পঞ্চগড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নিহত
পঞ্চগড়ে বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ এবং দলটির নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে আব্দুর রশিদ আরেফিন (৫১) নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। তিনি বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে এ সংঘর্ষ।
এসময় বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে করে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। পরে বিকাল সোয়া ৪টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যানচলাচল শুরু হয়।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিব আল আমিন ফেরদৌস বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে আমাদের একজন মারা গেছেন। অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আমরা আন্দোলনের মাধ্যেমে এর জবাব দিব।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ মিঞা বলেন, মিছিলের জন্য বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন। আমরা তাদের সড়ক বন্ধ না করতে বলি। কিন্তু তারা সড়ক বন্ধ করে দেন। এসময় তাদের সরিয়ে দিতে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে কেউ মারা গেছেন এমন কিছু আমার জানা নেই। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে গণমিছিল নিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকে নেতা-কর্মীরা। পরে গণমিছিল নিয়ে মহাসড়কে দাড়ালে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে বিএনপির অন্তত ৭০ নেতা-কর্মী আহত হন। আর আটক করা হয় ১৫ জনকে।
এসজি