মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রতিষ্ঠার ৪ বছরেও সংকট কাটেনি নওগাঁ মেডিকেল কলেজের

প্রতিষ্ঠার চার বছরেও প্রয়োজন অনুযায়ী ল্যাব সুবিধা পাচ্ছেন না নওগাঁ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। জনবল ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও এখনো সমাধান হয়নি শ্রেণিকক্ষ ও আবাসন সমস্যার। এদিকে কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন এই মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো সংকটই পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। এসব সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে নওগাঁ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের পুরোনো ভবনের দুই তলার একটি অংশে যাত্রা শুরু হয় নওগাঁ মেডিকেল কলেজের। এরপর আরও তিনটা ব্যাচ মিলে এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০। চলতি বছরেই নতুন ব্যাচে যুক্ত হবে আরও ৫০ জন শিক্ষার্থী। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষক, কর্মচারীর কক্ষ ও শিক্ষার্থীদের হোস্টেল সংকটের মতো বিষয়গুলো চিন্তায় ফেলেছে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে।

মেডিকেল কলেজে গিয়ে কথা হয় তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পার্থ সরকার, শহিদুল হাসান, শাওন আক্তারসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তারা মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী। তারা বলেন, পাঠদানের জন্য মাত্র তিনটা কক্ষ রয়েছে। কিন্তু এখন কলেজে চারটি ব্যাচ। শ্রেণিকক্ষ না থাকায় রুটিন অনুযায়ী অনেক বিষয়ের ক্লাস হয় না। কয়েকদিন পর পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ক্লাস শুরু করবে। তখন আরও বেশি শ্রেণিকক্ষ সংকট তৈরি হবে।

শহিদুল হাসান বলেন, ‘ধীরে ধীরে লাইব্রেরি, ল্যাব, মরচুয়ারি ডিসেকশন কক্ষসহ অবকাঠামোগত বেশ কিছু উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো কলেজের ল্যাব ফ্যাসিলিটি যথেষ্ট নয়। ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য প্যাথলজির অনেক যন্ত্রপাতি এখনো কলেজে নেই।’

পার্থ সরকার বলেন, ‘নতুন মেডিকেলের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা অনেক সুবিধা থেকেই বঞ্চিত। তবে এখন অন্যতম সমস্যা হচ্ছে আমাদের লেকচার গ্যালারি (শেণিকক্ষ) সংকট ও অপ্রতুল ল্যাব ফ্যাসিলিটি। নিয়মিত ক্লাস না হওয়া ও পর্যাপ্ত ল্যাব ফ্যাসিলিটি না থাকায় আমরা অনেক কিছুই শিখতে পারছি না।’

ছেলে ও মেয়েদের জন্য কলেজের নিজস্ব হোস্টেল নেই। নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের স্টাফদের থাকার জন্য করা একটি ভবনে ছেলের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর মেয়েদের জন্য একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সেটাকে ছাত্রী হোস্টেল করা হয়েছে।

শাওন আক্তার বলেন, ‘মেয়েদের জন্য ছাত্রী হোস্টেল নেই। ভাড়া করা একটি বাসাতে আমাদের থাকতে হচ্ছে। যেখানে খাওয়াদাওয়াসহ বেশ কিছু সমস্যা রয়ে গেছে।’

এই মেডিকেল কলেজে শুরু থেকেই শিক্ষকের সংকট রয়েছে। অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন বিভাগের ৭৮টি পদ রয়েছে। তবে বর্তমানে রয়েছেন অধ্যক্ষসহ ৪০ জন।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে কলেজে ২০টি বিভাগে পাঠদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রতিটি বিভাগে অন্তত একজন করে সহকারী অধ্যাপক ও দুজন করে প্রভাষক দরকার। কিন্তু ফরেনসিক মেডিসিন, প্যাথলজি ও বায়োকেমিস্ট্রির মতো বিভাগসহ বেশ কিছু বিভাগে একজন করে প্রভাষক দিয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।

অবকাঠামোগত অনেক সরঞ্জাম মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেলেও সবকিছু এখনো বুঝে পায়নি কর্তৃপক্ষ। আবার শিক্ষকেরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী অবকাঠামোগত অনেক সরঞ্জাম মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেলেও এখনো বুঝে পায়নি কর্তৃপক্ষ। রোগ নিরূপণের অনেক যন্ত্র ব্যবহার করতে পারলে শিক্ষার্থীরা যেমন শিখতে পারতেন, সাধারণ রোগীরাও স্বল্প খরচে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে পারতেন।

মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আল আমীন বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের কলেজে কোনো অধ্যাপক নেই। প্রতিষ্ঠিত মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা যেমন বড় পরিসরে তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক বিষয়গুলো শিখছেন, আমরা সেগুলো পাচ্ছি না। একজন অধ্যাপক যেভাবে শিক্ষার্থীদের তার অভিজ্ঞতা দিয়ে বোঝাতে পারেন, একজন প্রভাষক হয়তো সেভাবে না-ও পারতে পারেন। এর প্রভাব হয়তো ভবিষ্যতে পড়বে।’

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের জন্য শহরের আব্দুল জলিল শিশু পার্কসংলগ্ন চকপাথুরিয়া, চক বিরাম ও নলডাঙ্গা মৌজায় জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথমে ৫০ একর জমির একটি নকশা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। পরে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২৭ একর জমি নিয়ে একটি নকশা চূড়ান্ত করা হয়। ওই নকশা ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেয়ে অর্থ ছাড় হলে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে।

নওগাঁ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘অনেক সংকটের মধ্যেও গত বছর রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অংশ নেওয়া ২৫টি সরকারি-বেসরকারি মেডিকেলের মধ্যে পেশাগত পরীক্ষায় নওগাঁ মেডিকেল কলেজ প্রথম হয়েছে। এই বছরে মেডিকেলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুটোই বাড়বে। আপাতত নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের পুরোনো ভবনের দুই তলার কয়েকটি কক্ষ আমরা ব্যবহার করছি। হাসপাতাল কর্তপক্ষ পুরোনো ভবনের নিচতলার অংশটা আমাদের ব্যবহার করতে দিলে কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস হওয়ার আগে আর অবকাঠামো সংকট নিয়ে ভাবতে হতো না।’

এ বিষয়ে নওগাঁ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, এখানে মেডিকেল কলেজের নিজস্ব কোনো স্থাপনা নেই। পুরোনো ভবনে ১০০ ও নতুন ভবনে ১৫০ শয্যা মিলে আমাদের ২৫০ শয্যা হাসপাতাল। এর মধ্যেও কলেজের জন্য অনেকগুলো কক্ষ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর বেশি কক্ষ ছাড়তে হলে রোগীরা বঞ্চিত হবেন।

এসএন

Header Ad
Header Ad

পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে জাতির পক্ষ থেকে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

সেই সঙ্গে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ এই নির্মমতার সুবিচার নিশ্চিত করতে দায়বদ্ধ।

আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‌‘শহীদ পরিবারের সদস্যরা একান্ত প্রিয়জন হারানোর এতগুলো বছর পরেও স্বজন হত্যার বিচার পেতে অপেক্ষা করে আছেন। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। সমব্যথী হয়ে দেশ ও জনগণ শহীদ পরিবার ও সকল নিপীড়িতের পাশে দাঁড়াবে, একইসঙ্গে সেই আশাবাদ রাখছি।’

তিনি বলেন, ‘আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি, প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস। ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সকল শহীদের স্মরণে এখন থেকে প্রতিবছর এই দিনটিকে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই দিনে আমি গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করি ও বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই জাতির সূর্য সন্তান, শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। একইসঙ্গে তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের জানাই সমবেদনা ও সহমর্মিতা।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘এখন থেকে এই দিনটি আমাদের চেতনা ও অনুভূতির একটি নিয়ামক হয়ে দেশের জন্য যুদ্ধ করার ব্রত নিয়ে পথচলা একদল সাহসী মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত নির্মম মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দেবে। তাদের এই আত্মত্যাগের স্মরণে আমরা জাতি হিসেবে যেন নিজেদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে সংকল্পবদ্ধ হই। দুঃশাসন, ষড়যন্ত্র ও আত্ম-অহংকারে আর যেন কোনো প্রাণ না হারায়। মানুষ যেন আত্মসম্মান ও মানবিক অধিকার নিয়ে নিজের যোগ্যতা ও মেধায় তার প্রাপ্য অবস্থানে পৌঁছাতে পারে এই প্রত্যাশা করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বেকারত্বমুক্ত পৃথিবী গড়ার পথে বাংলাদেশই যেন হয় আদর্শিক মাপকাঠি। জাতির শহীদ সেনাদের স্মরণে এই দিনে আমরা একটি স্বনির্ভর ও সুসভ্য বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকারবদ্ধ হই। শহীদ সেনা দিবসে জাতির পক্ষ থেকে আমি আবারও সকল শহীদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।’

Header Ad
Header Ad

অপরাধ দমন অভিযানে কোনো বাহিনীর সদস্য গাফিলতি করলেই ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

অপরাধ দমনে দেশব্যাপী শুরু হওয়া অভিযান পরিচালনায় কোনো বাহিনীর কোনো সদস্যের গাফিলতি পেলে তাদের আইনের আওতায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে বনানী সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে গতরাত থেকে শুরু হয়েছে যৌথ অভিযান। এ অভিযান সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অভিযান পরিচালনায় আমরা কোনো বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে যদি কোনো ধরনের গাফিলতি পাই তাহলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

এ অভিযান যেভাবে সাজিয়েছি, যদি কোনো জায়গায় আমার কোনো কর্মচারী বা আমার কোনো বাহিনীর সদস্যের মধ্যে গাফিলতি থাকে, আমি তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

তিনি আরও বলেন, এখানে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, সে পুলিশ হোক, বিজিবি হোক, র‌্যাব হোক, আনসার বা কারা অধিদফতর হোক।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার নিশ্চিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন এ বিষয়ে কাজ করছে।’

অভিযানের সর্বশেষ আপডেট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো ভাবছিলাম, আপডেট আপনারা দেবেন। আপনারা সত্য সংবাদটা পরিবেশন করেন। দেখেন আমরা ব্যবস্থা নেই কিনা। দুই এসপির বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশনের পর আমরা কিন্তু ব্যবস্থা নিয়েছি। সত্য সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।

এর আগে, জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে রাজধানীর বনানীতে সামরিক বাহিনী কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

Header Ad
Header Ad

রংপুরে হিজবুত তাওহীদ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, ৪ কর্মীর বাড়িতে আগুন

রংপুরে হিজবুত তাওহীদ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, ৪ কর্মীর বাড়িতে আগুন। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরে হিজবুত তাওহীদের কর্মীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের সময় হিজবুত তাওহীদের অফিস সহ চার কর্মীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও দুই কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের নাগদাহ সিদাম এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করেছে।

স্থানীয়রা জানায়, হিজবুত তাওহীদের প্রায় ৪০ জন কর্মী সেখানে একটি গোপন বৈঠক করছিল। বৈঠকের খবর পেয়ে এলাকাবাসী তাদের বাধা দেয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং মুহূর্তেই তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষ চলাকালে হিজবুত তাওহীদের চার কর্মীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয় ও আরও দুই কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের মধ্যে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে আহত চারজনকে তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাওহীদের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা ও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী।

আটকদের স্বজনরা দাবি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।

পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক সুমন বলেন, “হিজবুত তাওহীদের একটি সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। সেই সমাবেশ ঘিরেই এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয় ও সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। সংঘর্ষের পর পুরো এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
অপরাধ দমন অভিযানে কোনো বাহিনীর সদস্য গাফিলতি করলেই ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রংপুরে হিজবুত তাওহীদ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, ৪ কর্মীর বাড়িতে আগুন
পাঁচ দফা দাবিতে টাঙ্গাইলে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মশাল মিছিল
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুইদিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চলে: মির্জা ফখরুল  
৩০০ বলের মধ্যে ১৮১ ডট খেলার ব্যাখ্যা দিলেন শান্ত
২০০৭ সালে চাকরিচ্যুত ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তার চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ  
সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ তিন বাহিনীর প্রধানরা  
বাংলাদেশ ক্রিকেট খুব শীঘ্রই জিম্বাবুয়ের স্তরে নেমে আসবে: দিনেশ কার্তিক  
৪০ থেকে ৭০ দিনের লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  
ওয়াশিংটনে পেন্টাগন প্রধান ও সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ  
চুয়াডাঙ্গায় গ্রাম আদালত বিষয়ক ৪ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন 
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই  
যুবদল নেতার বাড়িতে বোমা হামলা-অগ্নিসংযোগ, আহত ১  
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো কলকাতা-ওড়িশা, অনুভূত হলো ঢাকাতেও
নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাংলাদেশের বিদায়
নির্বাচনের সুস্পষ্ট ঘোষণা না হলে ঈদের পরে আন্দোলন: বিএনপি নেতা হারুন
জেল থেকে পালালেন আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, ফাইয়াজের দাবি
তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে শুক্রবার
বিভেদের সুযোগ নিয়ে স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান