কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি
শীতে কাঁপছে দেশের উত্তরের জনপথ কুড়িগ্রাম। এ জেলায় কয়েকদিনের তুলনায় মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারিদিক। মধ্য রাত থেকে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে শিশির। রাতভর প্রচণ্ড ঠান্ডা থাকায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীতে এ অঞ্চলের নিম্নআয়ের মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাড় কাঁপানো শীতে খড়কুটো জ্বালিয়ে কিছুটা ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা তাদের।
তীব্র শীতের কারণে উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে ক্রেতাদের সমাগমও কমেছে। হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলো চলাচল করতে দেখা গেছে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্ক মানুষজন। তীব্র ঠান্ডা ও ঘনকুয়াশা থামাতে পারেনি জীবিকার তাগিদে বের হওয়া খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে। তারা আপন মনে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।
এরই মধ্যে এ জেলার ৯টি উপজেলায় সরকারিভাবে ৩ হাজার শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে শীত নিবারণের জন্য কম্বল বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার।
কৃষক ঈশা মিয়া ও হবিবুর রহমান বলেন, যতই ঠান্ডা থাকুক আমাদের মাঠে যেতে হবেই। মাঠে ফসলগুলোর পরিচর্চা না করলে দেশের মানুষ খাদ্য শস্যের সংকটে পড়বে। যত বড়ই দুর্যোগ থাকুক না কেন কৃষকদের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। কৃষক বাঁচলে দেশও বাঁচবে। তাই ঘরে বসে থাকলে তো আমার পেট চলবে না। প্রতিদিন সকাল সকাল জীবন-জীবিকার তাগিদে মাঠে-ঘাটে কাজ করতে বেড়িয়ে পড়ি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মাসের শেষের দিকে ও জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেশের উত্তরের জনপথে মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে
যেতে পারে।
এসজি