সমাবেশের আগেই জয়পুরহাটে ৪৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকের এর আগেই জয়পুরহাটে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। জেলার তিন থানায় বিএনপির স্থানীয় নেতাদের আসামি করে গতকাল (২৭ নভেম্বর) রবিবার রাত পর্যন্ত ৩টি মামলা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, তিন উপজেলাতেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনা করায় গোপন বৈঠক করেছেন। তিন স্থান থেকেই ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। তাই এসব মামলা হয়েছে।
আর বিএনপি নেতাদের দাবি, জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদসহ জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য বিএনপি সারাদেশে সমাবেশ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহীতেও আগামী ৩ ডিসেম্বর গণসমাবেশের আয়োজন করা হবে। ওই সমাবেশে স্থানীয় নেতারা যাতে কর্মীদের সংগঠিত করে নিয়ে যেতে না পারেন, সেই জন্যই মামলাগুলো করা হচ্ছে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান বলেন, ‘নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগ এনে জেলার তিন থানায় সম্প্রতি তিনটি গায়েবি মামলা করেছে পুলিশ। এসব মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও প্রায় ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিবাদসহ জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ে বিএনপি আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে যে সমাবেশ করতে যাচ্ছে, তা বাধাগ্রস্ত ও পণ্ড করা।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি জয়পুরহাটের সদর, পাঁচবিবি ও কালাই থানায় বিএনপির স্থানীয় ৫০ জন নেতার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও প্রায় ৪০০ জন নেতা-কর্মীকে মামলার আসামি করা হয়েছে। সব মামলারই বাদী পুলিশ।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং জয়পুরহাট দুই আসনের সাবেক এমপি প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘রাজশাহীর সমাবেশ বানচালের উদ্দেশ্যে পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের ভয় দেখানোর জন্য তাদের নামে মিথ্যা মামলা করছে। কিন্তু এসব করে সমাবেশ বানচাল করা যাবে না। সব বাধা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেতা-কর্মীরা সমাবেশে উপস্থিত হবে বলে আমরা বিশ্বাসী।’
জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীরা নাশকতার চেষ্টা করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামতও সংগ্রহ করেছে। এটাই প্রকৃত ঘটনা। সে অনুযায়ীই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
এসএন
