রাবি শিক্ষার্থী মৃত্যু: ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘট অব্যাহত
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের শাস্তির আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে আন্দোলন থেকে সরে আসে শিক্ষার্থীরা। তবে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাক দেওয়া রামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা এখনো কাজে যোগ দেননি। ধর্মঘট পালন করছে তারা। এতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা৷
এর আগে দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে রাবি কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী মেডিকেল ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ আলোচনায় বসেন। দীর্ঘ আলোচনা শেষে রামেক হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আলোচনা সভায় তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ সময় প্রতিবেদন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরপরই শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে চলে গেছেন। তবে এখন পর্যন্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেননি। আমাদের কিছু সিনিয়র ডাক্তার দিয়ে এখন চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু রেখেছি। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে কাজে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গত বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে শিক্ষার্থী এমজিএম শাহরিয়ার আহত হন। পরে সহপাঠীরা তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হাসপাতালে নেওয়ার ৪০ মিনিট পর গুরুতর আহত রাবি শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর পরপরই ডাক্তারদের দুর্ব্যবহার, সেবা না পাওয়া ও সন্ত্রাসী আচরণের অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর করেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
নিহত শাহরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়। তিনি হবিবুর রহমান হলের ৩৫৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
এসআইএইচ