বেড়েছে চাল ও তেলের দাম, সবজিতে স্বস্তি
জয়পুরহাটে চাল, ডাল, চিনি ও ভোজ্য তেলের বাজারে অস্বস্তি কাটেনি। তবে বর্তমানে অধিকাংশ সবজির দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এতে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তিও ফিরেছে। সরেজমিনে মাছুয়া বাজারের সবজি বিক্রেতা-মোন্তাজ আলী বলেন, সাতদিন আগে সবজির যে দাম ছিল, তা থেকে বর্তমানে সেগুলো দাম কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা কমেছে।
সাত দিন আগে প্রতি কেজি বেগুনের পাইকারি মূল্য ছিল ৪০ টাকা বর্তমানে ২৫ টাকা। প্রতি কেজি পোটল ছিল ৩০ টাকা বর্তমানে ১৫ টাকা। প্রতি কেজি করলা ছিল ৭০ টাকা বর্তমানে ৪৫ টাকা। প্রতি কেজি ঢেরস ছিল ৪০ টাকা বর্তমানে ৩০ টাকা। প্রতি কেজি শশা ছিল ৬০ টাকা বর্তমানে ৪৫ টাকা। প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ছিল ৪৫ টাকা বর্তমানে ৩৫ টাকা। প্রতি কেজি পেঁপে ছিল ২৫ টাকা বর্তমানে ১৫ টাকা।
প্রতি কেজি টমেটো ছিল ১২৫ টাকা বর্তমানে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি ঝিঙা ছিল ৩৫ টাকা বর্তমানে ২৫ টাকা। প্রতি কেজি ফুলকপি ছিল ৬০ টাকা বর্তমানেও ৫০ টাকা। প্রতি কেজি সিম ছিল ৯০ টাকা বর্তমানে ৬০ টাকা, প্রতি কেজি মুলা ছিল ২৫ টাকা বর্তমানে ১৫ টাকা, প্রতি কেজি আলু ছিল ৩০ টাকা বর্তমানে ২০ টাকা, প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ছিল ৪০ টাকা বর্তমানে ৩৫ টাকা।
প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ছিল ৬০ টাকা বর্তমানে ৪০ টাকা। প্রতি কেজি রসুন ছিল ৬০ টাকা বর্তমানেও ৬০ টাকা, প্রতি কেজি আদা ছিল ১৩০ টাকা বর্তমানেও ১৩০ টাকা, প্রতি কেজি পিঁয়াজ ছিল ৪৫ টাকা বর্তমানেও ৪৫ টাকা। আর প্রতি কেজি আটা বর্তমানে ৬৫ টাকা, চিনি ১০৫ টাকা; আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৬৫ টাকা, বোতলজাত সরিষা তেল ২৫০ টাকা, খোলা সরিষা তেল ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সাত দিন আগে প্রতি কেজি বেগুনের খুচরা মূল্য ছিল ৪০ টাকা, বর্তমানে ৩০ টাকা। পোটলের খুচরা মূল্য ছিল ৩৫ টাকা, বর্তমানে ২০ টাকা। করলার মূল্য ছিল ৬০ টাকা বর্তমানে ৫০ টাকা। ঢেরসের খুচরা মূল্য ছিল ৫০ টাকা বর্তমানে ৪০ টাকা। শশার খুচরা মূল্য ছিল ৮০ টাকা বর্তমানে ৬০ টাকা। মিষ্টি কুমড়ার খুচরা মূল্য ছিল ৪৫ টাকা বর্তমানে ৪০ টাকা। তবে কাচা মরিচ, রসুন এবং আদার খুচরা মূল্য সাত দিন আগে যা ছিল এখনও তাই আছে।
মাছুয়া বাজারের মসলা বিক্রেতা আসলাম প্রামাণিক বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন মসলার খুচরা মূল্য নিম্নরূপ- প্রতি কেজি জিরা ৪৬০ টাকা, প্রতি কেজি সাদা এলাচ ১ হাজার ৮০০ টাকা, প্রতি কেজি কালো এলাচ ১ হাজার ৫০ টাকা, প্রতি কেজি লবঙ্গ ১ হাজার ৪০০ টাকা, প্রতি কেজি দারুচিনি ৩২০ টাকা, প্রতি কেজি বস ৮০০ টাকা, প্রতি কেজি গোলমরিচ ৮০০ টাকা, প্রতি কেজি হলুদ ১৬০ টাকা, প্রতি কেজি গুড়া মরিচ ৪৫০ টাকা।
জয়পুরহাট জেলা শহরের শান্তিনগর মহল্লা থেকে মাছুয়া বাজারে সবজি কিনতে আসা ক্রেতা সানোয়ার বিশ্বাস বলেন, 'সাত দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি প্রতিটি সবজির দাম কিছুটা কমায় স্বস্ততে আছি। তবে আটা, চিনি এবং মসলার দামে বেসামাল অবস্থায় আছি।'
জয়পুরহাট জেলা কৃষি বিপণন বিভাগের মাঠ ও বাজার পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের সঙ্কটে কিছু কিছু পণ্যের সরবরাহ কমায়, বেশি চাহিদা থাকায় সেগুলোর দাম বেড়েছে। ব্যবসায়িদের সাথে কথা বলে এমনটাই জেনেছি। তবে পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার তৎপর। দ্রুত দাম কমবে বলে আশা করছি।'
এএজেড