বগুড়ায় অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়: পালানোর সময় আটক ৫ পুলিশ সদস্য

ছবি: সংগৃহীত
বগুড়ার ধুনট থেকে দুই ব্যক্তিকে অপহরণ করে তিন লক্ষাধিক টাকা মুক্তিপণ আদায়ের পর পালানোর চেষ্টাকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার পাঁচ সদস্যসহ ছয়জনকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। আটককৃতদের কাছ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা ও পুলিশের একটি ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে রোববার (২৪ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলার বীরগ্রাম এলাকায়। কুন্দারহাট হাইওয়ে থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়। বিষয়টি বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এসআই শাহিন মোহাম্মদ অনু ইসলাম, কনস্টেবল রিপন মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, মাহবুব আলম, বাশির আলী এবং মাইক্রোবাস চালক মেহেদী হাসান।
পুলিশ সুপার জানান, আরএমপির ওই পাঁচ সদস্য কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের দীঘরকান্দি গ্রামের রাব্বী ও জাহাঙ্গীর নামের দুই ব্যক্তিকে ক্যাসিনো খেলার অভিযোগে আটক করেন। তাদের মাইক্রোবাসে তুলে শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় গাড়ি থামিয়ে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দর-কষাকষির পর নগদ দুই লাখ টাকা এবং বিকাশ ও নগদ অ্যাপের মাধ্যমে আরও এক লাখ ৩০ হাজার টাকা আদায় করার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
বগুড়া জেলা পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে শেরপুর ও শাজাহানপুর থানার পুলিশ মাইক্রোবাসটি আটক করার চেষ্টা করে। ব্যর্থ হলে হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় শাজাহানপুর থানার বীরগ্রাম এলাকায় মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়।
আটককৃতরা নিজেদেরকে আরএমপির গোয়েন্দা শাখার সদস্য বলে দাবি করলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়, তারা অনুমতি ছাড়াই বগুড়ায় এসেছিলেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ধুনট উপজেলার বাসিন্দা ও আরএমপি গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত কনস্টেবল ওয়াহাব ছুটি নিয়ে দুই দিন আগে বাড়িতে আসেন। তার তথ্যের ভিত্তিতেই আটক পাঁচজন ধুনটে আসেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
আটককৃতদের হাইওয়ে পুলিশ ধুনট থানায় হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের একজন বাদী হয়ে অপহরণ মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
