সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

রাজশাহী শিক্ষা দপ্তরের পরিচালকের শাস্তিতে বিক্ষোভ

রাজশাহীর আঞ্চলিক শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক ড. কামাল হোসেন ও সহকারী পরিচালক ড. আবু রেজার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অবিলম্বে অপসারণ ও বিভাগীয় শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার (৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় নগরীর আঞ্চলিক শিক্ষা ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী সমিতি ফেডারেশন রাজশাহী জেলা ও মহানগর শাখা। ফেডারেশনের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশার সভাপতিত্বে এই কর্মসূচিতে শতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, আঞ্চলিক শিক্ষা দপ্তরের এই দুই কর্মকর্তার দুর্নীতি আজ প্রমাণিত সত্য। একাধিক তদন্তে তাদের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তারা এখনও টিকে আছে। শিক্ষকদের অপমান, হেনস্থাকারী দুর্নীতিবাজ এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির দাবি জানান তারা।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, আঞ্চলিক শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক ড. কামাল হোসেনের অত্যাচারে সাধারণ শিক্ষকদের শিক্ষা ভবন থেকে কাঁদতে কাঁদতে বের হয়ে যেতে হয়েছে। ড. আবু রেজা দুর্নীতির মহানায়ক। সে এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষকদের ডেকে নিয়ে বলেন, আমি আপনাদের কাজ করে দিব। আর কাজ করে দিতে লাগবে টাকা। আজকে টাকা ছাড়া আঞ্চলিক শিক্ষা দপ্তরের কোন কাজ হয় না।

নওগাঁর একটি কলেজের ৬ জন শিক্ষককে নায্য অধিকার এই দুর্নীতি পরায়ণ কর্তারা দেন নি। পরে টাকা দিয়ে বিষয়টি রফাদফা হয়। বগুড়ার আদমদিঘি কলেজের অধ্যক্ষের এমপিও এর জন্য বিভিন্ন অজুহাতে তিন বার ঘুরানো হয়েছে। পরে টাকার বিনিময়ে কাজ হয়েছে। তারা ঘুষ-দুর্নীতি ছাড়া কিছু বোঝেন না।

বাদশা বলেন, এ ধরনের নোংরা বিষয় নিয়ে মাঠে নামতে হবে তা আমরা বুঝি নাই। এই দুই জন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা শিক্ষার জন্য কি এমন অপরিহার্য যে, তাদের ছাড়া আঞ্চলিক শিক্ষা দপ্তর চলবে না। সরকার শিক্ষার জন্য অনেক ভালো ভালো কাজ করেছে। কিন্তু এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জন্য সরকারের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। ভাবমূর্তি নষ্ট হচেছ।

লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে আঞ্চলিক শিক্ষা দপ্তরের এই দুই কর্মকর্তা টিকে আছে দাবি করে বাদশা বলেন, রাজশাহীর এমপিসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের এসব কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়ে বারবার জানানোর পরও শিক্ষক সমাজের ন্যায় সঙ্গত দাবি কেন বাস্তবায়ণ হয় না বুঝি না। আজকে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের তদন্তেও তাদের দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে।

আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে চাই। আমাদের দাবি না মানা হলে উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার শেষে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিকী ধর্মঘট, ধর্মঘটসহ আঞ্চলিক শিক্ষাভবনের অভ্যান্তরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার হুশিয়ারি দেয়া হয়। মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল আঞ্চলিক শিক্ষা ভবনের সামনে থেকে বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ রাজকুমার সরকার, অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাকসহ উপজেলা কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান মধু। এ বিষয়ে আঞ্চলিক শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক ড. কামাল হোসেন ও সহকারী পরিচালক ড. আবু রেজার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

আমাদের ব্যর্থতা আছে অস্বীকার করার উপায় নেই: আসিফ নজরুল

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, আমাদের ব্যর্থতা আছে, এটা অস্বীকার করার কোনো কারণ নাই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন যে আমাদের আত্মতুষ্টির সুযোগ নাই।

তবে আমাদের চেষ্টা আছে এবং আত্ম-জিজ্ঞাসা আছে। ব্যর্থতা উত্তরণের জন্য আমাদের প্রচণ্ড চেষ্টা আছে, তাড়না আছে। প্রত্যেকটা ব্যর্থতার ক্ষেত্রে প্রচণ্ড চেষ্টা আছে।

‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ বিষয়ক কর্মশালায় যোগদানের পূর্বে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন। আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর পিটিআই মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

এ সময় আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটা ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করছি; বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগ। সেখান থেকে দাঁড়াতে আমাদের সময় লাগছে।

তিনি আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির হাতে হাজার হাজার কোটি টাকা আছে, টাকা থাকলে এবং বদ মতলব থাকলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করা সম্ভব। সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করছেন এবং আমাদের কো-অর্ডিনেশন মিটিংয়েও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

চলমান বিচার পদ্ধতি নিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শক্ত প্রমাণ আছে তাদের বিরুদ্ধে যেন যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আর যারা নির্দোষ তাদের যেন অযথা হয়রানি করা না হয় সে বিষয়টিও সমন্বয় করে দেখার নির্দেশনা দেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

মিঠাপুকুরে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ

ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

রংপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মিঠাপুকুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী, ভূমিহীন সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেছেন।

আন্দোলনকারীরা মিঠাপুকুর উপজেলা চত্বর থেকে মিছিল সহ পদযাত্রা করে মিঠাপুকুর থানায় পৌঁছান এবং সেখান থেকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।

এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ধর্ষকের গ্রেফতার, সর্বোচ্চ শাস্তি এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকরের পাশাপাশি মিঠাপুকুর থানার বর্তমান ওসিকে অপসারণের দাবি জানান।

মিঠাপুকুর থানার বর্তমান ওসিকে অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

পরবর্তীতে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, যদি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষক গ্রেফতার না হয়, তবে আরও বড় ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন।

Header Ad
Header Ad

এবার মেহেদি হাসান ও বিপ্লব কুমার চাকরি থেকে বরখাস্ত

যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার ও ট্রাফিকের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদি হাসান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিএমপি) পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) বিপ্লব কুমার সরকার ও ডিএমপির ট্রাফিকের (দক্ষিণ) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদি হাসানকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে জারিকৃত সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণির সই করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড গোয়েন্দা-দক্ষিণ) বিপ্লব কুমার সরকার এবং ডিএমপির ট্রাফিকের (দক্ষিণ) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে মৌখিক বা লিখিতভাবে অবহিত না করে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

সেহেতু, বিপ্লব কুমার সরকার এবং এস এম মেহেদী হাসানকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ২ (চ) বিধি অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমাদের ব্যর্থতা আছে অস্বীকার করার উপায় নেই: আসিফ নজরুল
মিঠাপুকুরে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ
এবার মেহেদি হাসান ও বিপ্লব কুমার চাকরি থেকে বরখাস্ত
এমসি কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় জামায়াত আমিরের দায় স্বীকার  
লালমনিরহাটে জামাত-শিবিরের কলেজ দখলের চেষ্টা
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার  
এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাসা থেকে ঢাবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
চ্যানেল ‘চ্যানেল ওয়ান’ সম্প্রচারে বাধা নেই  
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভাঙার অভিযোগ  
‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে নিউজল্যান্ডের বিপক্ষে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ
আ:লীগ পাচার হওয়া অর্থ দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  
বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২০০ ভরি সোনা ছিনতাই    
চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা
সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার
নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল
দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা