ইউএনওর স্বামীকে মারধর, আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে ও নাতি গ্রেপ্তার
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্বামীকে মারধরের ঘটনায় সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম বুলুর ছেলে শামীম হোসেন ও তার ছেলে আলিফ হোসেন।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাত ৮টায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান।
সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদা পারভীন বলেন, শনিবার বিকাল ৫টায় সোনাতলা উপজেলা পরিষদ চত্বরের ব্যাটমিন্টন কোর্টে খেলাকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করেন সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম বুলুর ছেলে শামীম হোসেন। ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিলেন উপজেলা পরিষদের ড্রাইভার ফেরদৌস হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদা পারভীনের স্বামী সফটওয়্যার ডেভেলপার আলা আমিন সিকদার। এ সময় গালিগালাজের প্রতিবাদ করেন আলামিন সিকদার। তখন আলামিন সিকদারকে লাথি মারেন শামীম হোসেন। এতে চিকিৎসা জনিত কারণে আলামিন সিকদারের শরীরে লাগানো একটি স্ক্রু খুলে যায় এবং তিনি মারাত্মকভাবে আহত হয়।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ভারত থেকে আমার স্বামীর হার্টে অপারেশন করা হয়েছে। বুকের হাড়ে স্ক্রু বসানো আছে। আমার স্বামীর বুকের স্ক্রু ডিসপ্লেস হয়েছে। শামিম ও তার ছেলের হামলায় বুকের স্ক্রু সরে গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এদিকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন শামিমের বাবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাহবুব আলম বুলু। তিনি দাবি করেন, ইউএনওর স্বামীকে আমার ছেলে মারধর করেনি। একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। সন্ধ্যার আগে দিয়ে ইউএনও’র বাসভবনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আমার ছেলের সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। এতে ইউএনও’র স্বামী উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এই ধাক্কার জেরে আমার ছেলে-নাতিকে থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান বলেন, ‘মারধরের অভিযোগে শামীম হোসেন ও আলিফ হোসেন নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এসআইএইচ