হিলিতে কমছে শীতকালীন সবজির দাম, স্বস্তিতে ক্রেতারা
সরবরাহ বাড়ায় দিনাজপুরের হিলিতে কমতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা করে কমেছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে। সামনের দিনে দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারের প্রতিটি দোকানেই সবজির ভালো সররবাহ রয়েছে। দাম কমায় দোকানগুলোতে বেচাকেনাও বেশ ভালো দেখা গেছে। শিম আগে ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ১২০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা থেকে কমে ৪০ টাকা, ফুলকপি ১২০ টাকা থেকে কমে ৬০ টাকা, কাকরুল ৪০ থেকে কমে ২৫ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা কমে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ঢেঁড়সের দাম কেজিতে আগের চেয়ে ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা, করলা ৪০ থেকে বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দামে পরিবর্তন হয়নি পটল ও শসার। পটল ও শসা ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আলু প্রকারভেদে ২২-২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে সবজি কিনতে আসা আলতাব হোসেন বলেন, শীতকালীন সবজি বিশেষ করে বাঁধাকপি ও ফুলকপির দাম আগে বেশি থাকায় কিনে খাওয়া সাধারণ মানুষের জন্য অসম্ভব ছিল। তবে এখন দাম কমেছে। ফলে আমরা শীতকালীন এই সবজির স্বাদ নিতে পারছি। দাম যদি আরও কমে তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে।
শিউলি আকতার নামে আরেক ক্রেতা বলেন, কয়েকদিন থেকেই শীতের আবহ চলে এসেছে। কিন্তু এর আগ থেকেই বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছিল। বাজারে বাঁধাকপি, ফুলকপি ও শিম উঠেছে। কিন্তু দাম অত্যাধিক বেশি ছিল। এতে আমাদের মতো মানুষদের ক্রয় করা সম্ভব ছিল না। তবে শীতের মৌসুম চলে আসায় এগুলোর দাম কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে রয়েছে। দাম আরও কমলে সুবিধা হবে।
সবজি বিক্রেতা টিটু হোসেন বলেন, শীতের মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই দেশের কিছু অঞ্চলের কৃষক বাড়তি লাভের আশায় আগাম শীতকালীন সবজির চাষাবাদ করেছিলেন। সেসব শীতকালীন সবজি বাজারে আসায় দাম খানিকটা বেশি ছিল। বর্তমানে কৃষকরা ক্ষেত থেকে বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজি তুলতে শুরু করেছে। এসব বাজারে আসতে শুরু করায় দাম কমছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সরবরাহ আরও বেশি গেলে দাম আরও কমবে। এ ছাড়া কিছু সবজির মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় এগুলোর দাম কিছুটা বাড়তির দিকে রয়েছে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে কেউ যেন অহেতুক মূল্যবৃদ্ধি করতে না পারে সেজন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয়। সেই সঙ্গে কারও বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অর্থদণ্ড করা হবে।
এসজি