জাবি ছাত্র হৃদয় হত্যার মূলহোতা শাহীন গ্রেপ্তার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র মো. হৃদয় (২০) কে অপহরণের পর হত্যা ও মরদেহ গুমের ঘটনার অন্যতম আসামি শাহীন বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (২০ মে) সকালে র্যাব-৫ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে শুক্রবার (১৯ মে) নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার রামরায়পুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত শাহীন জেলার পোরশা উপজেলার ঘাটনগর মোল্লাপাড়া গ্রামের মুসা আলীর ছেলে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার পরাণ ও হৃদয় দুইজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। পরাণ দরিদ্র হলেও তারা একই সাথে চলাফেরা করতেছিল। হৃদয়ের পারিবারিক অবস্থা ভালো থাকায় তাকে অপহরণ করে পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করার পরিকল্পনা করে আসছিল। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৮ মে দুপুরে খাবারের পর আড্ডা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে হৃদয়কে আটকে রাখে এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে তার বাবাকে ফোন করে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে তারা সংঘবদ্ধভাবে হৃদয়ের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। সন্ধ্যায় মরদেহটি বস্তাবন্দি করে সুকৌশলে ঘটনাস্থল হতে রিকশাযোগে শ্রীপুর এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দিয়ে আত্নগোপন করে আসামিরা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ৮মে হৃদয় নিখোঁজ হলে তার বাবা ফজলুল মিয়া আশুলিয়া থানায় একটি জিডি ও র্যাব-৪ সাভার ক্যাম্প বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর র্যাবের গোয়েন্দা দল অপহরণকারী পরান, বাপ্পি ও তাদের অন্যান্য সহযোগীর বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে ১৮ মে পরাণকে গ্রেপ্তার করলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাপ্পি, আকাশ ও শাহীনের সহায়তায় কলেজছাত্র হৃদয়কে শ্বাসরোধ করে হত্যা কথা স্বীকার করেন। সেই সঙ্গে এ ঘটনার অন্যতম আসামি শাহীন বাবু জড়িত থাকার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন। এরপর র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে শুক্রবার মহাদেবপুর উপজেলা থেকে হৃদয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মূল আসামি শাহীন বাবুকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তাকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে র্যাব-৪ সিপিসি-২ সাভারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসআইএইচ
