ধ্বসে গেছে ব্রীজ, দশ গ্রামবাসীর ঝুঁকি নিয়ে পারাপার
এক সময়ে নির্মিত ব্রীজটি সংস্কার অভাবে একপাশের ইটের গাঁথুনি-মাটি ধ্বসে পরিনত হয়েছে মরণ ফাঁদে। সেখানে নিচে বাঁশের খুটি ও ওপরে বাঁশ বিছিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে দুপাশের দশ গ্রামের শিক্ষার্থীসহ হাজারো নারী-পুরুষ। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের জাফর মুংলিশপুর ঘাটের 'ছকআটা ধর' নামক স্থানে সেতুটির অবস্থান।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাশের হোসেনপুর ইউনিয়নের আমবাগান এলাকায় প্রায় ১৫ বছর পূর্বে আখ ক্রয় কেন্দ্র বসিয়ে চাষীদের কাছ থেকে আখ ক্রয় করা হতো। ওই সময়ে জাফর মুংলিশপুর এলাকায় চাষীদের আখ সেন্টারে যাতায়াতের সুবিধার্থে 'ছক আটা ধর' এলাকায় একটি ব্রীজ নির্মাণ করে আখ ক্রয় কতৃপক্ষ। সময়ের ব্যবধানে ব্রীজটির ইট ধ্বসে ব্রিজটির একাংশ ভেঙ্গে যায়।
এরপর দীর্ঘদিনেও ব্রীজটি সংস্কার না হওয়ায় বাঁশের খুটির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন-পায়ে হেঁটে চলাচল করছে কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের জাফর, মুংলিশপুর,পাল পাড়া, শীলপাড়া, গনকপাড়া, হাসানখোর, রামচন্দ্রপুর, জাইতরসহ অন্তত ১০ গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
জাফর- মুংলিশপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মোখলেসুর রহমান ও মকবুল হোসেন জানান, ব্রীজটির সংস্কার অভাবে ভোগান্তির যেন শেষ নেই আমাদের। বিকল্প সড়ক না থাকায় এ পথেই জীবন-সম্পদের ঝূঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী,ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবি এনজিও কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশা মানুষ।
তারা আরো জানান, বাঁশের চাটাই বিছানো ব্রীজ দিয়ে বাইসাইকেল, মোটর সাইকেল, অটো-চালিত ভ্যান, মাল বোঝাই ভ্যানসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য কৃষকরা তাদের ফসল বিক্রয়ের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের হাটবাজারগুলোতে যাতায়াত করতে হয়। কিশোরগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যা মর্জিনা বেগম জানান, এ পথে চলাচলে দুপাশের অন্তত: দশ গ্রামের আট সহস্রাধিক মানুষ দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছে। বড় ধরণের জানমালের ক্ষতি এড়াতে দ্রুত ব্রীজটি সংস্কার কিংবা নতুন ব্রীজ নির্মাণ সময়ের দাবি।
কিশোরগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান অবু বক্কর সিদ্দিক জানান, এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ অত্যন্ত জরুরী। এতে এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকায় গতি আসবে। এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন জানান, জনদূর্ভোগ লাঘবে খোঁজ নিয়ে ব্রীজ নির্মাণ-সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এএজেড