দিনাজপুরে জামায়াতের গণমিছিল, আটক ১১
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে দিনাজপুরে দলটির মিছিল থেকে জামায়াত-শিবিরের ১১ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত সবাই জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী বলে দাবি পুলিশের।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে শহরের বাহাদুর বাজার এলাকা থেকে একটি মিছিল বের হয়। জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এই গণমিছিলের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতা-কর্মীকে স্টেশন রোড ও স্টেশন চত্বর থেকে আটক করে পুলিশ। পরে শহরের নিমনগরের ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে আরও ৪ জনকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা ভোর থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে অবস্থান নেয়। বেলা ১২টার দিকে তারা লিলির মোড় থেকে রেলস্টেশনের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। পুলিশ এসময় রেলস্টেশনের প্রধান ফটক এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীদের ঠেকানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে জামায়াতের সদস্য আজগর আলীকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এতে নেতা-কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল বের করেন। পরে মিছিলটি বাহাদুর বাজার গোলকুঠি হয়ে হাসপাতাল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে পুলিশ আরও ১০ জনকে আটক করে।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে শহরের বাহাদুর বাজারের রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করছিলেন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এসময় সেখান থেকে ৭ জনকে আটক করা হয়। পরে নিমনগরের ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করলে সেখান থেকে আরও ৪ জনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা ১৬ ডিসেম্বর একইভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নাশকতা করার চেষ্টা চালিয়েছিল। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আটককৃতদের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন- বীরগঞ্জ উপজেলার আলামিন হোসেন (৪০), এরশাদ আলী (৩০), আলামিন ইসলাম (৩২) ও আজগর আলী (৪৫) এবং চিরিরবন্দর উপজেলার আতাহার আলী (৪৫) ও হাসিনুর রহমান (২৫)।
এ বিষয়ে দিনাজপুর শহর জামায়াতের আমির রেজাউল করিম বলেন, দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই ১০ দফা দাবিসহ দেশব্যাপী যুগপৎ গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়ে নিপীড়ন চালিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের আটক করেছে।
এসজি