সাড়ে ৩ মাস পর ‘ধর্ষককে’ দেখেই শিশুর অস্বাভাবিক আচরণ!

৪৫ বছর বয়সী দাদা ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলার এজাহারে। এরপর ঘটনা কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি দিয়ে শিশুর মুখ বন্ধ করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। এর সাড়ে তিন মাস পর ওই ব্যক্তিকে দেখে ভয়ে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে শিশুটি। অবশেষে ধরা পড়েন আব্দুস সালাম (৪৫) নামে ওই ব্যক্তি।
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার হিজলি দীঘা পাড়া গ্রামে বিয়ের দাওয়াত খেতে যায় ১০ বছর বয়সী ওই শিশু। সেখানেই ওই শিশুকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠে সালামের বিরুদ্ধে। পর কাউকে কিছু না বলতে শিশুকে শাসান তিনি। ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে ঢাকায় অবস্থান করেন সালাম। এদিকে ভয়ে শিশুটিও ওই ঘটনা কাউকে বলেনি। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৩ মাস পর ওই সালাম এলাকায় ফিরে আসেন। তাকে দেখেই ভয়ে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে ভুক্তভোগী শিশু। এক পর্যায়ে মা-কে সব খুলে বলে। ওই ঘটনায় মা বাদী হয়ে মামলা করলে সালামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকালে ওই আসামিকে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আব্দুস সালাম ওই গ্রামের রমজান খলিফার ছেলে।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম ও মামলার আইও এসআই হেলাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ১৩ জুলাই ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি ওই ধর্ষক এলাকায় ফিরলে রবিবার তাকে দেখতে পায় ওই শিশু। এসময় শিশুটি দৌড়ে এসে মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে। তাকে ঘুমিয়ে দিলে ঘুমের মধ্যেই ভয়ে চিৎকার আর কান্না শুরু করে। এক পর্যায়ে বিভিন্ন কথার পর কওমি মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই শিশু সব খুলে বলে। এরপর রবিবার রাতেই মামলা করেন শিশুর মা। সোমবার সকালে আসামিকে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।
এসএন
