গাইবান্ধায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ, ধর্ষকের সহযোগী গ্রেপ্তার
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীকে গুরুতর অবস্থায় বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে এ ব্যাপারে একটি ধর্ষণ মামলা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষকের সহযোগী মেহেদী হাসান নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যায় উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের চক শিবপুর গ্রামের ও স্থানীয় বালুয়ার বাজারের একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী গরুর জন্য ধানের খড় আনতে বাড়ির বাইরে যায়। বাড়ির বাইরে যাওয়া মাত্র একই ইউনিয়নের চক সিংহডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল জলিল প্রধানের ছেলে সুমন প্রধান (২৬) ও তার সহযোগী নাকাই ইউনিয়নের পগইল নাকাই গ্রামের মমতাজ আলীর ছেলে মেহেদী হাসান (২৫) মেয়েটির মুখ চেপে ধরে পরিত্যাক্ত চাতালের পাশের একটি ঘাসের জমিতে নিয়ে যায়। সেখানে সুমন প্রধান জোড়পূর্বক ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে। সুমনকে পাহাড়া দিয়ে ধর্ষণে সহায়তা করে মেহেদি হাসান। ধর্ষণের সময় মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রেখে সুমন ও মেহেদী হাসান পালিয়ে যায়।
পরে ওই শিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী এক আত্মীয়র বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের বিয়ষটি জানালে তাকে অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতালে এবং পরে শহিদ বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সেখানে চিকিসাধীন রয়েছে বলে তার জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে সুমন প্রধান ও মেহেদী হাসানকে আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতার পিতা। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে রাতেই মামলার ২ নম্বর আসামি মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইজার উদ্দীন বলেন, ধর্ষণ মামলার ২ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামি সুমনকে গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এসআইএইচ