স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় সংঘর্ষে আহত ১০

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা বর্তমানে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আহতরা হলেন-অকিল চন্দ্র সরকার (৪৬), মুকুল চন্দ্র সরকার (৩৯), সুভাশীষ চন্দ্র সরকার (২৫), সুনীল চন্দ্র সরকার (৫১) ও তার সতীর্থ কর্মকার (২৫), রনি আহমেদ (২০), হাছেন আলী (৪৮), শমসের আলী (৫২), হুমায়ুন আহমেদ (২৩) ও জনি আলম (২০)। তাদের সকলের বাড়ি ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের রাবাইটারী বসুনিয়াপাড়ায়।
শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের রাবাইটারী বসুনিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা অকিল চন্দ্র সরকার।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হাছেন আলীর ছেলে রনি আহমেদ (২০) ফেব্রুয়ারী মাস থেকে একই এলাকার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় ফুল ও চিঠিপত্র দিতেন এবং বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথা বলে প্রায় সময় তাকে উত্ত্যক্ত করত। পরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা অকিল চন্দ্র সরকার উত্ত্যক্তকারী রনি আহমেদের বাবা হাছেন আলীর কাছে নালিশ করলে রনি আহমেদ ক্ষিপ্ত হয়ে যান। শনিবার বিকালে ওই স্কুল শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে তাকে জোরপূর্বক রাস্তার পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন রনি আহমেদ। মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন সেখানে উপস্থিত হলে রনি আহমেদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা ও স্বজনরা ঘটনাস্থলে যান। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর বাবা ও স্বজনদের সঙ্গে উত্ত্যক্তকারী রনি আহমদে ও তার লোকজনের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের ৫ জন করে মোট ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে এবং স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের ফুলবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।
ওই শিক্ষার্থীর বাবা অকিল চন্দ্র সরকার বলেন, রনি আহমেদের উত্ত্যক্তের কারণে তার মেয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। আমরা শুধু উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করেছিলাম। রনি আহমেদ ও তার লোকজন দ্রুত আমাদের উপর হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি থানায় মামলা দিয়েছি। পুলিশ এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নিবেন। সেই সাথে ন্যায় বিচারের দাবি জানান।
তবে অভিযুক্ত রনি আহমেদের দাবি, তিনি ওই শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করেননি। প্রতিবেশী বোন হিসেবে ২১ ফেব্রুয়ারীর দিন তাকে ফুল উপহার দিয়েছিলেন। মেয়েটির পরিবারের লোকজন কোনো কিছু যাছাই-বাচাই না করেই আমার উপর হামলা করে।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার (ওসি) ফজলুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের দ্রুত ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত আহতদের সু-চিকিৎসাসহ তাদের খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি।
