বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঢাকাপ্রকাশে সংবাদ প্রকাশে নওগাঁর সাবিনার পাশে দাঁড়িয়েছে মালিশা ফাউন্ডেশন

জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা সাবিনার হাতে উপহারের ল্যাপটপ তুলে দিচ্ছেন। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

কম্পিউটার কেনার মতো সামর্থ্য নেই টাইপরাইটার সাবিনার’ এমন শিরোনামে ঢাকাপ্রকাশ অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রতিবেদন প্রকাশের পর জীবন যুদ্ধে হার না মানা সংগ্রামী নারী নওগাঁর টাইপরাইটার সাবিনার পাশে দাঁড়িয়েছে মালিশা ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে তাকে একটি ল্যাপটপ উপহার দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা সাবিনার হাতে উপহারের ল্যাপটপ তুলে দেন।

এসময় নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, প্রথম আলোর নওগাঁ প্রতিনিধি ওমর ফারুক, ঢাকাপ্রকাশের নিজস্ব প্রতিনিধি শামীনুর রহমান, দেশ রূপান্তরের পারভেজ রহমান, নাগরিক টিভি জেলা প্রতিনিধি সুমন আলী, জাগো নিউজ জেলা প্রতিনিধি মশিউর রহমানসহ অন্য গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: ‘কম্পিউটার কেনার মতো সামর্থ্য নেই টাইপরাইটার সাবিনা ’

ল্যাপটপ পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, আমি কী পরিমাণ খুশি হয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এই ল্যাপটপ দিয়ে এখন সহেজেই কাজ করতে পারব। আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য মালিশা ফাউন্ডেশন ও ঢাকাপ্রকাশকে অশেষ ধন্যবাদ।

মালিশা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা জাহিদ আব্দুল্লাহ বলেন, গত ১০ মার্চ ঢাকাপ্রকাশ অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘কম্পিউটার কেনার মতো সামর্থ্য নেই টাইপরাইটার সাবিনার’ এমন একটি সংবাদ আমাদের নজরে আসে। তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করে তার পাশে দাঁড়াতে একটি ল্যাপটপ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে মালিশা ফাউন্ডেশন।

তিনি বলেন, মালিশা ফাউন্ডেশন চীন থেকে পরিচালিত হয়। যারা সারা পৃথিবীতে সুবিধাবঞ্চিত কিন্তু মেধাবী এমন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে থাকে। ১৫টি দেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়া মালিশা এডুকেয়ার নামে আমাদের একটি প্রতিষ্ঠান আছে যাদের একটা পার্ট হচ্ছে মালিশা ফাউন্ডেশন। এখানে আমরা যেসব শিক্ষার্থীরা অর্থের অভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে না তাদের উচ্চতর শিক্ষায় অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করে থাকি। আমাদের হেড অফিস চীনে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৫টি দেশে আমাদের অফিস রয়েছে। আমরা শিক্ষার পাশাপাশি সমাজের পিছিয়ে পড়া লোকজনকেও সহায়তা করে থাকি।

জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা বলেন, সংগ্রামী সাবিনার পাশে দাঁড়ানোর জন্য মালিশা ফাউন্ডেশন ও ঢাকাপ্রকাশকে সাধুবাদ জানাই। মালিশা ফাউন্ডেশনের দেওয়া উপহারে সাবিনা এখন সহজেই তার কাজ করতে পারনেন। এভাবে সমাজের সামর্থবানরা এগিয়ে আসলে অনেকের জীবনই আরও সহজ হবে।

সাবিনা ইয়াসমিনের বাড়ি নওগাঁ শহরের বাইপাস ব্রিজ এলাকায়। এক যুগ ধরে নওগাঁ জজ কোর্টের সামনে টাইপিস্টের কাজ করে জীবিকানির্বাহ করছেন তিনি। টাইপরাইটিংয়ের কাজ করেই এক মেয়েকে নওগাঁ সরকারি কলেজে পড়াশোনা করাচ্ছেন।

সাবিনা বিয়ে করেছিলেন ২০০৬ সালে। স্বামীর সঙ্গে দুই বছর পর বিচ্ছেদ হয়ে যায়। শিশু মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে হয়। এক আত্মীয়ের সহযোগিতায় ১০ হাজার টাকায় একটি টাইপ মেশিন কিনে ২০০৯ সাল থেকে জজ কোর্ট চত্বরে টাইপিস্টের কাজ করেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন আসিফ মাহমুদ

ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন আসিফ মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলে থাকা কিশোরী ফেলানীর লাশের সেই দৃশ্যে সবার মনে দাগ কেটে গেছে। কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে। আজ ফেলানী হত্যার ১৪ বছর পূর্ণ হলেও এ ঘটনার কোনো বিচার হয়নি।

সেই ফেলানী খাতুনের পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

আজ বুধবার ( ৮ জানুয়ারী) দুপুরে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।

এদিকে সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার ফেলানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সমাবেশের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তার বাবা নূর ইসলাম এই হত্যার বিচারের উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ফেলানীর মা জাহানারা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে তিন ঘণ্টা জীবিত ছিল।

কিন্তু ওখানে তখন কেউ সাড়া দেয় নাই। আমার বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে, তবু আমি বলতেছি, আমার মেয়ে যে রকম কাঁটাতারের মধ্যে ঝুলছে, আমার ফেলানীর বিচারটা যদি হইত, আগের সরকার যদি বিচার করত, তাহলে আমার মেয়ের মতো আর কোনো মায়ের সন্তান ওই কাঁটাতারের মধ্যে ঝুলত না, মারাও যাইত না। আমি আশা করি, আমাদের যে নতুন সরকার গঠন হইছে সেই সরকার কিছুতেই যেন ভারতকে ছাড় না দেয়। আমার ফেলানীর বিচারটা যেন সঠিকভাবে করে।

Header Ad
Header Ad

বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন, পুলিশের বাধা

বিডিআরের নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তির দাবিতে পদযাত্রা, পুলিশের বাধা। ছবি: সংগৃহীত

বিডিআর বিদ্রোহের পর নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পদযাত্রা শুরু করেছেন বিডিআরের পরিবার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা। তারা যমুনা হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত পৌঁছাতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে হাজারো ছাত্র-জনতা নিয়ে এই পদযাত্রা শুরু হয়, তবে শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ তাদের পথ আটকিয়ে দেয়। পরে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় একটি প্রতিনিধি দল তাদের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যান। অন্যরা সেখানেই অবস্থান নিতে থাকেন।

এ আন্দোলনের ফলে শাহবাগ থেকে টিএসসি পর্যন্ত সড়কটি বন্ধ হয়ে যায়, যার প্রভাব আশপাশের সড়কেও পড়ে এবং যানবাহন চলাচল ধীর হয়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের পর চাকরিচ্যুত সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এই আন্দোলন করছেন, এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার কয়েকদিন ধরেই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। বুধবার তিনি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে পদযাত্রার ডাক দিয়েছিলেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে সকাল থেকেই শহীদ মিনারে হাজারো মানুষ জমায়েত হন, এবং সাড়ে ১২টার দিকে পদযাত্রা শুরু হয়। তবে শাহবাগ পৌঁছানোর পর পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

Header Ad
Header Ad

কানাডায় নিখোঁজের একমাস পর মিলল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর লাশ

নিহত নিধুয়া মুক্তাদির। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার টরেন্টোতে নিখোঁজের এক মাস পর নিধুয়া মুক্তাদির (১৯) নামের বাংলাদেশি এক কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় শনিবার (৪ জানুয়ারি) পোর্ট ব্রুস সৈকতের কাছে ইরি লেকের তীর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়

গত ৩ ডিসেম্বর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। কানাডা ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নিধুয়া মুক্তাদির কানাডায় বাংলাদেশি লেখক ও উপস্থাপক সামিনা নাসরিন চৌধুরীর মেয়ে। তিনি মায়ের সঙ্গে স্কারবারোর ক্রিসেন্ট টাউনে থাকতেন।

মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করে অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ জানিয়েছে, পোর্ট ব্রুসের ইরি লেক থেকে পাওয়া মরদেহটি হলো ১৯ বছর বয়সি নিধুয়া মুক্তাদির, যিনি ডিসেম্বরের শুরুতে সেখানকার লন্ডন এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন।

কানাডার পুলিশ জানিয়েছে, কানাডার ফানশাওয়ে কলেজে নার্সিংয়ে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন নিধুয়া। পোর্ট ব্রুসের ইরি লেক থেকে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

পোর্ট স্ট্যানলি থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে হক ক্লিফ রোড থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। ডুবুরি ও ড্রোনের সাহায্য তাকে খোঁজার চেষ্টা করে পুলিশ। শনিবার ওয়ানেটা বিচে একজন কানাডিয়ান নাগরিক নিধুয়ার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়। মঙ্গলবার অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ মরদেহ উদ্ধার।

নিধুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় সেখানকার আশেপাশের পরিস্থিতির তদন্ত চলছে জানিয়ে পুলিশ বলেছে, নিহতের শরীরে অস্বাভাবিক কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর কারণ তদন্ত করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন আসিফ মাহমুদ
বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন, পুলিশের বাধা
কানাডায় নিখোঁজের একমাস পর মিলল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর লাশ
নিষিদ্ধ হলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র
নওগাঁয় এক হালি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২ টাকায়, বিপাকে কৃষকরা
যুবদল নেতার সাহায্যে ভারতে পালান ওবায়দুল কাদের!
ইন্টারপোলের আদলে ‘ভারতপোল’ চালু করল ভারত
সরকারি স্কুলের পাশেই ইটভাটা, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
দ্বিগুন হলো মোটরবাইক, ফ্রিজ, এসি উৎপাদনকারীদের কর
১০০ টাকার রিচার্জে কর দিতে হবে ৫৬ টাকা ৩০ পয়সা!  
বিকেলে লন্ডন পৌঁছবেন খালেদা জিয়া  
দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, নিয়ন্ত্রনের উপায়ন্তরেও লাভ হচ্ছে না  
আসছে মৌসুমের দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ, ফের শীতে কাঁপবে দেশ  
ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৫ শহর
বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে উত্তেজনা, বিজিবির সতর্ক অবস্থান  
খালেদা জিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়ে গেছেন: মির্জা ফখরুল  
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক  
মেটা প্ল্যাটফর্মে থাকছে না ফ্যাক্টচেকার, বাড়বে রাজনৈতিক কনটেন্ট: জাকারবার্গ  
হাসিনাকে দীর্ঘমেয়াদি থাকার অনুমতি দিলো ভারত  
ইউরোপে পোঁছানোর চেষ্টায় সাগরে প্রাণ গেলো ২,২০০ অভিবাসীর