পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত বিএনপি নেতার বাড়িতে শোকের মাতম
পঞ্চগড়ে বিএনপির গণমিছিলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে নিহত বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ আরেফিনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বামীর কথা মনে করতেই বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন স্ত্রী চামেলী বেগম। বাড়িজুড়ে স্বজনদের কান্নার রোল।
নিহত আব্দুর রশিদ আরেফিন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই তার জানাজায় অংশ নিতে তার বাড়ি ময়দানদিঘী ইউনিয়নের চন্দনপাড়া এলাকায় আসতে থাকেন স্বজনরা।
নিহত বিএনপি নেতার পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নিতে বাড়িতে ছুটে যান জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদসহ জেলা-উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
গণমিছিলের প্রত্যক্ষদর্শী মতিয়ার রহমান বলেন, গণমিছিলের সময় পুলিশের অতিরিক্ত মারধর ও কাঁদানে গ্যাসের কারণে ঘটনাস্থলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আব্দুর রশিদ আরেফিন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে স্বামীর কথা মনে হতেই বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদের স্ত্রী চামেলী বেগম। কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্বামী হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, যারা আমার স্বামীকে মেরেছে আল্লাহ তুমি তাদের বিচার করো।
বাবা হত্যার বিচার চেয়ে ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাহী বলেন, যারা আমার বাবাকে মেরেছে আমি তাদের বিচার চাই। এরা অনেক লোককে মেরেছে।
এদিকে বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ নিহতের ঘটনায় বিএনপি নতুন করে আরও কর্মসূচি দেবে বলে জানান জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ। তিনি বলেন, এখন কোনো বিএনপি নেতা মারা গেলে পুলিশ বলছে, হৃদরোগে মারা গেছে। এটা এখন তাদের তৈরি করা একটা বুলি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামীকাল ২৬ ডিসেম্বর সারা দেশে বিএনপি গণকর্মসূচি দেবে। ২৭ ডিসেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা নিহত বিএনপি নেতা আরেফিনের বাড়িতে স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানাতে আসবেন। এ হত্যার জবাব আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে দিব।
তবে ওই বিএনপি নেতা হৃদরোগে মারা গেছে দাবি করে জেলা পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা বলেন, হাসপাতাল সূত্রে জেনেছি হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে। সুরতহালে নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তে জানা যাবে মৃত্যুর কারণ।
এসজি