ঠাকুরগাঁও উপনির্বাচন: অধিকাংশ কেন্দ্র ভোটারশূন্য

ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈলে) আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে আজ (১ ফেব্রুয়ারি)। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও কেন্দ্রগুলোতে নেই ভোটারদের সাড়া। অধিকাংশ কেন্দ্র ভোটারশূন্য। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পীরগঞ্জ-রানীশংকৈলে অধিকাংশ কেন্দ্রে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া লাইনে ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারাদের ভোটারদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
সাধারণ ভোটাররা জানান, মাঠে হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকায় নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদেরও আগ্রহ অনেকটা কম। তবে যেহেতু এই এলাকাগুলো কৃষিপ্রধান এলাকা সেক্ষেত্রে বেলা বাড়লে ভোটারও বাড়তে পারে।
এদিকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম মাহাতাব উদ্দিন জানান, আকাশ মেঘলা হওয়ার পাশাপাশি শীতকাল হওয়ায় সকালের দিকে ভোটারদের উপিস্থিতি কিছুটা কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে পারে। তবে ভোটারদের উপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে প্রার্থীরা ভোটারদের সঠিকভাবে মোটিভেশন করতে পারেনি।
এ আসনে ৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- ১৪ দল মনোনীত ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াসিন আলী (হাতুড়ি), জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (লাঙল), স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায় (একতারা), জাকের পার্টির এমদাদুল হক (গোলাপ ফুল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাফি আল আসাদ (আম) ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের সিরাজুল ইসলাম (টেলিভিশন)।
তবে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এ আসনটিকে উন্মুক্ত ঘোষণা করায় এখানে আওয়ামী লীগের দলীয় কোনো প্রার্থী নেই।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈলে উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই আসনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১২৮টি। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬৫ হাজার ২১০ জন এবং নারী ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩১ জন।
নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি কেন্দ্রে ৫ জন অস্ত্রধারী পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকবেন। এ ছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৭ প্লাটুন বিজিবি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব পর্যবেক্ষক থাকবে।
এসজি
