জাল দলিলে জমি রেজিস্ট্রি, সাবরেজিস্টারের বিরুদ্ধে মামলা

নীলফামারীর ডিমলায় জাল দলিলে জমি রেজিস্ট্রির অভিযোগে সাব-রেজিস্ট্রারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিরা হলেন, সাব রেজিস্ট্রার মনিষা রায়, দলিল লেখক সেলিম ইসলাম, গোলাম হাবিব হাদী, রাজিব হোসেন, মিজানুর রহমান, ফজলুল হক ও আনোয়ার হোসেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত (১০ ডিসেম্বর) উপজেলার গয়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা সুমন সরকার বাদী হয়ে নীলফামারী আমলী আদালতে মামলাটি করেন। তখন নীলফামারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ মেহেদী হাসান মামলাটি আমলে নিয়ে সাবরেজিস্ট্রার মনিষা রায়সহ সাতজনের নামে ডিমলা থানাকে মামলার নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ডিমলা থানায় মামলাটি এজাহারভুক্ত হয়। মামলায় সবাই একত্রিত হয়ে বেআইনিভাবে জমিতে অনধিকার প্রবেশ ও প্রতারণার উদ্দেশ্যে মূল্যবান দলিল জালিয়াতি করার অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাদী সুমনের বাবা উপজেলার চাপানী ইউনিয়নের চারঘড়ি গ্রামের বাসিন্দা আক্কাস আলীর মৃত্যুর পর তার নামে থাকা ৪৮ শতাংশ জমি বন্টকনামা দলিলমুলে তার ওয়ারিশরা ভোগদখল করে আসছিলেন।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা গোলাম হাবিব ও রাজিব হোসেন ডিমলা সাব রেজিস্টারের সহযোগিতায় জালিয়াতি ও প্রতারনার মাধ্যমে ওই ৪৮ শতাংশ জমির মধ্যে সাড়ে সাত শতাংশ বিক্রি করেন মিজানুর রহমানের কাছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ডিমলার সাব-রেজিস্ট্রার মনিষা রায় আর্থিক লাভের আশায় গোলাম হাবিব ও রাজিব হোসেন ওই জমির সর্বশেষ খতিয়ানের মালিক না হওয়া সত্বেও দলিল রেজিস্ট্রি সম্পাদন করেন।
সুমন সরকার বলেন, বর্তমান সাবরেজিস্ট্রার মনীষা রায়কে তাঁদের জমির মূল কাগজপত্র দেখিয়ে রেজিস্ট্রি বন্ধের লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু সাবরেজিস্ট্রার মনীষা চক্রের সদস্যদের নামে জাল দলিল ও নামজারি দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে দেন।
তিনি বলেন, জাল চক্রের মূলে রয়েছেন সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের দালাল ফজলুল হক ও আনোয়ার হোসেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মনিষা রায় বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য নয়। মামলার বিষয়টি জানতে চাইলে বলেন, বিষয়টি তিনি এখনও জানেন না।
ডিমলা থানার তদন্ত কর্মকর্তা বিশ্বদেব রায় বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলা এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। এ মামলায় একজনকে আটক করে নীলফামারী আদালতে পাঠানো হয়েছে। অবশিষ্ট আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
এএজেড
