সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড না দেওয়ায় রেললাইনে অবরোধ

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সময় মতো রেল ক্রসিং গেইট ব্যারিকেড না দেওয়ায় অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ফুলবাড়ী-রংপুর সড়কে চলাচলকারী পথচারীসহ যানবাহন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় রেলের খালাসি মেটের সাথে স্থানীয় যুবকের হাতাহাতি হলে ঘণ্টাব্যাপী রেলপথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা।

গতকাল সোমবার সকাল ১০ টা ৫২ মিনিটে ফুলবাড়ী-রংপুর সড়কের রেলঘুমটিতে এ ঘটনা ঘটে। এতে চিলাহাটি-পঞ্চগড়-খুলনা-রাজশাহী-ঢাকা পথে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে থানা পুলিশ ও জিআরপি পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে রেল চলাচলা স্বাভাবিক হয়।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি সকাল ১০ টা ৫২ মিনিটে ফুলবাড়ী স্টেশনে প্রবেশ করার জন্য আউটারে চলে আসে। কিন্তু ওইসময় দায়িত্বরত গেইটম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন গেইটে উপস্থিত না থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাদের চিৎকারে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে রফিকুল ইসলাম নামের এক স্থানীয় পান দোকানী ছুটে এসে ব্যারিকেডটি ফেলেন।

পরে স্থানীয়রা ক্ষীপ্ত হয়ে দায়িত্বরত ওই গেইটম্যানকে খুঁজে না পেয়ে রেলের খালাসি মেট জয়নাল সাথে স্থানীয়দের সাথে কথা কাটা কাটি শুরু হয়। এ সময় খালাসি মেট জয়নাল স্থানীয় যুবক সোহেলের ওপর চড়াও হয়ে কিলঘুষি মারেন। এ ঘটনায় ক্ষীপ্ত হয়ে স্থানীয়রা ঘণ্টাব্যাপী রেলপথ অবরোধ করে রাখলে পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি আউটারে এবং রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকে। এতে চিলাহাটি-পঞ্চগড়-খুলনা-রাজশাহী-ঢাকা পথে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও জিআরপি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী বাদশা মিয়া, রুবেল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম বলেন, রূপসা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি স্টেশনে প্রবেশ করার জন্য আউটারে চলে আসে। কিন্তু ওইসময় দায়িত্বরত গেইটম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন না থাকায় রেলক্রসিং ব্যারিকেড গেইটটি অরক্ষিত হয়ে পড়ে। আমরা ওই গেইটম্যানকে অনেক খোঁজাখুঁজে করেও তাকে ঘটনাস্থলে পাইনি। পরে আমাদের চিৎকারে পান দোকানী রফিকুল ইসলাম ছুটে এসে ব্যারিকেড গেইটটি ফেললে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় পথচারীসহ চলাচলরত যানবাহন। ওই গেইটম্যানকে না পেয়ে খালাসি মেট জয়নাল আবেদিনের কাছে গেইটম্যানের খোঁজ করলে তিনি চড়াও হন। সেসময় স্থানীয় যুবক সোহেলকে কিলঘুষি মেরে জখম করেন।

তারা আরও বলেন, ওই গেইটম্যান প্রায় সময় বিভিন্ন দোকানে আড্ডা দেওয়াসহ ফোনে ব্যস্ত থাকেন। ইতোপূর্বেও গেইটম্যানের দায়িত্ব অবহেলার কারণে এই ব্যাডিকেড গেইটে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। দায়িত্বরতদের অবহেলার কারণে যেন প্রাণহানি না ঘটে সে বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ট্রেনযাত্রী মো. সরওয়ার্দী ও তসলিমা বেগম বলেন, এক ঘণ্টা থেকে ট্রেন থেমে আছে। শুনেছি ফুলবাড়ী রেলক্রসিং গেইটে স্থানীয়রা অবরোধ করে রেখেছেন।

মারধরের বিষয়ে খালাসি মেট জয়নাল আবেদিন বলেন, স্থানীয়রা গেইটম্যানকে খুঁজে না পেয়ে আমার ওপর ক্ষীপ্ত হলে তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। দায়িত্বরত ওই গেইটম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি নাস্তা করতে পাশের একটি হোটেলে গিয়েছিলাম। আসতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় রূপসা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি আউটারে চলে আসে। ওইসময় তাড়াহুড়া করে আমিসহ পান দোকানী রফিকুল ইসলাম দৌঁড়ে এসে দুইপার্শ্বের ব্যারিকেড নামিয়ে দেই।

এ বিষয়ে ফুলবাড়ী রেলস্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, ১০ টা ৫২ মিনিটে রূপসা এক্সপ্রেস ও তিতুমীর এক্সপ্রেসের সাথে ক্রসিং হওয়ার কথা ছিল,তার আগে গেইটম্যানকে অবগত করা হয়। কিন্তু সড়কে যানজট থাকায় গেইট ব্যারিকেডটি নামাতে দেরি হয়। এই কারণে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তবে স্থানীয়দের সাথে ওই খালাসি মেটের হাতাহাতির বিষয়টি আমার জানা নেই। স্থানীয়দের অবরোধে সকাল ১০ টা ৫২ মিনিট থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে দুপুর ১২ টা ১৫ মিনিটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশ্রাফুল ইসলাম ও পার্বতীপুর রেল পুলিশের (জিআরপি) অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় সোহেল নামের এক যুবককে খালাসি মেট জয়নাল আবেদিন ঘুষি মেরে জখম করেন। এতে স্থানীয়রা ক্ষীপ্ত হয়ে রেলপথ অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে