বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত
বগুড়ায় দুই উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। শনিবার ভোররাতে শেরপুর উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নুরুল ইসলাম নামে এক বাসচালক মারা যান। আহত হন ৩০ যাত্রী।
নিহত নুরুল ইসলাম দিনাজপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি শ্যামলী পরিবহনের বাসচালক ছিলেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ছিলিমপুর (মেডিকেল) পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শামীম হোসেন। তিনি জানান, গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা সূর্য পরিবহন বাসটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি শেরপুর শেরুয়া বটতলা এলাকায় পৌঁছালে বগুড়াগামী শ্যামলী পরিবহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই বাসেরই সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই নুরুল ইসলামের মৃত্যু হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুর্ঘটনার পরপরই মহাসড়কে আড়াআড়িভাবে বাস দুটি উল্টে পড়ে থাকে। এতে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে শনিবার দুপুরে বগুড়ার সদর উপজেলার গোদারপাড়ায় ট্রাকচাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহত ওই ব্যক্তির নাম কামরান হোসেন রিগ্যান। তিনি কাহালু উপজেলার শেখাহার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মোটরসাইকেল যোগে বগুড়া শহর থেকে নিজ বাড়ি কাহালু শেখাহারে যাচ্ছিলেন রিগ্যান। পথে একটি ট্রাক ওভারটেক করতে গেলে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি। এ সময় মোটরসাইকেলটিকে ট্রাকচাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ট্রাকের চাকা তার মাথার ওপর দিয়ে যায়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর থানার এসআই মাসুদ। এছাড়াও শনিবার দুপুরে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে একমাস চিকিৎসাধীন থাকার পর অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
গত ১৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে শজিমেক হাসপাতালের সামনে (ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ছিলিমপুর এলাকা) অজ্ঞাত যানবাহনের ধাক্কায় গুরুতর আহত তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর থানার এসআই ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি জানান, মৃত বৃদ্ধের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তিনি ঘটনার দিন শজিমেক হাসপাতালের সামনে পায়ে হেঁটে মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। ওই সময় অজ্ঞাত একটি যান তাকে ধাক্কা দেয়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। শনিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ বেওয়ারিশ অবস্থায় শজিমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।