মূল্যবান মুদ্রা বিক্রির নামে প্রতারনা, আটক ৬
নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার দুরদুরিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে অতি মূল্যবান মুদ্রা বিক্রয়ের নামে প্রতারনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের লক্ষ টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারণা চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিপিসি-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প, র্যাব-৫ এর একদল সদস্য। র্যাব ৫ রাজশাহী কয়াম্পের অধিনায়ক লে.কর্ণেল রিয়াজ শাহরিয়ার বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া এলাকার আশরাফ আলীর ছেলে মোঃ আঃ আলিম (৩০), এছার উদ্দিন সরকারের ছেলে টিপু সুলতান (৪০), আব্দুল সামাদের ছেলে আব্দুল কাদের (৪৫), তজিমদ্দিনের ছেলে তারিক আলী (৪০), মফির উদ্দিনের ছেলে মোন্তাজ আলী (৪৪) এবং ওমর আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)।
র্যাব ৫ রাজশাহী কয়াম্পের অধিনায়ক লে.কর্ণেল রিয়াজ শাহরিয়ার জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১৮ অক্টোবর রাত ১৩ টায় দুরদুরিয়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ওই সময় জাল মুদ্রা-৪টি, চৌম্বক গ্যাস-২টি, মুদ্রা রাখার বাক্স-১টি, মিশ্রিত রাসায়নিক পদার্থ-৪ বোতল, গ্যাস সিলিন্ডার-১টি, এবং নগদ -৫ লাখ টাকা সহ ওই ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, মুদ্রা গুলো অনেক মূল্যবান এবং উচ্চ বিকিরণ জাতীয় পদার্থ। এর মূল্য বিশ্ব বাজারে অনেক বেশি -এমন নানান কথা বলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল তারা।
প্রতারণার কৌশল হিসেবে প্রথমে তারা সহজ সরল কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে তাদের সাথে একটি ভালো সম্পর্ক তৈরী করে তাদের বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জন করে এবং বিভিন্ন সময় নানা কৌশলে তাদের সাথে থাকা কয়েনের বিভিন্ন কৌশল দেখাতে থাকে।
এক পর্যায়ে সহজ সরল সাধারণ লোকজন তাদের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব অর্থ তাদের কাছে প্রদান করে। এক সময় প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এলাকা হতে উধাও হয়ে যেত।
তিনি আরো বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রতারক চক্রের ওই ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ঘটনায় নাটোর জেলার লালপুর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
এএজেড