রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

দূর্গম চরে আশার আলো একটি উচ্চ বিদ্যালয়

ব্রহ্মপুত্র নদেরবুকে দূর্গম চরাঞ্চলের ভগবতীপুর। দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের এই দূর্গম চরাঞ্চলে প্রায় ৫০০ পরিবার বসবাস করছে। এখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তিনটি মাদ্রাসা রয়েছে কিন্তু ছিলো না কোন উচ্চ বিদ্যালয়। তাই প্রাথমিক পাসের পর এই চরের শিক্ষার্থীদের আর পড়াশুনা হতো না।

জেলা প্রশাসনেসর উদ্দ্যোগে এই চরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে চর ভগবতীপুর উচ্চ বিদ্যালয়। চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্য্যক্রম চালু করা হয়েছে। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন ১৩০ জন শিক্ষার্থী। চারজন শিক্ষক পাঠদান করছেন। চরের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে আশার আলো জাগিয়েছে এই বিদ্যালয়টি।

কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রে নদেরবুকে প্রায় ৪০০ চর রয়েছে। প্রত্যেক চরে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা রয়েছে। এতগুলো চরের মধ্যে মাত্র ৬টি চরে ৬টি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্দ্যোগে ৭ম উচ্চ বিদ্যারয়টি প্রতিষ্ঠা হলো চর ভগবতীপুরে। অধিকাংশ চরে উচ্চ বিদ্যালয় না থাকায় ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি।

চর পার্বতীপুর এলাকার কৃষক আজগর আলী (৫০) বলেন, তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। প্রাথমিক পাস করার কিছুদিন পর মেয়ে দুটির বিয়ে দিয়েছেন। এক ছেলে প্রাথমিক পাস করার পর তার সঙ্গে খেতে কাজ করছে। ছোট ছেলে গেল বছর প্রাথমিক পাস করেছে। চরে নতুনভাএব গড়ে ওঠা উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করেছেন।

তিনি বলেন, চরে উচ্চ বিদ্যালয়টি গড়ে না উঠলে হয়তো ছোট ছেলের পড়াশুনারও ইতি ঘটতো। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ছোট ছেলে কলেজ পযর্ন্ত পড়াশুনা করাবো। আগে যদি আমাদের চের উচ্চ বিদ্যালয় গড়ে উঠতো তাহলে আমার বাকি তিনে ছেলে-মেয়ে কলেজে পড়াশুনা করার সুযোগ পেতো।

এই চরের কৃষক নয়া মিয়া (৫৭) বলেন, চর থেকে মুল-ভূখন্ডে গিয়ে পড়াশুনা করা তাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য কষ্টকর। এছাড়া এটা ব্যয় বহুলও। তাই তাদের ছেলে-মেয়েরা প্রাথমিক পযর্ন্ত পড়াশুনা করে আর পড়াশুনা করতো না। আমাদের চরে নতুন একটি উচ্চ বিদ্যালয় হয়েছে। এটা আমাদের মাঝে আশার আলো জাগিয়েছে। এখন আমাদের ছেলে-মেয়েরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পাবে।

৬ষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থী কোহিনুর আক্তার ও সুমি খাতুন বলেন, চরে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা না হলে তার পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যেতো। আমি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। এখন আমি উচ্চ শিক্ষা লাভের স্বপ্ন দেখছি। আমার বাবা-মাও আমাকে উচ্চ শিক্ষিত করতে আগ্রহী, কোহিনুর বলেন। চরে উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগ না থাকায় আমার দুইজন বড় বোনের বাল্য বিয়ে হয়েছে।

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রোজিনা আক্তার জানান, মুল-ভূখন্ডে যাত্রাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন কিন্তু যাতায়াত ব্যবস্থা দূর্গম হওয়ায় তিনি সপ্তাহে একদিন বিদ্যালয়ে যেতেন। তাদের চরে বিদ্যালয় গড়ে উঠায় তিনি এখানে ভর্তি হয়েছেন। “এখন আমি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসি। এখন আমি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছি, তিনি বলেন।

বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির আজীবন সদস্য ইউসুফ আলমগীর জানান চর ভগবতীপুর ছাড়া চর পার্বতী, পোড়ার চর, মাঝের চরসহ বিভিন্ন চরের শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীই বেশি। চর ভগবতীপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি চরাঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়াতে ভূমিকা রাখবে।

বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান কার্য্যক্রম পরিচালিত করতে আমরা নজর রাখছি এবং নজরদারি অব্যাহত থাকবে, তিনি বলেন। প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আমরা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছি। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে চারটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। ধিরেধিরে অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে জানান তিনি।

স্কুলের শিক্ষক ফারুক আহমেদ জানান, তারা স্বেচ্ছাশ্রমে পাঠদান করছেন। চরাঞ্চলে শিক্ষার আলো জ্বালাতে তারা নিবেদিত রয়েছেন। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের জায়গা সংকুলান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অবকাঠামো আরো বাড়ানো দরকার। ”আমরা চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, তিনি বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। পাঠদানের অনুমতির জন্য কাগজপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। পাঠদানের অনুমতি পেলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। বিদ্যালয়টি যাতে দ্রুত এমপিওভুক্ত করা যায় সেব্যাপারে আমরা চেষ্টা করবো।

চর ভগবতীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: রাসেদুল হাসান জানান, সরকারি আর্থিক সহায়তায় বিদ্যালয়টির জন্য ৪টি রুমে চর উপযোগি একটি টিনসেড ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্মানী এবং বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য একটি আর্থিক তহবিল গঠন করা হয়েছে।

এমপি, জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়রসহ স্থানীয় অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সমাজের সকলের পৃষ্টপোষকতা পেলে স্কুলটি আরও বিকশিত হবে। বিদ্যালয়টি চরাঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখবে।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হায়দরাবাদে শনিবার (২০ এপ্রিল) এক বিশাল গণবিক্ষোভের আয়োজন করে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড (AIMPLB)।

এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দেন সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM) দলের প্রধান এবং হায়দরাবাদের প্রভাবশালী মুসলিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি এই আইনকে “সংবিধানের মূল চেতনার বিরুদ্ধে” উল্লেখ করে বাতিলের জোর দাবি জানান।

“এই আইন আমাদের ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করছে। যতদিন না এটি বাতিল করা হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন চলবে,”— বলেন ওয়াইসি।

তিনি আরও জানান, ওয়াকফ বোর্ডে অ-মুসলিমদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করায় মুসলিম সমাজে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এবং তা মেনে নেওয়া যায় না।

সম্প্রতি পাস হওয়া ওয়াকফ সংশোধনী আইন অনুসারে, অ-মুসলিমদেরও ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য করা সম্ভব হতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকেই এই বিরোধের সূত্রপাত। এই আইনকে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন মুসলিম নেতারা।

এই ইস্যুতে ইতোমধ্যেই ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে। আদালতে সরকার জানিয়েছে, মে মাসে মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত অ-মুসলিমদের ওয়াকফ বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।

 

ছবি: সংগৃহীত

ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।

বিরোধীদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও বিলটি ভারতের পার্লামেন্টের দুই কক্ষে পাস হয়েছে। আন্দোলন এখন হায়দরাবাদ ছাড়িয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।

টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানায়, মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের আহ্বানে এবং ওয়াইসির নেতৃত্বে এই আন্দোলন ক্রমেই সারা ভারতব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের রূপ নিচ্ছে।

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে, তা শুধু রাজনৈতিক নয়, ধর্মীয় এবং সাংবিধানিক অধিকার নিয়েও গভীর প্রশ্ন তুলেছে। এখন দেখার বিষয়, আদালতের রায়ে এবং গণআন্দোলনের চাপে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়।

সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড

Header Ad
Header Ad

ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। রোববার (২০ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১২টার দিকে গরম পানির গলির একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধরা হলেন- কুলসুম আক্তার (২৫), রিয়াজ হোসেন (২১), কামরুন্নেসা রোজিনা (৪৫)। তাদের সবার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরা উপজেলায়। বর্তমানে ফকিরাপুল এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী ইব্রাহিম খলিল বলেন, আজ দুপুরের দিকে রান্না করার সময় বিস্ফোরণে আহত হন তারা। পরে আমরা প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসি। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, আজ দুপুরের দিকে ফকিরাপুল থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারীসহ তিনজনকে বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে। দগ্ধের পরিমাণ পরে জানাবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

Header Ad
Header Ad

আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা

ছবি: সংগৃহীত

মুসলিম বিশ্বের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ ভেঙে সেখানে ইহুদি মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ বসতিস্থাপনকারীরা। হিব্রু ভাষার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এ নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করছে তারা। বিষয়টি সামনে আসতেই ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয় এ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক্স প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে ফিলিস্তিনি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার আহ্বান জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এ পরিকল্পনাকে তারা ইসলামিক এবং খ্রিস্টান পবিত্র স্থানগুলোর বিরুদ্ধে এক ধরনের ‘পদ্ধতিগত উসকানি’ হিসেবে দেখছে।

জেরুজালেমের ‘স্ট্যাটাস কু’ অনুযায়ী, আল-আকসা প্রাঙ্গণে অমুসলিমদের প্রার্থনা নিষিদ্ধ হলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে ইহুদিদের প্রবেশ এবং ধর্মীয় কার্যক্রম বেড়েছে। এখন তারা সেখানে থার্ড টেম্পল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, যা অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা ছড়াতে পারে।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে অন্তত ৬৪ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের অধিকাংশই গাজা সিটি ও উত্তর গাজার বাসিন্দা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) বর্তমানে রাফা শহরের কাছে ঘাঁটি গেড়ে সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে।

হামাস জানিয়ে দিয়েছে, তারা আর কোনও অন্তর্বর্তী যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। সংগঠনের সিনিয়র নেতা খলিল আল-হায়া শুক্রবার এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, তারা একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির ভিত্তিতেই আলোচনা করতে চায়, যার আওতায় গাজা যুদ্ধের অবসান, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং গাজার পুনর্গঠন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি সরকার নিজেদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে আংশিক চুক্তিগুলো ব্যবহার করছে এবং সব জিম্মিকে বলি দিতে প্রস্তুত।

ইতোমধ্যে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত দেড় বছরে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ হাজার এবং আহতের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজারে পৌঁছেছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে, কারণ অনেকেই এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।

এই অব্যাহত মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়ছে, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও সম্ভাবনা এখনো দেখা যাচ্ছে না।

সূত্র: রয়টার্স, আলজাজিরা

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও