সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

কাগজ সংকট, হুমকির মুখে রাজশাহীর প্রকাশনা শিল্প

আগে থেকেই নানা সমস্যায় জর্জরিত রাজশাহীর প্রকাশনা শিল্প। এর মধ্যে ‘মরার উপর খরার ঘা’ এর মতোই লাগামহীনভাবে বাড়ছে এই শিল্পের কাঁচামালের দাম। শুধুমাত্র মূল্যবৃদ্ধিই নয়, টাকার বিনিময়েও প্রয়োজনীয় কাগজ পাচ্ছেন না তারা। এতে হুমকির মুখে পড়েছ এই অঞ্চলের প্রকাশনা শিল্প।

প্রকাশক ও মুদ্রণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক মাসের ব্যবধানে প্রকাশনা শিল্পের অন্যতম প্রধান উপকরণ কাগজ ও কালির দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। বাড়তি দামেও প্রতিদিনের চাহিদা মাফিক কাগজ পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি কাগজ মিলগুলো এখন বন্ধ। বসুন্ধরা গ্রুপের কাগজই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। এ ছাড়াও ফ্রেশ কোম্পানিসহ দুটি কাগজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তেমন একটা কাগজ দিতে পারছে না।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, জাতীয় বই মেলার পূর্বে ও বছরের শেষের এই সময়টা প্রকাশনা শিল্পের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। ভরা মৌসুমও বলা চলে। কিন্তু এই সময়ে কাগজের জন্য তারা কাজ করতে পারছেন না। অনেক প্রকাশক কাগজের বাড়তি দামের কারণে এখন বই প্রকাশ করা থেকেও বিরত থাকছেন। এছাড়া আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকাগুলোও অনেকে সার্কুলেশন কমিয়ে দিয়েছে। পত্রিকাগুলোও সংকটে ধুকছে। কেউ কেউ পত্রিকা ছাপা বন্ধও করে দিয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরাও বিপাকে পড়েছেন। অলস সময় পার করছে শ্রমিকরাও।

নগরীর প্রিন্টিং প্রেস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত তিন-চার মাসের ব্যবধানে রাজশাহীর বাজারে কাগজের দাম কোনও কোনও ক্ষেত্রে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ৫৫ গ্রাম কাগজ আগে ১ হাজার ২৮০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হলেও সেই কাগজ এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা। ৮০ গ্রাম কাগজের দাম ১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৪৫০ টাকা। গ্লোসারি ১০০ গ্রাম কাগজ আগে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত। আগে সুইটিজ বোর্ড ২০ থেকে ২১ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৩ টাকায়। এ ছাড়াও ডিলার পর্যায়ে প্রত্যেক টন কাগজে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বাড়তি। শুধু কাগজই নয়, এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সকল উপকরণের দামই বাড়তি। আগে ২ পাউন্ড কালি ৩৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৬০ টাকা। আগে ৫ লিটার কেরোসিনের দাম ৩২৯ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা। জেট অ্যামোইল আগে ৮৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। এ ছাড়াও এখন বইয়ের বাইন্ডিং খরচ আগে জ্যাকেট বাধাইয়ে ১৯ থেকে ২০ টাকা হলেও এখন তা নেওয়া হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা।

নগরীর নিউমার্কেট, ষষ্ঠিতলা, গোরহাঙ্গা ও আশেপাশের এলাকার প্রিন্টিং প্রেস কারখানাগুলো ঘুরে দেখা যায়, দিনের অধিকাংশ সময় বন্ধ রাখছেন কারখানা। যেসব প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রয়েছে সেখানেও শ্রমিকদের অলস সময় পার করতে দেখা যাচ্ছে।

নগরীর নিউ মার্কেট সুলতানাবাদ এলাকায় অবস্থিত রংধনু অফসেট প্রিন্টিং প্রেসের প্রোপ্রাইটর মো. তাজউল ইসলাম জানান, করোনাকালীন তিনি সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন। করোনার ক্ষত পুনর্গঠনের আগেই নতুন সংকটের মুখে পড়েছেন। এই শিল্পের উপকরণ একটি ব্লেড থেকে শুরু করে সকল কিছুর দাম বেড়েছে। এ কারণে নিয়মিত গ্রাহকরাও একান্ত জরুরি ছাড়া আসছেন না। আবার চাহিদা অনুযায়ী কাগজও পাওয়া যাচ্ছে না। এতে অধিকাংশ সময়ই কারখানা বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

রাজশাহীর পত্রিকাগুলোর দুরাবস্থার চিত্র তুলে ধরে দৈনিক সোনালি সংবাদের সম্পাদক লিয়াকত আলী জানান, পত্রিকা সাধারণত একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। বিজ্ঞাপন পত্রিকার আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। কিন্তু করোনার মধ্যে বিজ্ঞাপন ছিল না বললেই চলে। কোনো মতে তারা প্রতিষ্ঠানকে চালিয়ে যাচ্ছেন। রঙিন থেকে সাদাকালো করে পত্রিকা ছাপাতে হয়েছে। করোনা পরবর্তীতে যখন তারা কিছুটা এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন এর মধ্যে কাগজসহ অন্যান্য উপকরণের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির নতুন সংকট এসে পড়েছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে রাজশাহীর আঞ্চলিক প্রিন্ট পত্রিকাগুলো আর কতদিন টিকে থাকতে পারবে এটাই বড় প্রশ্ন তার কাছে।

এদিকে রাজশাহীতে এখনও প্রকাশনা ব্যবসা তেমন জমে উঠেনি। এখানে লেখকরা ব্যক্তিগত উদ্যোগেই বেশি বই ছাপান। এমন পরিস্থিতিতে তারাও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। আবার মফস্বল এলাকায় থেকে যারা রাজধানীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে চাচ্ছেন এমন উদীয়মান প্রতিষ্ঠানও মুখ থুবড়ে পড়েছে।

নগরীর সিঅ্যান্ডবি এলাকায় অবস্থিত স্ব-চিত্র প্রকাশনীর কর্ণধার ফাহমিদুর রহমান জানান, মফস্বল এলাকায় অবস্থান করে সৃজনশীল প্রকাশনী নিয়ে কাজ করা দুরুহ বিষয়। তবে তিনি রাজশাহী থেকে একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে সৃজনশীল প্রকাশনী নিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু করোনার পর আবারও নতুন সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন। আসন্ন জাতীয় বই মেলাকে সামনে রেখে মোট ২৭টি বই প্রকাশের পরিকল্পনা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতির শিকার হয়ে ৮টির বেশি পারছেন না। এতে তিনি আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি লেখকদের আগ্রহ কমছে। বইয়ের বিক্রিও কমেছে। সৃজনশীল বিকাশের পথও রুদ্ধ হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বাগতম নস্কার জানান, মুদ্রণ শিল্প করোনার মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকটের মধ্যে পড়েছিল। অনেকে এই সময় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। আর রাজশাহীর মতো জায়গায় ক্ষতির মুখেও তারা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কোনও রকমে টিকে আছেন। কিন্তু করোনা পরবর্তী বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও নতুন সংকটের মুখে পড়েছেন। কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা উর্ধ্বমুখি। আবার চাহিদা অনুযায়ী কাগজও পাওয়া যাচ্ছে না। কারখানাও অধিকাংশ সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে। সবমিলিয়ে দুরাবস্থার মধ্যে রয়েছেন তারা।

তিনি আরও জানান, রাজশাহীতে আগে মাসে ১৩-১৪টি ট্রাকে করে বসুন্ধরার কাগজ আসত সেখানে এখন আসে ৩-৪ ট্রাক। অন্য কোম্পানিগুলোর কাগজ সরবরাহ নেই বললেই চলে। এখন বসুন্ধরাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।

বসুন্ধরা গ্রুপের কাগজ বিক্রির জন্য রাজশাহীতে চারজন ডিলার রয়েছেন। এরমধ্যে একজন কামরুল ইসলাম। তিনি জানান, প্রতি মাসেই কাগজের দাম কিছু না কিছু বেড়েছে এটা সত্য। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে এমনটা হয়েছে। আর দাম বৃদ্ধির কারণে রাজশাহীতে চাহিদা কমেছে। তার নিজেরই একটা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান আছে। আগে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য যেখানে ১০ টন কাগজ লাগত। সেখানে তিনি ২ টনের কাজ করতে পারছেন।

Header Ad
Header Ad

পদত্যাগ করতে রাজি জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যদি দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পদত্যাগের প্রয়োজন হয়, তবে তিনি তাতে রাজি। একই সঙ্গে, ন্যাটোতে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তির বিনিময়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়তে তিনি প্রস্তুত আছেন বলেও মন্তব্য করেছেন।

সিএনএন নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জেলেনস্কি এই মন্তব্য করেন। গত রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “যদি সত্যিই আমার পদত্যাগের প্রয়োজন হয়, আমি তা করতে প্রস্তুত।”

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ চলতি মাসের শুরুতে বলেছিলেন যে, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদান এই মুহূর্তে বাস্তবসম্মত নয় এবং এটি করা সম্ভব নয়।

এদিকে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা হ্রাসের কথাও উল্লেখ করেছেন এবং নির্বাচনের বিলম্ব নিয়ে সমালোচনা করেছেন।

এ বিষয়ে পাল্টা মন্তব্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ট্রাম্প “ভুয়া তথ্যের রাজ্যে বাস করছেন।”

Header Ad
Header Ad

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গায়েবানা জানাজা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর প্রতীকী গায়েবানা জানাযা পড়েন শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

দেশব্যাপী নৈরাজ্যসৃষ্টিকারী সন্ত্রাসী ও ধর্ষকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাবেশ শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর প্রতীকী গায়েবানা জানাযা পড়েন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশ শুরুর আগে শিক্ষার্থীরা ‘দালালি না রাজপথ? রাজপথ, রাজপথ’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘সুশাসন চাই, জীবনের নিরাপত্তা চাই’, ‘আমার মাটি আমার মা, ধর্ষকদের দেব না’, ‘ধর্ষকদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘ধর্ষক ও খুনিদের ফাঁসি চাই’, ‘এক দুই তিন চার, জাহাঙ্গীর তুই গদি ছাড়’, ‘আইনশৃঙ্খলার বেহাল দশা, ইন্টেরিম করে রং তামাশা’ ইত্যাদি স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদী মারুফ বলেন, ‘বিগত কয়েকদিন দেশে ধর্ষণ, খুন, ছিনতাই, রাহাজানি, চাঁদাবাজি থেকে এহেন কোন কাজ নেই, যা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকারকে বলতে চাই, আপনারা যদি নিজেদের দ্বায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন তাহলে পদত্যাগ করুন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মত অযোগ্য উপদেষ্ঠা এ দেশের মানুষের প্রয়োজন নেই।’

ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য সচিব ওয়াজেদ শিশির বলেন, ‘নিরাপত্তা আমাদের মৌলিক অধিকার। মানুষ তাঁর মৌলিক অধিকার নিয়ে শঙ্কিত ছিল বলেই চব্বিশের অভ্যুত্থান ঘটেছে এবং স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটেছে। কিন্তু আমার মনে হয় না গত ৫০ বছরে আমাদের এমন নিরাপত্তার অভাব ঘটেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলতে চাই আপনি যে গদিতে বসে আছেন, সেটি আপনার বাবার নয়। আপনি দ্বায়িত্ব পালন করতে না পারলে গদি ছেড়ে দেন।’

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আজাদ বলেন, ‘গত কয়েকমাস ধরে দেশে নির্যাতন-নিপীড়ন বেড়েই চলছে। এর মূল কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নতজানু নীতি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, দয়া করে এই নতজানু নীতি এদেশে আর চালাবেন না। এই দেশ নতুন করে যেমন বিপ্লবী গতিতে স্বাধীন হয়েছে, তেমনই বিপ্লবী গতিতেই চলবে। ২৪-এর অভ্যুত্থানে হাজারো শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলায় আর কারও ঠিকাদারি আমরা মেনে নিব না।’

Header Ad
Header Ad

জেনে নিন খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা

খেজুর। ছবি: সংগৃহীত

খেজুর অত্যন্ত সুস্বাদু ও বেশ পরিচিত একটি ফল। যা ফ্রুকটোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। এটা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। আছে প্রচুর ভিটামিন বি। যা ভিটামিন বিসিক্স মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয়, চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ দশমিক ৮ গ্রাম ফাইবার। এছাড়াও খেজুরের রয়েছে আরও অনেক পুষ্টি উপাদান।

ছবি: সংগৃহীত

ক্যান্সার প্রতিরোধ: পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ও প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাই যারা নিয়মিত খেজুর খান, তাঁদের বেলায় ক্যান্সারের ঝুঁকিটাও অনেক কম থাকে।

দুর্বল হৃদপিণ্ড: হৃদপিণ্ডের সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ খেজুর।

মুটিয়ে যাওয়া রোধ: মাত্র কয়েকটি খেজুর ক্ষুধার তীব্রতা কমিয়ে দেয় এবং পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। অল্পতেই শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে।

মায়ের বুকের দুধ: খেজুর বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের জন্য সমৃদ্ধ এক খাবার, যা মায়ের দুধের পুষ্টিগুণ আরো বাড়িয়ে দেয় এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ছবি: সংগৃহীত

হাড় গঠন: ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। আর খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে মজবুত করে।

অন্ত্রের গোলযোগ: অন্ত্রের কৃমি ও ক্ষতিকারক পরজীবী প্রতিরোধে খেজুর বেশ সহায়ক। অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি: খেজুর দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে রাতকানা প্রতিরোধেও সহায়ক।

ছবি: সংগৃহীত

কোষ্ঠকাঠিন্য: খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টিগুণ, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।

সংক্রমণ রোধ: যকৃতের সংক্রমণে খেজুর উপকারী। এ ছাড়া গলাব্যথা এবং বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি ও ঠাণ্ডায় বেশ কাজ দেয়।

শিশুদের রোগবালাই: খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও প্রতিরোধ করে। তাই শুধু রমজান মাসে কেন, বছরজুড়েই খাদ্যতালিকায় থাকুক খেজুর।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পদত্যাগ করতে রাজি জেলেনস্কি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গায়েবানা জানাজা
জেনে নিন খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
মিঠাপুকুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে
মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক রেষারেষি নিয়ে যা বললেন রিজভী
রমজানে সরকারি অফিস চলবে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
সাভারে কাপড়ের কারখানায় আগুন, পুড়ে ছাই কাপড় ও কার্টন
বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন মেহজাবীন চৌধুরী
রিলিফের আশায় অনেক বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হচ্ছে: সিইসি
যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন বিশ্বনবী (স.)
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে নির্দেশনা দিলেন সেনাপ্রধান
সাজেকে ৭ রিসোর্ট ও কটেজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী(ভিডিও)
১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার
বাংলাদেশ থেকে আসা বিদ্বেষী বার্তায় অসন্তুষ্ট নয়াদিল্লি: জয়শঙ্কর
কক্সবাজারে বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা, নিহত ১