শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কুজাইল মেলার মূল আর্কষণ প্রথম দিন নৌবহর, দ্বিতীয় দিন হয় বউ মেলা

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

একেক নৌকা একেক রকমের সাঁজানো। ঢাক-ঢোল আর সাউন্ড বক্স ও মাইকের সাউন্ডে মুখরিত চারিদিক। সনাতন ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন বয়সের ছেলে-মেয়ে, শিশু, কিশোর, কিশোরী, যুবক-যুবতীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের নাচানাচি। আর সেই দৃশ্য উপভোগ করতে নদীর দু’পারের ভিড় করেন হাজারো মানুষ। এমনই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য ফুটে উঠেছে নওগাঁর রাণীনগরে লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে ছোট যমুনা নদীতে নৌকার নৌবহরে। এ পূজা উপলক্ষে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের কুজাইল বাজারে বসে গ্রামীণ মেলা। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ এ মেলা এখনো ধরে রেখেছে তার ঐতিহ্য।

লক্ষ্মী মানে শ্রী সুরুচি। লক্ষ্মীকে ধন সম্পদ আর সৌন্দর্যের দেবী বলে মনে করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তাই লক্ষ্মীপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। শারদীয় দুর্গোৎসবের কয়েকদিন পর পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মীপূজার আরাধনা করা হয়। নারী-পুরুষ উভয়েই এ পূজায় অংশ গ্রহণ নেয়। বুধবার লক্ষ্মীপূজা শুরু হয়। এরপর শুক্রবার ছোট যমুনা নদীতে লক্ষ্মী প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূজার সমাপ্তি হয়।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

স্থানীয়রা তাদের শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতিমা বিসর্জনের দিন থেকে লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে কুজাইল বাজারে দুই দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলার আয়োজন করে থাকেন। মেলায় বসে হরেক রকমের দোকানপাট। মেলার প্রথম দিন শুক্রবার মূল আর্কষণ নৌবহর। দ্বিতীয় দিন হয় বউ মেলা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাশিমপুর রাজবাড়ির রাজবাহাদুর শ্রী. অন্নদা প্রসন্ন লাহিড়ীর রাজত্ব পরিচালনার আগে থেকে লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রায় দুই’শ বছর থেকে লক্ষ্মী প্রতিমা বিসর্জনের দিন থেকে এ মেলা শুরু হয়। ঐতিহ্যবাহী এ মেলার বিশেষ আর্কষণ লক্ষ্মী প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে ছোট যমুনা নদীতে নৌবহর। এদিন দুপুরের পর থেকে রাণীনগর, আত্রাই, মান্দা, নওগাঁ সদরসহ কয়েকটি উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকায় চড়ে আসতে থাকে। পাশাপাশি মেলা ও নৌবহর উপভোগ করার জন্য নৌকায় ঘুরে বেড়ান অন্যান্য ধর্মের মানুষও। সাউন্ড বক্স, মাইক আর ঢাকের তালে তালে নৌকায় বিনোদনপ্রেমীদের নৃত্যে মুখরিত হয়ে উঠে ছোট যমুনা নদী। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মিলনমেলায় পরিণত হয় নদীর দু’পার। শুক্রবার প্রায় তিন শতাধিক নৌকা নদীতে নৌবহরে মেতে উঠে। চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এরপর নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

কুজাইল হিন্দুপাড়া গ্রামের আশীষ কুমার বলেন, পূর্ব পুরুষেরা এ মেলা শুরু করে গিয়েছেন। আমরা শুধু ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যাচ্ছি। দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব হলেও আমাদের এখানে লক্ষ্মীপূজার আনন্দটা বেশি হয়।

গৃহবধূ মুক্তা প্রামাণিক বলেন, প্রায় ৭ বছর থেকে নৌকায় চড়ে নৌবহর উপভোগ করেছি। এবার মেলায় গিয়ে সেটা উপভোগ করবো, তাই নৌকায় চড়িনি। মেলায় এসেছি কিছু খাব এবং কেনা কাটা করবো।

মিষ্টি দোকানদার সুশিল সরকার বলেন, এই মেলা উপলক্ষে একাধিক রকমের মিষ্টি ও জিলাপি বানিয়েছি। লোকজন মেলাতে ভালোই হয়েছে। আশা করছি মেলা ভালো হবে এবং আমাদের বিক্রিও ভালো হবে।

স্থানীয় মেম্বার ও মেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শত শত বছরের এই মেলায় আমরা হিন্দু মুসলিম একে অপরকে সহযোগিতা করি। এই মেলায় অনেক দুর থেকে নৌকা নিয়ে এসে নৌবহরে যুক্ত হয়। যা হাজার হাজার নারী পুরুষ উপভোগ করে। এছাড়া এই মেলায় প্রায় দুই শত দোকান বসে যেখানে অর্ধকোটির বেশি বেচাকেনা হয়ে থাকে।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

কুজাইল বাজার জাগরণ সংসদ ক্লাব ও মেলা কমিটির সভাপতি শাহিদুর রহমান বলেন, শত শত বছর আগে থেকে লক্ষ্মীপুজা উপলক্ষে এখানে মেলা হয়ে থাকে। এই মেলার মূল আকর্ষন নৌবহর। যা নদীর উভয় পাশে হাজার হাজার নারী পুরুষ উপভোগ করে। এরপর মেলায় জামাইদের বড় বড় মাছ, মিষ্টিসহ হরেক রকমের খাবার কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়। এছাড়া পরের দিন বউমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আমরা হিন্দু মুসলিম উভয়ে মিলেমিশে এই আনন্দ উপভোগ করি। আমাদের এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে। যা বলা যায় এক প্রকার সেতু বন্ধন।

Header Ad
Header Ad

বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে চতুর্থদিনের অনশন, বিকালে তিতুমীর শিক্ষার্থীদের অবরোধের হুমকি

ছবি: সংগৃহীত

তিতুমীর কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে টানা চতুর্থদিনের মতো অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা গেছে, কলেজের প্রধান ফটকের সামনে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়ে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।

আন্দোলনকারীরা দাবি জানিয়েছেন, আজ বিকাল ৪টার মধ্যে সরকার যদি বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না জানায়, তাহলে তারা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সড়ক অবরোধ করবেন।

আন্দোলনকারীদের নেতা নায়েক নূর মোহাম্মদ বলেন, “আজ বিকাল ৪টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা না এলে আমরা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সড়ক অবরোধ করব।”

শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বেলা ১১টায় জানান, “আমরা বিকাল ৪টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছি। এর মধ্যে যদি ঘোষণা না আসে, তাহলে শিক্ষার্থীরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।”

আন্দোলনের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ‘তিতুমীর ঐক্য’ জানিয়েছে, বিশ্ব ইজতেমার কারণে রোববার বেলা ১১টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি শিথিল থাকবে। তবে অনশন চলবে নিরবচ্ছিন্নভাবে।

 

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো:

আন্দোলনকারীদের সাত দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—

রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি কার্যক্রম চালু করা

শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা অথবা আবাসন ব্যয় বহন করা

আইন ও সাংবাদিকতা বিভাগের সংযোজন

পিএইচডিধারী যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া

আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা এবং পর্যাপ্ত জমি ও অর্থ বরাদ্দ দেওয়া

 

গত সোমবার রাতে ‘তিতুমীর ঐক্য’র পক্ষ থেকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও প্রশাসনিক কাঠামো গঠনের দাবি জানানো হয়। কিন্তু দাবির প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় মঙ্গলবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ‘শাটডাউন তিতুমীর’ কর্মসূচি শুরু হয়।

এর আগে, গত ৭ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা কলেজের প্রধান ফটকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি ব্যানার টানিয়ে দেন।

গত ১৮ নভেম্বর মহাখালীতে আমতলী, কাঁচাবাজার ও রেলক্রসিং এলাকায় সড়ক অবরোধ করে শত শত শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেন। পরে ৩ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই কমিটি সঠিকভাবে কাজ করছে না।

 

Header Ad
Header Ad

আলাউদ্দিন নাসিমের গুলশানের বাড়ি গোপন, দুদকের তদন্ত শুরু

ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার গুলশানে শত কোটি টাকার বাড়ির তথ্য নির্বাচনি হলফনামায় গোপন করেছেন ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। তার হলফনামায় এই বাড়ির উল্লেখ না থাকায় বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্তে নেমেছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম একসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালের পর আওয়ামী রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য কোনো পদ না থাকলেও প্রশাসনে বদলি, পদায়ন, বিনা টেন্ডারে কাজ পাইয়ে দেওয়া এবং বিদ্যুৎ কোম্পানির লাইসেন্সের মাধ্যমে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হন।

নির্বাচনি হলফনামার সম্পদের বিশ্লেষণ

২০২৪ সালের নির্বাচনি হলফনামা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, স্থাবর সম্পদের তালিকায় তিনি উল্লেখ করেছেন—

কৃষিজমি: ১০ কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৪৭ টাকা,

স্ত্রীর নামে কৃষিজমি: ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৬ টাকা,

অকৃষি জমি: ২৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা,

স্ত্রীর নামে অকৃষি জমি: ৭৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা,

তিনটি আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন: ৮ কোটি ৫২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৬৬ টাকা,

ছয়টি বাড়ি: ১২ কোটি ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ৯২০ টাকা,

স্ত্রীর নামে চারটি অ্যাপার্টমেন্ট: ২ কোটি ২৫ লাখ ৯৪ হাজার ২০১ টাকা।

 

১৯৮৬ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদানকারী আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার হন এবং ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা থাকাকালে এপিএস হিসেবে কাজ করেন। ২০০৯ সালে উপসচিব পদে থাকা অবস্থায় প্রশাসন ক্যাডার থেকে পদত্যাগ করেন এবং ২০১২ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন।

২০২৪ সালের নির্বাচনি হলফনামায় তার ও স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ ১০৮ কোটি ৩৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৪৫ টাকা দেখানো হয়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে তিনি রাজধানীর গুলশানের এনই(কে) ব্লকের ৮৩ নম্বর সড়কের ১৩/বি প্লটটি জমিসহ ক্রয় করেন, যা ১২ কাঠার বিশাল একটি সম্পত্তি। প্রতি কাঠার সর্বনিম্ন মূল্য ১০ কোটি টাকা হিসাবে এটির বাজারমূল্য দাঁড়ায় ১২০ কোটি টাকা। তবে হলফনামায় এই সম্পত্তির উল্লেখ নেই, যা দুদকের তদন্তে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।

বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের অভিযোগে ২ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি, তার ও তার পরিবারের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফারুক আহমেদ জানান, "সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের সম্পদের অনুসন্ধান চলছে। আমরা তার বিভিন্ন সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করছি। বিশেষ করে গুলশানের বাড়ির বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া আরও কোথায় কোথায় সম্পদের তথ্য গোপন করা হয়েছে, সেটিও যাচাই করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।"

দুদকের এই তদন্তের মাধ্যমে সত্যতা প্রকাশ পেলে এটি হবে দেশের অন্যতম আলোচিত দুর্নীতির একটি বড় উদাহরণ।

 

Header Ad
Header Ad

আ.লীগ সমর্থকদের কাছে ‘আলোচিত মাফলারটি’ বিক্রির ঘোষণা দিলেন প্রেসসচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এবার ‍সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত সেই মাফলারটি বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। শনিবার নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এই ঘোষণা দেন।

ওই পোস্টে প্রেসসচিব লিখেছেন, “আলোচিত ও সমালোচিত বারবেরি মাফলারটির আসল দাম ৮৬ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হবে। যেকোনো সহৃদয় ব্যক্তি ‘অভয়ারণ্য - বাংলাদেশ অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনে’ এই টাকা দিয়ে মাফলারটি কিনতে পারবেন।

‌পরিচয় গোপন রেখে কোনো আওয়ামী লীগের সমর্থক মাফলারটি কিনতে পারবেন বলে পোস্টে উল্লেখ করেন প্রেসসচিব। এ জন্য আওয়ামী লীগ সমর্থককে অবশ্য গুনতে হবে ৮৬ হাজার ৬০০ ডলার। মাফলারটি দুইবার ধোয়ার পর ক্রেতাকে মাফলারটি দেওয়া হবে বলেও জানান প্রেসসচিব।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রেসসচিবের মাফলারের দাম ৮৬ হাজার ৬০০ টাকা এমন দাবিতে কিছু পোস্ট ব্যাপক ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

কেউ কেউ দাবি করেন, সরকারে যুক্ত হয়ে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় এই মাফলার কিনেছেন তিনি।
এমন কিছু ফেসবুক পোস্ট নিজের প্রোফাইলে শেয়ারও করেন প্রেসসচিব। একটি পোস্টে তিনি লেখেন, আমার ব্যবহৃত মাফলারটির জন্য কেউ ৬০০ টাকা দিলেও আমি খুব খুশি হবো। এটা দিয়ে বঙ্গবাজার থেকে দুটি নতুন মাফলার কিনতে পারব।

এদিকে ফেসবুক ঘেঁটে দেখা যায়, তিনি শেখ হাসিনার পতনের অনেক আগেই এই মাফলারসহ তাঁর ছবি রয়েছে। গত বছরের ৩ এপ্রিল মাফলার গলায় কয়েকটি ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছিলেন, ‘রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে!! আমি বুয়েটিয়ান না!! রাজনীতি করতে আমার কোনো বাধা নেই!’

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে চতুর্থদিনের অনশন, বিকালে তিতুমীর শিক্ষার্থীদের অবরোধের হুমকি
আলাউদ্দিন নাসিমের গুলশানের বাড়ি গোপন, দুদকের তদন্ত শুরু
আ.লীগ সমর্থকদের কাছে ‘আলোচিত মাফলারটি’ বিক্রির ঘোষণা দিলেন প্রেসসচিব
পবিত্র রমজানের সেহরি-ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ
বিএনপির জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া প্রস্তুত
রাজধানীতে তিন বছরের মেয়েকে হত্যা, মা আটক
রংপুরে ঘন কুয়াশায় ৬ গাড়ির সংঘর্ষ, আহত ২৫
ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়ের দেশত‍্যাগে নিষেধাজ্ঞা
গান গাইতে গাইতেই মঞ্চে লুটিয়ে পড়েন সাবিনা ইয়াসমিন
আজ একুশে বইমেলা শুরু
যুক্তরাষ্ট্রে রোগী বহনকারী বিমান বিধ্বস্ত, শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক, হবু স্ত্রীকে নিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় চিকিৎসক নিহত
শুরু হলো বাঙালির প্রেরণা ও গৌরবের ভাষার মাস
কোরআনের হাফেজাকে বিয়ে করলেন সারজিস
জ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বৃদ্ধি
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সড়কে ডাকাতি, চালককে কুপিয়ে জখম
কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা
মিয়ানমারে ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হলো জরুরি অবস্থার মেয়াদ
চট্টগ্রামে খাল খননের নামে দুর্নীতি, বিপুল অর্থ লুটপাটের অভিযোগ
নির্বাচনের আগেই পতিত স্বৈরাচারের বিচার নিশ্চিত করতে হবে : ছাত্রশিবির সেক্রেটারি