শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শীষ আসা ধানক্ষেত পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ

কুড়িগ্রাম রাজারহাট উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আগাছা মারা বিষ প্রয়োগ করে কৃষকের দেড় একর শীষ ধরা আমন ধানের ক্ষেত পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় একটি মামলা হলে একজনকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ।

সরেজমিনে দেখা যায়, আমন ধানে ভরা সবুজ মাঠের মাঝে দেড় একর জমিতে চোখে পড়ে পুড়ে লালচে হয়ে মরে যাওয়া পাতা ও বিবর্ণ ধান গাছ। ওই মালিক হাবিবুর রহমান উপজেলার রতিশোলা গাড়ি গ্রামের শামসুল হকের ছেলে। তিনি চলতি আমন মৌসুমে প্রায় আড়াই একর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। বীজ-সার, কীটনাশক, শ্রমিকসহ প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ করে আবাদ করেন। চাচাতো ভাই মোজাম্মেল হকের ছেলে রহেদুল ইসলামের সঙ্গে জমিজমা বিরোধ চলছিল অনেক দিন ধরেই। শত্রুতার বসে গত ৩ অক্টোবর (সোমবার) রাতে রহেদুল ইসলাম ও তার সঙ্গীরা হাবিবুরের আবাদ করা জমিতে আগাছা মারা বিষ প্রয়োগ করেন। এতে প্রায় দেড় একর জমির ফসল পুড়ে যায়।

এই ঘটনায় হাবিবুর রহমান ৪ অক্টোবর রাজারহাট থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেলে ৬ অক্টোবর একটি মামলা হয়। মামলা নম্বর ৪। এই ঘটনার মূল হোতা রহেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। বাকি আসামিরা হলেন, রহেদুল ইসলামের দুই ভাই জায়েদুল ইসলাম, খাদেমুল ইসলাম, রহেদুল ইসলামের ছেলে মনি মিয়া এবং আব্দুল গফুরের ছেলে হারুন মিয়া। সবার বাড়ি একই গ্রামে।

স্থানীয়রা জানান, হাবিবুর রহমানের বাবা শামসুল হক এবং রহেদুল ইসলামের বাবা মোজাম্মেল হক চাচাতো ভাই। মোজাম্মেল হক জীবিত থাকাকালীন তার জমি শামসুল হকের কাছে বিভিন্ন সময় বিক্রি করেছিলেন। এই জমি নিয়ে তিনি বেঁচে থাকাকালীন কোনো বিরোধ ছিল না। কিন্তু কয়েক বছর আগে তিনি মারা যাওয়ার পর থেকে তার ছেলে রহেদুল ইসলাম জমি দাবি করে আসছেন। এই নিয়ে এলাকায় চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ অনেক সালিশ হলেও রহেদুল তার পক্ষে কোনো দলিল দেখাতে পারেননি। কিন্তু তারপরেও তিনি তার বাবার জমি দাবি করে আসছেন। এই নিয়ে মামলাও রয়েছে। গ্রামের অনেক মানুষকে তিনি মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছেন। এখন প্রভাব দেখিয়ে জমির ফসল নষ্ট করছেন।

কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ করে আড়াই একর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। এতে করে ৭৫/৮০ হাজার টাকাসহ আনুমানিক একশ মণের বেশি ধান ক্ষতি হয়ে গেল। এর আগে মাস দুয়েক আগেও তার ২৫ শতক আমন বীজ তোলা এবং গত বছর পাকা বোরো ধান এভাবেই পুড়িয়ে দিয়েছিল রহেদুল। এলাকায় রহেদুলের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকলেও অন্য কারো সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব নেই বলেও জানান।

তিনি আরও বলেন, নইমুদ্দি ও লতিফা বেগম নামে দুজনকে ৪৫ শতক জমি বন্ধক দেওয়া আছে। আমার জমির সঙ্গে তাদেরও আবাদ করা জমির ফসলও পুড়ে গেছে। এই ঘটনায় তিনি একটি মামলা করেন। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

হাবিবুর রহমানের স্ত্রী হাবিবা বেগম বলেন, ধার করাসহ নিজেদের জমানো টাকা দিয়ে এবার আবাদ করা হয়েছে। এত বড় ক্ষতি করায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি। কীভাবে ঋণ শোধ করব? সন্তানদের নিয়ে চলব কীভাবে দুশ্চিন্তা কাজ করছে? সামনে নবান্ন পালন করা হবে না।

বন্ধক নেওয়া নইমুদ্দি বলেন, হাবিবুরের কাছ থেকে প্রায় ১০ বছর থেকে জমি বন্ধক নিয়ে আবাদ করে সংসার চালিয়ে আসছি। এবারেও ৩০ শতক বন্ধকি জমিতে ২৫/৩০ হাজার টাকা খরচ করে আবাদ করেছি। হাবিবুরের জমির সঙ্গে আমার জমিও জ্বলে গেছে।



একই অবস্থা তিস্তা নদীর ভাঙনকবলিত লতিফা বেগম বলেন, হাবিবুরের কাছ থেকে ১৫ শতক বন্ধক নেওয়া জমির আবাদও নষ্ট হয়ে গেছে। এনজিও ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। অসময়ে এমন ক্ষতিতে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কিস্তি পরিশোধ এবং খাবারের দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তার।

গ্রামবাসী রফিকুল ইসলাম বলেন, আনুমানিক একশ বিশ মণ ধান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন বিষ প্রয়োগ করছে ধানের শীষ ও গাছ সব জ্বলে গেছে। ধানের গাছ গরুর খাবার হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে না। এমন অমানুবিক কাজ যারা করেছে তার কঠিন বিচার চাই।

গ্রামবাসী আব্দুল্লাহ বলেন, মানুষের সঙ্গে মানুষের শত্রুতা থাকতে পারে। তার জন্য কোট-কাচারি, থানা আছে। ফলন বাড়ানো জন্য সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে তেল, সার, কীটনাশক। শত্রুতা বসে ফসলহানী করে দেশ ও মানুষের ক্ষতি করার অধিকার কারো নেই। যারা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এই বিষয়ে রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু সরকার জানান, বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে দেড় একর জমির ফসল পুড়িয়ে ফেলার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে একটি মামলাও হয়েছে। রহেদুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।

এসএন

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি