শিক্ষার্থীদের থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগ উঠেছে উপজেলার মহিষখোচা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম খাঁনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক আ,স,ম রওশন নবীসহ ৪৫ জন অভিভাবক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, মহিষখোচা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম খাঁন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রশ্ন বাবদ প্রতিটি বিষয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫ টাকা করে, রুটিনের নামে ৫ টাকা ও মার্কশীট বাবদ ২০ টাকা আদায় করেন।
এভাবে ওই বিদ্যালয়ের ৫৪৪ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১৬ হাজার ৩২০ টাকা আদায় করেন তিনি। তবে পরীক্ষা বাবদ কোন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নেয়ার কোন নিয়ম নেই। তবে অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম খাঁন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মুকুল কুমারের সাথে আতাত করে এ কাজটি করেছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর পূর্বক অর্থ আদায়ের ঘটনায় অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। মহিষখোচা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক আ,স,ম রওশন নবী বলেন, সরকারী নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে সহকারী শিক্ষা অফিসার মুকুল কুমারের সাথে আতাত করে প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম খাঁন অর্থ আদায় করে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন। তিনি সুষ্ঠ তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
এদিকে ওই প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম খাঁনের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। স্লিপ প্রকল্পের টাকা আত্নসাত ,সহকারী শিক্ষকের নিকট ঘুষ দাবী, সহকারী শিক্ষকের সাথে খারাপ আচরণসহ নানাবিধ অভি্যোগ উঠলেও এসব অভিযোগেও রয়েছেন তিনি বহাল তবিয়তে। তবে এলাকাবাসী এই প্রধান শিক্ষকের দ্রুত বদলী দাবী করে প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠ শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার দাবী জানান।
এ বিষয়ে মহিষখোচা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম খাঁন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরে তাদের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
এ বিষয়ে আদিতমারী উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মুকুল কুমারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এন,এম শরীফুল ইসলাম খন্দকার বলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে এধরনের একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে শুনেছি।
এএজেড