স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ
রংপুরের কাউনিয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার বিকেলে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২ এর বিচারক তারিক হোসেন এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষনার সময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কঠোর পুলিশী পাহারায় রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার এজাহারের বিবরনে জানা গেছে, রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বাজেমসকুর গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম বাবুল ঢাকায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। সেখানে আম্বিয়া খাতুন ওরফে লতার সাথে তার পরিচয় হয়। পরে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিছুদিন ঘর সংসার করার পর আসামী বাবুল তার স্ত্রীকে না জানিয়ে গোপনে রংপুরে তার বাড়িতে চলে আসে।
গত ২৫ জুলাই ২০১৬ইং তারিখে বাবুলের স্ত্রী লতা স্বামীর খোজে রংপুরে তার বাসায় আসে। এখানে এসে দেখকে পায় তার স্বামী বাবুল আগের একজন স্ত্রী ও সন্তান আসে। তার পরেও স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করার একদিন পর ২৬ জুলাই ২০১৬ইং তারিখে আম্বিয়া খাতুন লতাকে রাতে তার স্বামী ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাস রোধ করে হত্যা করে।
এ খবরে পুলিশ এসে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় ঢাকা থেকে রংপুরে এসে নিহত লতার ভাই মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামী আমিনুল ইসলাম বাবুলকে দোষি সাব্যস্ত করে বিজ্ঞ বিচারক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি নয়নুর রহমান টফি এ্যাডভোকেট তিনি জানান, বাদী পক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে ।এ রায়ে তারা সন্তোষ্টো। আসামী পক্ষের আইনজীবি আবুল হোসেন এ্যাডভোকেট জানান ,তার মক্কেল ন্যায় বিচার পায়নির এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল দায়ের করা হবে।
এএজেড