুই পাশে ধসে গেছে। গত ৮ দিন আগে সংযোগ সড়কটি ধসে গেলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। এর ফলে চলাচলে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষকে। সংযোগ সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে দাবি তোলার পর ৮ বছর আগে তীরনই নদীর এপারে দুওসুও ইউনিয়ন ও ওপারে বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের মানুষের সাথে যোগাযোগ এবং কুশলডাঙ্গী বাজারে ব্যবসায়ীদের যাতায়াতের জন্য ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তীরনই নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর ব্রিজটি দুই ইউনিয়নের মানুষের দুর্ভোগ কমিয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীরা ব্রিজের পাশে অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে ব্রিজটির সংযোগ সড়ক এবং ব্রিজটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
কুশলডাঙ্গী বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, গত ৩০ এপ্রিল রাতের বৃষ্টিতে ব্রিজটি পশ্চিম পার্শ্বের সংযোগ সড়কটির দুই পাশে ধসে গেছে। একটি ইজিবাইক গেলেও যাত্রী নামিয়ে পার করতে হচ্ছে। ট্রাক্টর এবং অন্যান্য বড় গাড়িগুলোকে ৮ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হচ্ছে বাজারে। এতে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
আজিজুল নামে এক কৃষক হক বলেন, ব্রিজটির সংযোগ সড়ক ধসে যাওয়ার কারণে শ্রমিক দিয়ে কাধে করে বোরো ধান বাড়িতে নিতে হয়েছে। এর ফলে দুই বিঘা জমির ধান ঘরে তুলতে তাকে দ্বিগুণ খরচ গুনতে হয়েছে।
ব্রিজের পাশে বসবাস করা লোকজন জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র তীরনই নদী থেকে বালু তুলছে। বালু তোলার কারণে ব্রিজ ও আশপাশের আবাদি জমি এবং ঘরবাড়িগুলো ঝুঁকির মুখে পড়েছে। একাধিবার মৌখিক এবং লিখিতভাবে জানানোর পরেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মাসুদার রহমান বলেন, কুশলডাঙ্গী বাজারের পাশে ব্রিজের সংযোগ সড়ক ধসের বিষয়টি কেউ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
এ ব্যাপারে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেহা তুজ জোহরা বলেন, লিখিত অভিযোগ অথবা বালু উত্তোলন করার সময় খবর দিয়ে সহযোগিতা করলে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। তাছাড়া আমরা চেষ্টা করছি নদী থেকে কেউ যেন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন না করতে পারে।