রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হয়েও সংসার চলে খেয়ে না খেয়ে!

নির্বাচিত হয়েও নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আর্জিনা বেগম (৪০)। ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েও গত এক বছর দেড় মাসেও নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটনাতে পারেনি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আর্জিনা বেগম। বর্তমানে একজন মহিলা সদস্য থাকা অবস্থায় তিনি স্বামী-শ্বাশুড়ীসহ দুই সন্তানকে নিয়ে অতি কষ্টে খেয়ে না খেয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন। ওই মহিলা সদস্য আর্জিনা বেগমের বাড়ী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের নগরাজপুর ৫নং ওয়ার্ডে। তিনি ওই ওয়ার্ডের খলিল মিয়ার স্ত্রী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের বাড়ীতে বৃদ্ধা শ্বাশুড়ী-স্বামী খলিল মিয়া ও দুই সন্তানসহ পাঁচ সদস্যের সংসার চলে অতি কষ্টে। তার স্বামী খলিল মিয়ার নেই কোন ফসলি জমি। মাত্র ৩ শতক জমিতে জরাজির্ণ দুইটি টিনসেটের ছাপড়া। একটিতে থাকেন তিনি ও অন্যটিতে থাকেন তার স্কুল পড়ুয়া দুই ছেলে। বড় ছেলে আনিচুর রহমান দশম ও ছোট ছেলে আরিফুল ইসলাম ৬ষ্ট শ্রেণীতে পড়েন। জরার্জিণ টিনসেটের ছাপড়ায় দুই ছেলের নেই পড়ার একটি টেবিলও।

বড় ছেলে আনিচুর কোন রকমেই বাঁশ দিয়ে একটি টেবিলে তৈরী করে বই রাখেন। সেখানেই গাঁদাগাদি ভাবে দুই ভাই পড়াশুনা করেন। নেই রান্না করার ঘরও। দুই টিনের ছাপড়ার এক কোণায় ছনের ধাঁপরীর মধ্যে কোন রকম রান্না-বান্না করেন আর্জিনা বেগম। আর্জিনা বেগমের সম্ভল বলতে সম্মানী ভাতা ৩ হাজার ৬০০ টাকা। সংসারে রয়েছে তিনটি মুরগী ও চারটি হাঁস। অতিকষ্টে দু-বেলা দু-মুঠো ডাল-ভাত খেয়ে না খেয়ে দিন পাড় করছেন আর্জিনা বেগম ও তার স্বামী খলিল মিয়া।

তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে অন্য জনপ্রতিনিধিদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটলেও আর্জিনা বেগমের এক বছর অতিক্রম করলেও নিজের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে পারেনি তিনি। গত এক বছর এক মাসে পরিষদ থেকে সম্মানি ভাতা ছাড়া যতগুলো বরাদ্দ পেয়েছেন তার সব গুলোই জনগণের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি। ফলে একজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হয়েও এক বছর এক মাস পেরিয়ে গেলেও নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটনাতে পারেনি। ফলে বৃদ্ধা শ্বাশুড়ীসহ স্বামী-ও দুই সন্তানকে নিয়ে অনেকটা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন আর্জিনা বেগম।

প্রতিবেশি আবু আলী ও রব্বানী মিয়া জানান, মহিলা সদস্য আর্জিনা বেগম ও তার স্বামী খুবেই ভাল মানুষ। আর্জিনার স্বামী খলিল মিয়া এক টানা তিন বার ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন করেছে। এক বারও জিততে পারেনি। যেটুকু সম্পদ ছিল তা নির্বাচন করেই শেষ করেছেন তিনি। তিনি নিজের স্বপ্ন পুরুণ করতে না পারলেও হাল ছাড়েননি।

পরে তিনি তার স্বপ্ন পুরণের লক্ষ্যে স্ত্রী আর্জিনা বেগমকে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হিসাবে নির্বাচনে দাড় করিয়ে দেন। প্রথম বার পরাজিত হলেও দ্বিতীয় বার তার স্ত্রী আর্জিনা বেগম সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। স্বামী-স্ত্রী দুই জনই জনগনের সেবায় নিয়োজিত। তিন ওয়ার্ড বাসীও উন্নয়ণে জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করেই যাচ্ছেন।

প্রতিবেশি আরও জানান, আর্জিনা বেগম নির্বাচিত হওয়ার এক বছর এক মাসেও তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে পারেনি। একজন মহিলা সদস্য হয়েও জরার্জিণ দুইটি টিনের ছাপড়ায় কোন রকমেই স্বামী, শ্বাশুড়ীসহ দুই সন্তানকে দুর্ভিসহ জীবন-যাপন করলেও সরকারি কোন অনুদান আসলে কোন টাকা-পয়সা ছাড়াই জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেন।

আমরা লোক মূখে শুনি অনেক জনপ্রতিনিধি নাকি ৪০ দিনের কর্মসূচির দুই একটা করে নিজের নামে থাকে। কিন্ত আর্জিনা বেগম শত কষ্টে থাকলেও সেই ৪০ দিনের কর্মসূচিতে তার স্বামীর নামটিও রাখেনি। তিনি এতো দিনে যা পেয়েছে তা সব কিছুই জনগণের মাঝে দিয়েছেন। আমরা তার কালের স্বাক্ষী।

আর্জিনা বেগমের স্বামী খলিল মিয়া জানান, আমার সংসারে হাল খুবই নাজুক। আমার দেড় বিঘা জমি ছিল। আমি তিন বার ও আমার স্ত্রী দুই বার নির্বাচন করায় দেড় বিঘা জমি বিক্রি করেছি। এখন মাত্র তিন শতক জমিতে জরাজির্ণ দুইটি টিনের ছাপড়ায় কোন রকমেইস্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সববাস করছি। স্ত্রীর সম্মানী দিয়েই খেয়ে না খেয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছি।

তিনি আরও জানান, সরকারী বরাদ্দকৃত অনুদান গরীবের মাঝেই বিলিয়ে দিচ্ছি। কোন বিনিময় নয়। সরকার যদি আমার স্ত্রীকে বড় ধরণের কোন বরাদ্দ দেয় সেই বরাদ্দ মোতাবেক কাজ করে যদি দুইটা টাকা ঘরে আসলে আসবে, না আসলে না আসবে, কোন দুঃখ নেই। দোয়া করবেন শতশত কষ্টের মাঝেও জনগণের সেবা করে চলতে পারি।

সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আর্জিনা বেগম জানান, আমার স্বামী নির্বাচন পাগল। তার স্বপ্ন ছিল সে নির্বাচনে জিতে জনগণের সেবা করবে। টানা তিন বার নির্বাচন করে হেরে যাওয়ায় তার স্বপ্ন পুরণ না হওয়ায় তিনি আমাকে দিয়ে নির্বাচন করান। আমি প্রথম বার হেরে গেলেও দ্বিতীয় বারে আল্লাহের অশেষ কৃপায় জয়লাভ করি। টানা পাঁচ বার নির্বাচন করায় আমার স্বামীর দেড় বিঘা জমি বিক্রি করতে হয়েছে। এখনো অনেক পাওনাদার আছে।

নির্বাচনে জয়লাভ করার এক বছর দেড় মাস অতিবাহিত হলেও আমার ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেনি। এখনো ৭০ হাজার টাকা মানুষ পাবে। জনগণের সেবার পাশাপাশি আমি কোন রকমেই জরাজির্ণ ছাপড়ায় স্বামী-শ্বাশুড়ী ও দুই সন্তানকে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই। স্থানীয় সরকার যদি আমাকে বড় ধরণের বরাদ্দ দেন, তাহলে হয়তো বরাদ্দের আলোকে কাজ-কাম করে দুই সন্তানের লেখাপড়ার খরচসহ অভাবী পাঁচ সদস্যের সংসারে একটু স্বস্তি আসবে।

তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন আমি ও আমার স্বামী কেমন মানুষ এলাকায় ভাল করে খোঁখ নেন। উত্তর পেয়ে যাবেন ভাই। রামরামসেন ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু মুসা জানান, আর্জিনা বেগমের স্বামী নির্বাচনের পিছনে সব কিছুই শেষ করেছে। তিনি টানা তিনবার ও তার স্ত্রী আর্জিনা দ্বিতীয় বারে নির্বাচিত হয়েছেন।

আমার জানা মতে আর্জিনা ও খলিলের কোন আবাদী জমি নেই। মাত্র তিন শতক জমিতে জরাজির্ণ দুইটি টিনসেটের
ছাপড়ায় কোন রমকেই বসবাস করছেন। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত যত সরকারি অনুদানসহ যা কিছু পেয়েছেন তার সব টুকুই আর্জিনা ও তার স্বামী জনগণের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন।

ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যার মোহাম্মদ আলী শেখ জানান, আসলেই আর্জিনা বেগমের অবস্থা খুবই করুণ। একটা থাকার ঘরও নেই। পরিষষের সদস্য হওয়ায় সরকারী ঘরও দেওয়ার ক্যাটাগড়িতে পড়ে না। তার সংসারও চলছে কোন রকমেই। তবে তাকে সহায়তা করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুমন দাস জানান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আর্জিনা বেগমের ব্যাপারে খোঁচ খবর নেয়া হবে। একজন দরিদ্র পরিবার থেকে যদি তিনি নি:স্বার্থে জনগণের কল্যাণে কাজ করে থাকেন তাহলে তাকে সরকারি ভাবে সহায়তার করার আশ্বাস দেন ইউএনও।
এএজেড

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি