স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে পঞ্চগড়, জনমনে এসেছে স্বস্তি

পঞ্চগড়ের সংঘর্ষের ঘটনার চার দিন পেরিয়ে গেছে। স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি। তবে গতকাল সোমবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত ছিল। সকাল থেকে শহরে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দিনজুড়ে কর্মব্যস্ত ছিল পুরো জেলা শহর। অন্যদিনের তুলনায় সড়কে বেড়েছে মানুষের উপস্থিতও। ফলে জনমনে ফিরেছে স্বস্তি। খুলেছে সব ধরনের দোকানপাট। এদিকে জেলায় ৩৬ ঘন্টা পরে চালু হয়েছে ইন্টারনেট সেবা। গ্রাহকদের মুঠোফোনে বার্তার মাধ্যেমে তা নিশ্চিত করে অপারটরগুলো।
তবে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের এবং বিজিবি সদস্যরা এখনো মোতায়েন রয়েছে। শহরের বিভিন্ন সড়কে পিকআপে করে তাদের টহল দিতে দেখা যায়। পঞ্চগড় পৌরসভার আহমদ নগড় এলাকায় এখনো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। ওই এলাকার নিয়মিত হল দিতে দেখা গেছে বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় র্যাবের গাড়ি পোড়ানো, বিশেষ ক্ষমতা আইন সহ কয়েকটি অভিযোগে নতুন আরো ৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে র্যাব করেছে একটি ও পুলিশ দুইটি। নতুন ৩ মামলায় আসামী করা হয়েছে আরো ১৬০০ জনকে।
নতুন করে আরও ৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মোট মামলা হয়েছে ৬টি। মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮১ জনকে। আর ৬ মামলায় মোট আসামী হয়েছে ৮২০০ জনকে।পরে সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
পঞ্চগড় পৌরসভার মসজিদ পাড়া এলাকার নির্মাণ শ্রমিক আলেয়া খাতুন বলেন, গত তিনদিন ধরে কাজে যেতে পারিনি। আজ দেখছি পরিস্থিতি শান্ত তাই কাজে বের হয়েছি। আমরা কাজ না করলে খাবো কি।
শহরের সিনেমা হল রোড এলাকার টেলিকম ব্যবসায়ী মুরাদ হাসান বলেন, আমরা গত তিনদিন ধরে আতঙ্কে ছিলাম। আজ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। আমরা চাইনা আর কোন অশান্তি হোক।
পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা বলেন, আমরা নতুন করে আরও ৩টি মামলা করেছি। আরো মামলা হবে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর নিরাপত্তা জোড়রদার করা হয়েছে। অযথা কাউকে হযরানি করা হচ্ছে না।
এএজেড
