রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কাগজ সংকট, হুমকির মুখে রাজশাহীর প্রকাশনা শিল্প

আগে থেকেই নানা সমস্যায় জর্জরিত রাজশাহীর প্রকাশনা শিল্প। এর মধ্যে ‘মরার উপর খরার ঘা’ এর মতোই লাগামহীনভাবে বাড়ছে এই শিল্পের কাঁচামালের দাম। শুধুমাত্র মূল্যবৃদ্ধিই নয়, টাকার বিনিময়েও প্রয়োজনীয় কাগজ পাচ্ছেন না তারা। এতে হুমকির মুখে পড়েছ এই অঞ্চলের প্রকাশনা শিল্প।

প্রকাশক ও মুদ্রণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক মাসের ব্যবধানে প্রকাশনা শিল্পের অন্যতম প্রধান উপকরণ কাগজ ও কালির দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। বাড়তি দামেও প্রতিদিনের চাহিদা মাফিক কাগজ পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি কাগজ মিলগুলো এখন বন্ধ। বসুন্ধরা গ্রুপের কাগজই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। এ ছাড়াও ফ্রেশ কোম্পানিসহ দুটি কাগজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তেমন একটা কাগজ দিতে পারছে না।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, জাতীয় বই মেলার পূর্বে ও বছরের শেষের এই সময়টা প্রকাশনা শিল্পের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। ভরা মৌসুমও বলা চলে। কিন্তু এই সময়ে কাগজের জন্য তারা কাজ করতে পারছেন না। অনেক প্রকাশক কাগজের বাড়তি দামের কারণে এখন বই প্রকাশ করা থেকেও বিরত থাকছেন। এছাড়া আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকাগুলোও অনেকে সার্কুলেশন কমিয়ে দিয়েছে। পত্রিকাগুলোও সংকটে ধুকছে। কেউ কেউ পত্রিকা ছাপা বন্ধও করে দিয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরাও বিপাকে পড়েছেন। অলস সময় পার করছে শ্রমিকরাও।

নগরীর প্রিন্টিং প্রেস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত তিন-চার মাসের ব্যবধানে রাজশাহীর বাজারে কাগজের দাম কোনও কোনও ক্ষেত্রে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ৫৫ গ্রাম কাগজ আগে ১ হাজার ২৮০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হলেও সেই কাগজ এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা। ৮০ গ্রাম কাগজের দাম ১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৪৫০ টাকা। গ্লোসারি ১০০ গ্রাম কাগজ আগে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত। আগে সুইটিজ বোর্ড ২০ থেকে ২১ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৩ টাকায়। এ ছাড়াও ডিলার পর্যায়ে প্রত্যেক টন কাগজে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বাড়তি। শুধু কাগজই নয়, এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সকল উপকরণের দামই বাড়তি। আগে ২ পাউন্ড কালি ৩৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৬০ টাকা। আগে ৫ লিটার কেরোসিনের দাম ৩২৯ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা। জেট অ্যামোইল আগে ৮৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। এ ছাড়াও এখন বইয়ের বাইন্ডিং খরচ আগে জ্যাকেট বাধাইয়ে ১৯ থেকে ২০ টাকা হলেও এখন তা নেওয়া হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা।

নগরীর নিউমার্কেট, ষষ্ঠিতলা, গোরহাঙ্গা ও আশেপাশের এলাকার প্রিন্টিং প্রেস কারখানাগুলো ঘুরে দেখা যায়, দিনের অধিকাংশ সময় বন্ধ রাখছেন কারখানা। যেসব প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রয়েছে সেখানেও শ্রমিকদের অলস সময় পার করতে দেখা যাচ্ছে।

নগরীর নিউ মার্কেট সুলতানাবাদ এলাকায় অবস্থিত রংধনু অফসেট প্রিন্টিং প্রেসের প্রোপ্রাইটর মো. তাজউল ইসলাম জানান, করোনাকালীন তিনি সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন। করোনার ক্ষত পুনর্গঠনের আগেই নতুন সংকটের মুখে পড়েছেন। এই শিল্পের উপকরণ একটি ব্লেড থেকে শুরু করে সকল কিছুর দাম বেড়েছে। এ কারণে নিয়মিত গ্রাহকরাও একান্ত জরুরি ছাড়া আসছেন না। আবার চাহিদা অনুযায়ী কাগজও পাওয়া যাচ্ছে না। এতে অধিকাংশ সময়ই কারখানা বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

রাজশাহীর পত্রিকাগুলোর দুরাবস্থার চিত্র তুলে ধরে দৈনিক সোনালি সংবাদের সম্পাদক লিয়াকত আলী জানান, পত্রিকা সাধারণত একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। বিজ্ঞাপন পত্রিকার আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। কিন্তু করোনার মধ্যে বিজ্ঞাপন ছিল না বললেই চলে। কোনো মতে তারা প্রতিষ্ঠানকে চালিয়ে যাচ্ছেন। রঙিন থেকে সাদাকালো করে পত্রিকা ছাপাতে হয়েছে। করোনা পরবর্তীতে যখন তারা কিছুটা এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন এর মধ্যে কাগজসহ অন্যান্য উপকরণের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির নতুন সংকট এসে পড়েছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে রাজশাহীর আঞ্চলিক প্রিন্ট পত্রিকাগুলো আর কতদিন টিকে থাকতে পারবে এটাই বড় প্রশ্ন তার কাছে।

এদিকে রাজশাহীতে এখনও প্রকাশনা ব্যবসা তেমন জমে উঠেনি। এখানে লেখকরা ব্যক্তিগত উদ্যোগেই বেশি বই ছাপান। এমন পরিস্থিতিতে তারাও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। আবার মফস্বল এলাকায় থেকে যারা রাজধানীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে চাচ্ছেন এমন উদীয়মান প্রতিষ্ঠানও মুখ থুবড়ে পড়েছে।

নগরীর সিঅ্যান্ডবি এলাকায় অবস্থিত স্ব-চিত্র প্রকাশনীর কর্ণধার ফাহমিদুর রহমান জানান, মফস্বল এলাকায় অবস্থান করে সৃজনশীল প্রকাশনী নিয়ে কাজ করা দুরুহ বিষয়। তবে তিনি রাজশাহী থেকে একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে সৃজনশীল প্রকাশনী নিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু করোনার পর আবারও নতুন সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন। আসন্ন জাতীয় বই মেলাকে সামনে রেখে মোট ২৭টি বই প্রকাশের পরিকল্পনা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতির শিকার হয়ে ৮টির বেশি পারছেন না। এতে তিনি আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি লেখকদের আগ্রহ কমছে। বইয়ের বিক্রিও কমেছে। সৃজনশীল বিকাশের পথও রুদ্ধ হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বাগতম নস্কার জানান, মুদ্রণ শিল্প করোনার মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকটের মধ্যে পড়েছিল। অনেকে এই সময় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। আর রাজশাহীর মতো জায়গায় ক্ষতির মুখেও তারা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কোনও রকমে টিকে আছেন। কিন্তু করোনা পরবর্তী বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও নতুন সংকটের মুখে পড়েছেন। কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা উর্ধ্বমুখি। আবার চাহিদা অনুযায়ী কাগজও পাওয়া যাচ্ছে না। কারখানাও অধিকাংশ সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে। সবমিলিয়ে দুরাবস্থার মধ্যে রয়েছেন তারা।

তিনি আরও জানান, রাজশাহীতে আগে মাসে ১৩-১৪টি ট্রাকে করে বসুন্ধরার কাগজ আসত সেখানে এখন আসে ৩-৪ ট্রাক। অন্য কোম্পানিগুলোর কাগজ সরবরাহ নেই বললেই চলে। এখন বসুন্ধরাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।

বসুন্ধরা গ্রুপের কাগজ বিক্রির জন্য রাজশাহীতে চারজন ডিলার রয়েছেন। এরমধ্যে একজন কামরুল ইসলাম। তিনি জানান, প্রতি মাসেই কাগজের দাম কিছু না কিছু বেড়েছে এটা সত্য। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে এমনটা হয়েছে। আর দাম বৃদ্ধির কারণে রাজশাহীতে চাহিদা কমেছে। তার নিজেরই একটা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান আছে। আগে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য যেখানে ১০ টন কাগজ লাগত। সেখানে তিনি ২ টনের কাজ করতে পারছেন।

Header Ad
Header Ad

বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন অনুষ্ঠিত বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, গত ১৫ বছরে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। এজন্য নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রার্থীদের, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এবং যারা অনিয়মে যুক্ত ছিল, তাদের তদন্ত করে বিচার করতে হবে।

রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে ফ্যাসিস্ট কাঠামোয় নিয়ে গেছে এবং মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে, যার দায় নির্বাচন কমিশনেরও রয়েছে।

বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—মনোনয়নপত্র জমা দিতে সশরীরে আসার বিধান প্রবর্তন, প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই-বাছাই করে সত্যতা নিরূপণ, নির্বাচনে সহিংসতা রোধে আচরণবিধি সংস্কার, ঋণখেলাপিদের প্রার্থিতা বাতিল, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র মনিটরিং করা।

এছাড়া একই নামে একাধিক দলের নিবন্ধন, অফিসবিহীন দলকে বৈধতা দেওয়া এবং এসব বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। এনসিপি মনে করে, এসব বাস্তবায়ন না হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন ও তাজনুভা জাবীন।

Header Ad
Header Ad

এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

ছবি: সংগৃহীত

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনেই দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসীরা ১৭১ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। ডলারপ্রতি ১২২ টাকা ধরে যার পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার ৯৬৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

রেমিট্যান্সের বড় একটি অংশ এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে—৯৮ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬৩ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো দিয়ে ৯ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

এর আগেও চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশে এক মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে—৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও যথাক্রমে ২১৯ কোটি ও ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা, ডলারের ভালো বিনিময় হার এবং রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে প্রবাসীদের বাড়তি পাঠানোর প্রবণতা—এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, এপ্রিল শেষে এই প্রবাহ ৩৫০ কোটি ডলারের বেশি হতে পারে, যা নতুন একটি রেকর্ড হবে।

Header Ad
Header Ad

দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত

আজ রবিবার দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের মধ্যাহ্ন বিরতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

কোনো ব্যক্তি যেন টানা দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হতে পারেন—এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও বিএনপি বলছে, জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে চিরতরে প্রধানমন্ত্রিত্বের পথ বন্ধ করা উচিত নয়।

রোববার (২০ এপ্রিল) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের মধ্যাহ্ন বিরতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “এক ব্যক্তি টানা দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না—এই প্রস্তাবে বিএনপি একমত। তবে দুই মেয়াদের পর যদি জনগণ আবারও কাউকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়, সেই সুযোগ রাখা উচিত। এক বছর বিরতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় কোনো বাধা থাকার কথা নয়।”

এ সময় তিনি আরও বলেন, “সাংবিধানিক সংস্কার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট। আমরা পঞ্চদশ সংশোধনীর পূর্বাবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার পক্ষে। তবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনের বিষয়টিতে বিএনপি একমত নয়। এতদিন পর রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনের যৌক্তিকতা আমরা দেখি না।”

তিনি জানান, মৌলিক অধিকার হিসেবে ইন্টারনেট অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবকে বিএনপি সমর্থন করছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “সব কিছু মৌলিক অধিকার না বানিয়ে, রাষ্ট্রের বাস্তব সামর্থ্য বিবেচনায় রেখে যা নিশ্চিত করা সম্ভব, সেটুকু করার আহ্বান জানিয়েছি।”

বৈঠকে বিএনপি প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিহউল্লাহ, সাবেক সচিব আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

অন্যদিকে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তার সঙ্গে ছিলেন সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

প্রসঙ্গত, বিএনপি গত বৃহস্পতিবারও ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন