এক কেজি ফুলকপির দাম ১ টাকা! কৃষকের মাথায় হাত
ছবি: সংগৃহীত
বগুড়ার মহাস্থান হাটে শীতকালীন সবজির পাইকারি বাজারে দর পড়ে গেছে তলানিতে। ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১ থেকে ৪ টাকায়। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকরা দিশেহারা, কারণ উৎপাদন খরচ তোলাই এখন অসম্ভব।
বগুড়ার অন্যতম বড় সবজির মোকাম মহাস্থান হাটে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে সবজির দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুল হান্নান জানান, এবার এই অঞ্চলে বেশি পরিমাণে কপির চাষ হওয়ায় সরবরাহ বাড়লেও ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম। ফলে পাইকারি বাজারে ফুলকপির মতো সবজি মাত্র ১ থেকে ৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কৃষক সৈকত মন্ডল বলেন, "হাটে কেজি প্রতি পরিবহন খরচও উঠছে না। ফুলকপির দাম ১ টাকায় নামবে, তা কল্পনাও করতে পারিনি।"
অন্যদিকে কৃষক আসমত আলী জানান, এক বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।
পাইকারি বাজারে সবজির দাম এতটাই কম যে ব্যাপারীরাও লাভ করতে পারছেন না। টাঙ্গাইল থেকে আসা ব্যবসায়ী আরিফ জামান বলেন, "আগে কেজি প্রতি ভালো লাভ থাকলেও এখন পরিবহন ও শ্রমিক খরচ বাদ দিলে প্রায় শূন্য হাতে ফিরতে হচ্ছে।"
মহাস্থান হাটে ফুলকপি ও মুলা ১ থেকে ৫ টাকা কেজি হলেও পাশের খুচরা বাজারে তা ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ এখানে পরিবহন বা অন্যান্য খরচ নেই।
জেলায় এবার ১২ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ হয়েছে। মহাস্থান হাট থেকে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক সবজি দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।
কৃষকদের এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বাজার ব্যবস্থাপনায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।