অপহরণ করে মেয়েদের সঙ্গে নগ্ন ছবি তুলে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ৪

নওগাঁয় সাধারণ মানুষকে অপহরণ করে মেয়েদের সঙ্গে নগ্ন ছবি তুলে মুক্তিপণ দাবি করতেন এমন ৪ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৫) জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা। এ সময় উদ্ধার করা হয় এক ভিকটিমকে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে র্যাব-৫ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে বুধবার (১৬ নভেম্বর) রাতে নওগাঁ শহরের পাটালির মোড় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-শহরের পাটালির মোড় এলাকায় আব্দুর রহিমের ছেলে দুলাল হোসেন (৩৮), লুৎফর রহমানের ছেলে ইমরান হোসেন হিরা (৩৬), সদর উপজেলার কাঠ খৈইর এলাকার তাহের আলীর ছেলে হুজুর আলী (৪০), হাট-নওগাঁ এলাকার আক্তারুল জামানের ছেলে মেহেদী হাসান রনি (২০)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার করা চারজন দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে অপহরণ করে দুলাল হোসেনের ভাড়া বাসায় আটকে রেখে বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে উলঙ্গ ছবি তুলে মুক্তিপণ দাবি ও আদায় করত। এই সিন্ডিকেটের সদস্য সংখ্যা ৮-১০ জন, যার নেতৃত্বে রয়েছেন দুলাল হোসেন।
এতে বলা হয়, বুধবার সকাল ১১টার দিকে ভিকটিম আব্দুস সামাদকে জমির কাগজ দেখানোর নাম করে দুলাল হোসেন ও হুজুর আলী ওরফে ভুনা উভয় মিলে অপহরণকারী দুলালের বাসায় নিয়ে আসে। এরপর ভিকটিমকে এক নারীর সঙ্গে উলঙ্গ ছবি তুলে ও ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া এবং ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজনের কাছে বিলিয়ে দেওয়ার নাম করে তার কাছে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর মুক্তিপণ হিসেবে ভিকটিম তার পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে অপহরণকারীদের প্রদান করে। পরবর্তীতে অপহরণকারীরা আরও ৭৫ হাজার টাকা দাবি করে এবং টাকা না দিলে অপহরণকারীকে দুলালের বাসায় আটকে রাখে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এমন সংবাদের ভিত্তিতে জয়পুরহাট র্যাব-৫ ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশন দল অভিযান চালিয়ে মূল হোতাসহ চার অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় ভিকটিমকে উদ্ধারসহ ভিকটিমের দেওয়া ৫০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসআইএইচ
