নয়ারহাটের ব্যবসায়ীকে জবাই করে হত্যা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক ব্যবসায়ীকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতেই বাজারের বিভিন্ন দোকানের সিসিটিভির ফুটেজে গতিবিধি দেখে জিজ্ঞাসাবাদের আটক ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটক আব্দুল মোমিন নিহত আব্দুর রহমান মাসুদের খালাতো ভাই ও তার কর্মচারী বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের মিরাপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের পুত্র।
গোবিন্দগঞ্জ থানা ও নিহতের স্বজনরা জানান, সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাতে উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের নয়ারহাট নামক শীতবস্ত্রের বাজারে এশার নামাজ পড়তে মসজিদের গলির মধ্যে গেলে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা গলায় ছুরি মেরে হত্যা করে শীতবস্ত্র ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান মাসুদকে (৪০)। তিনি একই ইউনিয়নের কানাইপাড়া গ্রামের আজিজার রহমান খট্টুর পুত্র। কোচাশহর বাজারে ন্যাশনাল হোসিয়ারি নামে একটি কারখানায় শীতবস্ত্র উৎপাদনের পাশাপাশি তিনি গোবিন্দগঞ্জ কারিগরী কলেজে ল্যাব সহকারী পদে চাকুরী করতেন।
মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার কলেজ পড়ুয়া ১৭ বছর বয়সী এক পুত্র, ১৬ ও ১২ বছরের দুই কন্যা, প্রতিবন্ধী ছোট ভাই এবং স্ত্রী বিলাপ করে কাঁদছেন। প্রতিবেশী ও স্বজনরাও তাদের সান্তনা দেয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। বাবা ও মা নির্বাক হয়ে বসে রয়েছেন। এ সময় নিহতের স্ত্রী নারগিস তার স্বামীর হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান। দুই কন্যা নাজনিন, সুমাইয়া ও প্রতিবন্ধী ছোট ভাই মামুনও কান্নাজড়িত কণ্ঠে একই দাবী করেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দিন জানিয়েছেন, রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি মসজিদের সামনে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এএজেড
