মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বদলগাছিতে মাইক্রোবাস থেকে ককটেল নিক্ষেপ, ৬টি উদ্ধার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর বদলগাছীতে মাইক্রোবাস থেকে দুটো ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া অবিস্ফোরিত ৬টি ককটেল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার (৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গোবরচাঁপা হাট নামক স্থানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুল ফটকের সামনে এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর ফলে পুরো বাজারে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ‍

এদিকে ঘটনার পর এদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তাদের বিচার দাবি করে।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা জানান, সোমবার রাতে উপজেলার মিঠাপুরের দিক থেকে একটি মাইক্রোবাস আসছিল। ওই মাইক্রোবাসটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে আসা মাত্রই হঠাৎ করে ককটেল বিস্ফোরণে শব্দ শোনা যায়। ধারণা করা হচ্ছে ওই মাইক্রোবাস থেকে ককটেলগুলো নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে কারো কোনো ক্ষতি না হলেও বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মাইক্রোবাসটি গোবরচাঁপা হয়ে বদলগাছীর দিকে চলে যায়।

রাত সাড়ে নয় টার দিকে জানতে চাইলে বদলগাছী উপজেলা বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু রায়হান গিটার মুঠোফোনে বলেন, আমি শব্দ শুনতে পেয়ে সেখানে যাই। গিয়ে শুনতে পাই দুটো ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। মাইক্রোবাস থেকে ককটেল গুলো নিক্ষেপ করা হয়েছে। আর জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। তিনি আরও বলেন, দেশ ও সমাজকে অস্থিতিশীল করা কারো কাম্য নয়। আমরা সমাজকে ভালো করে গড়তে চাই। তবে জয় বাংলার স্লোগান দেওয়াতে আমরা মনে করছি আওয়ামীলীগের দোসরার এখনও আছে এবং জানান দিচ্ছে তারা মাঠে আছে। তাই যারা এধরণের অন্যায় কাজ করবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

রাত দশটার দিকে বিষয়টি ঢাকাপ্রকাশকে নিশ্চিত করেছেন বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্জাহান আলী। তিনি বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা হই। এসময় দুটো সাদা মাইক্রোবাস বদলগাছীর দিকে চলে যেতে দেখা যায়। এরপর আমরা ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত তাজা ৬টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেখানে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।

তিনি আরও বলেন, এঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে তারা কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছে সেটা আমার জানা নেই। মামলার প্রস্তুতি চলছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad

মোহাম্মদপুরে ডাস্টবিনে মিলল মানুষের খণ্ডিত পা

মোহাম্মদপুরে ডাস্টবিনে মিলল মানুষের খণ্ডিত পা। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ডাকাতি, ছিনতাই ও খুনসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন বাসিন্দারা। এরই মধ্যে মোহাম্মদপুরের রাজিয়া সুলতানা রোডে একটি ডাস্টবিনে মানুষের খণ্ডিত পা দেখা গেছে।

গোড়ালির কিছুটা ওপর থেকে কাটা ওই পায়ে ব্যান্ডেজ করা রয়েছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে মোহাম্মদপুরের রাজিয়া সুলতানা রোডে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান বলেন, স্থানীয়দের খবরে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো হাসপাতালের থেকে দুই দিন আগে কাটা পা, কোনভাবে এখানে চলে আসছে। পায়ের ব্যান্ডেজ এবং কাটার ধরন দেখে মনে হচ্ছে চিকিৎসকেরা কেটে বাদ দিয়েছে। কোনো রক্ত নেই, একেবারে শুকনো। কিভাবে এখানে এসেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মোহাম্মদপুরে ডাকাতি, ছিনতাই ও খুনসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাগাতার অভিযানে নেমেছে যৌথ বাহিনী।

Header Ad

আজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ। আগামী চার বছর যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নীতিসহ বিশ্ব রাজনীতির মেরুকরণে কে প্রভাব বিস্তার করবে এ নিয়ে বিশ্ববাসীর নজর এখন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে।

এবার স্মরণকালের সর্বোচ্চ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটযুদ্ধ হতে যাচ্ছে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের মধ্যে। দেশটির ইতিহাসে এবারই প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত কোনো নারী প্রার্থীর মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। তিনি নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাস হবে। প্রথম কোন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে দেশটি। অন্যদিকে, কমলার কোনো অংশে কম নন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে তিনিও এগিয়ে আছেন সমানে সমানে। এই দুই প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি ভোটযুদ্ধের ফলাফলের অপেক্ষায় বিশ্ব।

পুরো বিশ্বের চেয়েও মার্কিন নির্বাচনের দিকে অধির আগ্রহে তাকিয়ে আছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা এবং দখলদার ইসরায়েলের দুই দেশের নাগরিকরা।

নিজের জলপাই মাড়াইয়ের যন্ত্রটির পাশে দাঁড়িয়ে আছেন পশ্চিম তীরের তারমাস আয়া অঞ্চলের ফিলিস্তিনি-মার্কিন উদ্যোক্তা জামাল জাগুলুল। তবে তার মন রয়েছে, হাজার মাইল দূরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে। এই অঞ্চলটি ফিলিস্তিনি-মার্কিনরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।

তিনি জানিয়েছেন, তারা এখানে অনেক সমস্যায় আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কেউই তাদের নিয়ে ভাবেন না। তারা এবার পরিবর্তন চান। তারা আরেকটি দলকে চায়। আরেকটি স্বাধীন ভিন্ন দল। কেউ তাদের সাহায্য করছে না।

যদিও গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েলকে একতরফা সমর্থন দিয়ে আসছে বাইডেন প্রশাসন। দিয়েছে আর্থিক সহায়তা ও অস্ত্র। তবে বেশিরভাগ ইসরায়েলি ঝুঁকছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে। কারণ, তারা আর রক্তপাত চায় না। এবার যুদ্ধের ইতি টানতে চান সাধারণ মানুষ। তার মনে করেন, যুদ্ধবিরতি আলোচনায় এবং বন্দিমুক্তিতে ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।

এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প অথবা কমলা, যেই নির্বাচিত হন না কেন, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনতে কতটুকু কার্যকর হবে তা অনেকটা অনিশ্চিত। কেননা নির্বাচনী প্রচারণায় যুদ্ধবিরতির কথা বললেও দুজনেই ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছেন। তারা গাজায় বোমাবর্ষণ, খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করা, চিকিৎসার সুযোগ না দেওয়া, রোগের বিস্তার ঘটানো ও জোরপূর্বক স্থানান্তর প্রভৃতি ভয়ঙ্কর নীতির প্রশ্নে মন্তব্য করেননি। সুতরাং নির্বাচনের ফল যাই হোক না কেন গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ নিরসনের সম্ভাবনা শূন্য। ফলে চিন্তিত গাজাবাসী।

এদিকে গাজা ও ইসরায়েলের পর আরেকটি দেশ অনেকটা নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করে অপেক্ষা করছেন মার্কিন নির্বাচনের দিকে। ইউক্রেন-বাসী প্রার্থনা করছেন কমলা যেন প্রেসিডেন্ট হয়। কারণ, জয়ী হলে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন কমলা। ইউক্রেনের নাগরিক ইনানা জানান, তারা অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফল নিয়ে চিন্তায় আছেন। কারণ, তাদের শত্রুকে (রাশিয়া) পরাজিত করতে চান তারা। তার দেশের ভাগ্য ঝুলছে পাঁচ হাজার মাইলেরও বেশি দূরের দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের হাতে। তিনি আশাবাদী কমলা জয়ী হবেন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন করবেন।

অন্যদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনকে কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

গাজা-ইউক্রেন ছাড়াও রাশিয়ার নজরও এখন মার্কিন নির্বাচনের দিকে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করায় মস্কোর আগ্রহ অন্যদের চেয়ে বরং বেশিই থাকার কথা। ২০১৬ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে যখন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হলেন তখন রাশিয়ার উগ্র-জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ ভ্লাদিমির ঝিরিনোভস্কির আনন্দ ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে এবারের নির্বাচনে কোনো রুশ রাজনীতিবিদ বা কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে জয়লাভের সম্ভাবনার বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি।

মার্কিন নির্বাচনের প্রভাব পড়েছে চীনেও। দেশটির সাধারণ জনগণও অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে নজর রাখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে। অবশ্য তাদের মধ্যেও কিছুটা শঙ্কাও কাজ করছে। জিয়াঙ নামের ষাটোর্ধ্ব একজন চীনা নাগরিক জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউই যুদ্ধ দেখতে চায় না। চীন-মার্কিন সম্পর্কে টানাপড়েন ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন তিনি।

Header Ad

বিএনপির সঙ্গে ঐক্যে আগ্রহী আওয়ামী লীগ: ড. হাছান মাহমুদ

সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যভিত্তিক বাংলা স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল ‘চ্যানেল এস’-এর মতামতভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘অভিমত’-এ গত ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির সঙ্গে ঐক্যের সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রয়োজন হলে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত রয়েছে।

আওয়ামী লীগের সংকট মোকাবিলা ও ঐক্যের বার্তা: অনুষ্ঠানের সঞ্চালক বুলবুল হাসানের প্রশ্নের উত্তরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ অতীতেও সংকট মোকাবিলা করেছে এবং সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশের প্রতি বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং টানা চারবার ক্ষমতায় এসেছে। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের বিপর্যয় ইতোপূর্বেও ঘটেছে, কিন্তু আমরা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছি।”

জাতীয় সংকটে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা: ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জাতীয় রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বিএনপির অনেক বক্তব্যের সঙ্গে আওয়ামী লীগ একমত। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ১/১১-এর সময় বিএনপির সঙ্গে মিলে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে শরিক হয়েছিল। বর্তমানেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর অনেক বক্তব্য, যেমন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি, আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে গেলে দেশের গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে একযোগে কাজ করার সুযোগ তৈরি হতে পারে।

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের বিরোধিতা ও রাজনৈতিক সংকট: বিএনপি কর্তৃক ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, “কোনো রাজনৈতিক দলকে কাগজে কলমে নিষিদ্ধ করলে তার কার্যকারিতা নেই। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা অলীক কল্পনা।” তিনি আরও বলেন, “যে দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সৃষ্টি, সেই দলকে নিষিদ্ধ করার চিন্তা কেবল বিভ্রান্তিকর।”

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার: ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়ে বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জাতীয় নেতাদের হত্যা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। ৫ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিও এ ধরনের ষড়যন্ত্রের ফসল।” পুলিশি নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আত্মরক্ষার অধিকার পুলিশের রয়েছে, এবং সেক্ষেত্রে সরকারের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করা হবে।”

রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব: আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাই আওয়ামী লীগের প্রাণ এবং দলীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমেই ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। বিদেশে আওয়ামী লীগ কোনো প্রবাসী সরকার গঠনের চিন্তা করছে না বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।

দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য বার্তা: দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “আওয়ামী লীগ পরপর চারবার ক্ষমতায় এসেছে এবং কঠিন সময়ও অতিক্রম করেছে। নেতাকর্মীদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই; শেখ হাসিনা দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল এবং তার মনোবল চাঙ্গা রয়েছে।” তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “এই সংকটময় সময়ও কেটে যাবে, এবং সহসা দেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসবে।”

রাষ্ট্র পরিচালনা ও ভুলের স্বীকারোক্তি: সরকারের ব্যর্থতার প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “দায়িত্বে থাকলে ভুল হবেই, এটিই স্বাভাবিক। আমরাও বিভিন্ন সময়ে ভুল করেছি। কিন্তু ভুল থেকেই শিক্ষা নেওয়া উচিত, এবং সেখান থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।”

এই আলোচনার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের অবস্থান পরিষ্কার হলো যে, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে প্রয়োজন হলে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করতেও দলটি প্রস্তুত।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মোহাম্মদপুরে ডাস্টবিনে মিলল মানুষের খণ্ডিত পা
আজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
বদলগাছিতে মাইক্রোবাস থেকে ককটেল নিক্ষেপ, ৬টি উদ্ধার
বিএনপির সঙ্গে ঐক্যে আগ্রহী আওয়ামী লীগ: ড. হাছান মাহমুদ
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ বন্ধ, বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সরকারের ৪০ হাজার কোটি ঋণ পরিশোধ
টাঙ্গাইলে ৩৫০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
গণপিটুনিতে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ভাগ্নে নিহত
মেগা চুরির জন্য আওয়ামী লীগকে আরেকবার দরকার: নির্মাতা ফারুকী
বিরামপুরে ট্রাকের ধাক্কায় দুই যুবক নিহত
পদে পুনর্বহালের দাবিতে ১০ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের একক কণ্ঠে আন্দোলন
ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল, সদস্য সচিব মোস্তফা জামান
এস আলমের সম্পত্তি নিলামে তুললো জনতা ব্যাংক, ১৮৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠোর পদক্ষেপ
১০ জেলা ও মহানগরে বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা
ভারতে পবিত্র মনে করে মন্দিরের এসির পানি পানের হিড়িক, সতর্কতা জানালেন বিশেষজ্ঞরা
যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন স্বর্ণযুগে নেওয়ার অঙ্গীকার ট্রাম্পের
থেমে থাকা ট্রাকে অপর ট্রাকের ধাক্কায় হেলপার নিহত, আটক ২
বিএনসিসি অধিদপ্তরে চাকরির বিশাল সুযোগ
পর্নোগ্রাফি ও জুয়ার ওয়েবসাইট-লিংক বন্ধের দাবি
এবারের জন্মদিনে ধূমপান ছেড়ে দিলেন শাহরুখ খান