বিয়ে বাড়িতে মাংস কম দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বরের বাবা নিহত

নীলফামারীর জলঢাকায় বিয়ে বাড়িতে মাংস কম দেওয়াকে কেন্দ্র করে বরপক্ষ ও কনে পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বরের বাবা নুর মোহাম্মদ নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ মার্চ) রাতে জলঢাকার আমরুলবাড়ী গ্রামের বগুলাগাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কনের বাবা আনারুল ইসলাম ও স্থানীয় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত নুর মোহাম্মদ রংপুর নগরীর হাজিরহাট উত্তম বাওয়াই পাড়ার বাসিন্দা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে পারিবারিকভাবে জলঢাকা পৌর এলাকার আনারুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল আক্তারের সঙ্গে নুর মোহাম্মদের ছেলে আলীর বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর কনে নিয়ে চলে যান বর আলী হোসেন।
বর ও বৌ চলে যাওয়ার পর বিয়েতে কনে বাড়িতে বরপক্ষের ১০০ জন অতিথি আসার কথা থাকলেও প্রায় ২৫০ জন অতিথি আসায় খাওয়ার সময় মাংস কম হওয়া নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এতে একপর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এ সময় কনেপক্ষের লোকজনের মারধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বরের বাবা নুর মোহাম্মদ। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
স্থানীয় দিপু চৌধুরী বলেন, কনে নিয়ে আগেই চলে যায় বর। বরের বাবা অন্য গাড়িতে যাওয়ার সময় কনের বাবাকে বলেন মাংস কম হইছে, আপ্যায়ন কম হইছে। এ কথা বলাতে কনেপক্ষের সঙ্গে বরপক্ষের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বরের বাবাকে মারধর করে কনে পক্ষের লোকজন।
এ বিষয়ে জানতে বরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ কবীর নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য জেলার মর্গে লাশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় কনের বাবাসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
এসআইএইচ
