কাবিটা প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, ডিসিকে লিখিত অভিযোগ
গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) শ্রমিক আব্দুল গফুর, রাজ্জাক, আজিজুল ইসলাম, আইজুল, মকবুলসহ বেশ কয়েকজনের টাকা আত্মসাৎ করেছে-এই মর্মে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তারা।
জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ‘বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পশ্চিমে পাকা রাস্তা ও ভায়া বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রকাশ মাষ্টারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার’ জন্য ১ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু এই কাবিটা প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য নামমাত্র কাজ করে ভুয়া মাষ্টার রোল তৈরি করে প্রকল্পের অর্ধেক টাকা উত্তোলন করেন। সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী কাবিটা প্রকল্পের কাজ করার সময় প্রকল্পের নাম, টাকার পরিমাণ ইত্যাদি উল্লেখ করে সাইনবোর্ড দেওয়ার কথা থাকলেও তা টাঙানো হয়নি। রাস্তায় মাটি ভরাট না করে ঘাস সেচে দিয়ে মাটি ভরাট দেখানো হয়। চুক্তি অনুযায়ী কাজ না করে নামমাত্র রাস্তা সংস্কারের কাজ করা হয়। আব্দুর রশিদ বিভিন্ন প্রকেল্পর কাজের সভাপতি হয়ে বহু টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।
কাবিটা প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছেন ভুক্তোভোগীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তাঘাট সংস্কারের নামে নামকাওয়াস্তে কাজ করে সরকারি কোষাগার থেকে পুরো অর্থ তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্প সভাপতি ও সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন ওই অর্থ।
কাবিটার কাজের অনিয়মের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রকল্পের সদস্য অনিমেশ শিবচরণের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।
প্রকল্পের সদস্য সচিব ওই ইউনিয়নের ১,২,৩ নম্বর আসনের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য নেপালী বলেন, আমার জানা মতে রাস্তার কোনো কাজ হয়নি। অনেকদিন আগে আমার কাছে কাগজে সাক্ষর নিয়েছিল রশিদ মেম্বার।
অভিযোগের বিষয়ে প্রকল্প সভাপতি ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে কাজ করেছি। সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস (পিআইও) সরেজমিনে দেখে গেছেন। পরিষদের মেম্বার ও চেয়ারম্যানসহ কাজ করেছি। আমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সত্য নয়।
ঢোলারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় বলেন, কাজ এখনো শেষ হয়নি। কাজের বাকি অংশটুকু করা হবে। টাকা আত্মসাতের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে প্রকল্পের বাকি টাকা পেলে অসম্পূর্ণ কাজটি করা হবে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান বলেন, স্থানীয়রা জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তপূবর্ক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসআইএইচ