বিএনপি-নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৪

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় শেখ রাসেল ক্লাব অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের ১৩ নেতাসহ অজ্ঞাত আরও ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই মামলায় যুবদল ও ছাত্রদলের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার নেতাকর্মীরা হলেন, উপজেলা পৌর যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য মো হাবিব ও সিদ্দিক হোসেন, উপজেলার উমার ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. রিপন এবং উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুমন রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ধামইরহাট উপজেলা সদরের টিএনটি মোড় এলাকায় ধামইরহাট শেখ রাসেল ক্লাবের সদস্য ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, ক্লাব ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে যুবদল ও ছাত্রদলের চার নেতাকে আটক করে।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ধামইরহাট শেখ রাসেল ক্লাবের সভাপতি ইনজামামুল হক সরকার বাদী হয়ে আটক চার নেতাসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের ১৩ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ২০ থেকে ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মল হক কাজী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গতকাল রাতে ধামইরহাট শেখ রাসেল ক্লাবের সদস্য ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও অগিসংযোগের ঘটনায় আজ সকালে একটি মামলা হয়েছে। গতকাল রাতে আটক চার ব্যক্তি এই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় তাঁদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে আজ দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ধামইরহাট পৌরসভার টিএনটি মোড় এলাকায় ধামইরহাট শেখ রাসেল ক্লাবে যুবলীগ নেতা ইনজামামুল হক সরকার ও শেখ রাসেল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী বসে রাজনৈতিক আলাপ করছিলেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অতর্কিত ধামইরহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক তৈহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তাদের হামলায় খেলনা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন কুমার আহত হন।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, সন্ত্রাসীরা ক্লাবের বেশ কিছু চেয়ার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। হামলা ও ভাঙচুর করে চলে যাওয়ার সময় ক্লাবের ভেতরে অগ্নি-সংযোগ ঘটায়। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দ্রুত আগুন নেভায়।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফেরদৌস খান বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিজেরাই নিজেদের অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে আমাদের নিরহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। এটা সম্পূর্ন সাজানো একটি ঘটনা। ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে নেতাকর্মীরা যাতে অংশ নিতে না পারে, সেই উদ্দেশ্যই আওয়ামী লীগ এই মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে।
এএজেড
