ঠাকুরগাঁওয়ে জমি দখলে ছোট হচ্ছে নদীর সীমানা

ঠাকুরগাঁওয়ে নদীগুলোর পানি শুকিয়ে জেগে উঠছে চর। আর জেগে ওঠা চর দখল করে অর্থের বিনিময়ে হাত বদলে গড়ে তোলা হচ্ছে বসতভিটা, মিল-কলকারখানাসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এতে দিন দিন জমি দখলের কারণে ছোট হচ্ছে নদীর সীমানা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, নদী রক্ষায় অবৈধ দখল উচ্ছেদের পাশাপাশি খননেরও কাজ চলছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার প্রতিটি নদীর চিত্রই এখন মৃতপ্রায়। পানি না থাকায় পরিণত হচ্ছে মরা খালে। আর এই সুযোগে এক শ্রেণির মানুষ জেগে ওঠা চর দখল করে অর্থ হাতিয়ে হাত বদল করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ১৩টি নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০০ কিলোমিটার। আর ৪৪৬ জনের দখল করা জমির পরিমাণ ৬ দশমিক ৩৭৫ একর।
ঠাকুরগাঁও জেলার টাংগন শুক সেনুয়াসহ ১৩টি নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবৈধ দখলদারদের মাধ্যমে দিনের পর দিন গড়ে তোলা হচ্ছে বসতভিটাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় দখল আর সময়-অসময়ে অপরিকল্পিত খননে কোনোভাবেই প্রাণ ফিরছে না এসব নদীর। চর জেগে ওঠায় দিন দিন গতিপথ বন্ধের পাশাপাশি ছোট হয়ে আসছে নদীগুলোর সীমানা। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জমি দখলে দখলদাররা মরিয়া হয়ে উঠছে। এতে বছরের পর বছর এমন অবস্থা চলতে থাকায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্টের পাশাপাশি স্থানীয় জেলেরা বেকার হয়ে পড়ছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিনিয়ত নদীর জমি দখল হতে থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেন না পাউবোর কর্মকর্তারা। ফলে দিন দিন নদীর সীমানা ছোট হয়ে পরিণত হচ্ছে মরা খালে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নদী অচিরেই নিশ্চিহ্ন হবে।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ময়দুল ইসলাম রনি বলেন, ‘নদী রক্ষায় অবৈধ দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি নদী খননের কাজও চলছে।
এসআইএইচ
