ডেঙ্গুর সুরক্ষায় সিটিকর্পোরেশনের অভিযান

রংপুর নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষাদিতে সিটিকর্পোরেশনের মেয়র মশক নিধন অভিযান শুরু করেছেন। তিনি বলেন ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব রংপুরে নেই। জলাশয় ক্যানেলে মশক নিধনে লার্ভিসাইড ও এডাল্টিসাইড স্প্রে করে আনুষ্ঠানিক উদ্বেধন করেন। আমাদের সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। বাসা বাড়ির আশপাশের ঝোঁপঝাড় এবং বাসার ছাদবাগান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ময়লা-আবর্জনার স্তুপ ও দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা পানিতে মশার বংশ বিস্তারের সুযোগ থাকে। আমরা নগরবাসী এসব বিষয়ে সচেতন হলে মশক নিধন কার্যক্রম সফল হবে।
মঙ্গলবার মহানগরীর শাপলা চত্বর শ্যামা সুন্দরী খাল ব্রিজ সংলগ্নে মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সিটি মেয়র এসব কথা বলেন। এসময় রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিয়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান মঞ্জু, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার তিন জোনের প্রধান মিজানুর রহমান মিজু, হাসান রাহি, শাহিনুর রহমান শাহিনসহ সিটির অন্যান্য কর্মকর্তা, কর্মচারী ওনগর বাসী উপস্থিত ছিলেন।
রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করার লক্ষ্যে মশক নিধনে চিরুনি অভিযান চালু করা হয়েছে। মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে মশার উৎপত্তিস্থল ড্রেন, নালা, জলাশয় ক্যানেলে মশক নিধনে লার্ভিসাইড ও এডাল্টিসাইড স্প্রে করা হচ্ছে।আমরা যদি সবাই মিলে মশার বংশ বিস্তার রোধে সিটি করর্পোরেশনের পাশাপাশি ব্যক্তি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে মশক নিধনে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উপর কাজ করতে পারি। এতে মশার উপদ্রব কমে যাবে।
নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, শ্যামাসুন্দরী খালে ময়লা আবর্জনা ফেলে মশার প্রজনন কেন্দ্র তৈরি করবেন না। আমরা সিটি করর্পোরেশন গত বছর থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মশক নিধন কার্যক্রম রেখেছি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া শুধু কামান ব্যবহার করে মশা তাড়ানো কষ্টকর ব্যাপার।মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা হেঁটে হেঁটে শ্যামাসুন্দরী খালের দুপাশ ঘুরে দেখেন।পরে শাপলা চত্বর বটতলা মোড়ে নগর বাসীর সাথে কুশল বিনিময় করেন।
এএজেড
