সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

শিক্ষার্থীর তৈরি পকেট নেবুলাইজার, মিলবে ৫শ টাকায়!

নেবুলাইজার একটি বিশেষ ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাসের ডিভাইস বা যন্ত্র যা ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যা যেমন অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, সিস্টিক ফাইব্রোসিস ইত্যাদিতে কষ্ট পাওয়া রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সহযোগীতা করে। ফুসফুসে ওষুধ প্রয়োগের বহুল পরিচিত এই যন্ত্রটির দিয়ে তরল ওষুধকে সংকুচিত করে বায়ু বা অক্সিজেন দিয়ে স্প্রে বা অ্যারোসলে রূপান্তরিত করা হয়, যা খুব সহজেই নিঃশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসের শ্বাসনালী ও অ্যালভিউলিতে ঢুকে শ্বাসকষ্ট দূর করে।

এই যন্ত্রে ব্রঙ্কোডাইলেটার, স্টেরয়েড ও প্রিভেন্টিভ...এই তিন ধরনের ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। শ্বাসনালি ক্লিয়ার রাখতেই এর ব্যবহার। ওষুধ, স্টেরিলাইজড ওয়াটার ও অক্সিজেন একসঙ্গে ভেপার তৈরি করে। নেবুলাইজারের মাধ্যমে তা পৌঁছে যায় ফুসফুসে। ফলে ওষুধ খেলে কাজ শুরু করতে যা সময় নেয়, তার চেয়ে অনেক কম সময়েই কাজ শুরু করে নেবুলাইজার। এতে চিকিৎসা ত্বরান্বিত হয়ে রোগীর দ্রুত কষ্ট লাঘব হয়।

আমাদের দেশে যে নেবুলাইজার পাওয়া যায় তা বিদেশ থেকে আমদানী করা। এগুলোর বাজারমূল্য ৪-৫ হাজার টাকা। ফলে অনেকেই টাকার অভাবে কিনতে পারেননা ওই যন্ত্র। কিছু হলেই ছুটতে হয় হাসপাতাল বা ক্লিনিকে। তবে এবার এক ক্ষুদে শিক্ষার্থী তৈরী করেছেন ওই নেবুলাইজার। চলছে উন্নয়নের কাজ। কাজ শেষ হলে সহজেই মাত্র ৫০০ টাকায় কিনতে পারবেন যে কেউ।

ওই ক্ষুদে আবিস্কারকের নাম রাকেশ সাহা। তিনি নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার চাঁদপুর এলাকার রতন কুমার সাহা ও শিবানী রানী সাহার বড় ছেলে। তিনি স্থানীয় সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তরুণ উদ্ভাবক রাকেশ পড়ালেখার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন।

পারিবারিক জীবনে দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনিই বড়। ছোটভাই শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বাবা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। আর মা গৃহিনী। পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে কিনতে পারেননি কোন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ। তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার জন্য ব্যবহার করেন মিনি প্রসেসর আরডুইনো।

তিনি ইতোমধ্যেই চলতি বছর ৪৩ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল থেকে অংশগ্রহণ করে সিংড়া উপজেলা থেকে প্রথম স্থান, নাটোর জেলা থেকে দ্বিতীয় স্থান অর্জন সহ বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে অংশগ্রহণ করে সিংড়া উপজেলা থেকে "সেরা মেধাবী" শিক্ষার্থীর স্থান অর্জন করেছেন।

রাকেশ সাহা জানান, কিছুদিন হল কোন প্রতিযোগিতা না থাকায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু প্রজেক্ট তৈরীর চিন্তা ভাবনা করলাম। এরপর আমার মাথায় এলো নেবুলাইজার মেশিন এর কথা। করোনার সময় থেকে দেখা যাচ্ছে অনেক মানুষ শ্বাসকষ্টে মারা যাচ্ছে। হাসপাতালে নেওয়ার মতো সময় ও তাদের হচ্ছে না। ফলে শ্বাসকষ্টের রোগীরা ব্যক্তিগতভাবে নেবুলাইজার মেশিন কিনতে চাচ্ছেন এবং অনেকে কিনছেনও।

তবে নেবুলাইজার মেশিনগুলো আমাদের দেশে তৈরি নয়। আমাদের দেশে আমদানি করতে হয়। তাই এইসব নেবুলাইজার মেশিন এর দাম প্রত্যেকটি ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকা। যা অনেক ব্যয়বহুল। তাই সবার সামর্থ্যও হয় না একটা নেবুলাইজার মেশিন ব্যক্তিগত ভাবে কেনার। এই বিষয়টি নিয়ে দুইদিন যাবত রিসার্চ করলাম। গুগল ইউটিউব সব জায়গায় আমি এসব তথ্য খুঁজতে লাগলাম। কেউ কি সব থেকে ছোট নেবুলাইজার মেশিন বানিয়েছে? কেউ কি কম খরচে নেবুলাইজার মেশিন বানিয়েছে? Google, youtube উইকিপিডিয়া এসব জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করলাম।

এরপর সেদিনই সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমিই তৈরি করব পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট, পকেটে বহনযোগ্য এবং সাশ্রয়ী নেবুলাইজার মেশিন। আমি কাজ শুরু করে দিলাম। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করলাম। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুলো সাত দিনের মধ্যে পেয়ে গেলাম। কাজ শুরু করলাম একটা নেবুলাইজার মেশিন তৈরির। মাত্র তিনদিনের ভেতর আমার কাঙ্খিত যন্ত্রটি আবিষ্কার এ আমি সক্ষম হলাম।

তিনি আরো বলেন, আমার স্কুলের ফেরদৌস স্যারের সহযোগিতায় নেবুলাইজার মেশিনে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র সংগ্রহ করলাম। স্যার আমাকে দুইটা ঔষধের নাম লিখে দিলেন। আমি ঔষধ গুলো নিকটস্থ ফার্মেসী থেকে কিনে আনলাম। ঔষধ গুলো আমার তৈরি পকেট নেবুলাইজার মেশিনে দিলাম। এরপর আমি এটি নিজেই ব্যবহার করে দেখলাম।

তিনি দাবী করেন, আমি নিজেই একজন শ্বাসকষ্টের রোগী। গত কয়েক বছর যাবত এটার জন্য আমি কলকাতায় চিকিৎসা করছি। আমাকে ইনহেলার ব্যবহার করতে হয়। আমার ইনহেলার টা শেষ হয়ে যাওয়ায় একটি ব্যবহার করে আমি খুব ভালো ফল পাচ্ছি।

রাকেশ আরো বলেন, আমার তৈরি এই মিনি পকেট নেবুলাইজারটি বেশ কাজে দিচ্ছে। বড় বড় নেবুলাইজার মেশিনগুলো ব্যবহার করার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজন হয়।

এসব মেশিন থেকে অনেক শব্দ সৃষ্টি হয়। আমার তৈরি এই পকেট নেবুলাইজার মেশিনটি ছোট , দেখতে সুন্দর এবং পকেটে বহনযোগ্য। এমনকি এটি রিচার্জেবল হওয়ায় এটি ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের কোন প্রয়োজন নেই। আমার তৈরি এই পকেট নেবুলাইজার মেশিনটি বড় মেশিনের মত শব্দ সৃষ্টি হয় না।

এই পকেট নেবুলাইজার মেশিনটি তৈরি করতে আমার প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। ফলে এটি আমি অনেক কম খরচেই তৈরি করে সাধারণ মানুষের হাতে আমি পৌঁছে দিতে সক্ষম হব। তিনি বলেন, এটি অনেক কম দামে কিনতে পারবে সকলেই। এটা করা গেলে বড় বড় নেবুলাইজার মেশিনের আমদানি করতে হবে না।

এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে পকেট নেবুলাইজার মেশিনগুলো আমাদের দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করে আমাদের দেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করতে পারবো বলে আমি আশা করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ওই পকেট নেবুলাইজারে একটি ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছে। ওই ডিভাইসের মাধ্যমে উচ্চমাত্রার শব্দ কম্পন তৈরী করে এর মাধ্যমে নেবুলাইজারে সরবরাহ করা তরল ঔষধ বাষ্পে পরিণত হয়ে ফুসফুসে পৌছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান,তিনি ইতোমধ্যেই ওই নেবুলাইজার পরীক্ষার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ডাক্তারদের দেখিয়েছেন। ডাক্তাররা ওই নেবুলাইজারটির কার্যকারীতা বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে কিছু আপগ্রেড করতে বলেছেন। সেই কাজটিই এখন চলছে। তবে ওই নেবুলাইজার উৎপাদন ও বাজারজাত করতে অর্থনৈতিক সহযোগীতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি প্রয়োজন।

এজন্য তিনি তার শুভাকাঙ্খিসহ আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক,স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা কামনা করেন। সিংড়া দমদমা স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক আফছার আলী জানান,তিনি তার ওই ছাত্রের বিষয়ে জানেন। ওই কাজে সবসময়ই উৎসাহ দিয়েছেন দাবী করে বলেন, ওই ছাত্রর স্বপ্ন পূরণ ও নেবুলাইজারটি তৈরী ও বাজারজাত করতে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগীতা করবেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আমিনুল ইসলাম জানান,ওই নেবুলাইজারটি তিনি ছাড়াও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক ও আরএমও ডাক্তার শিবলী নোমানী পরীক্ষা করে কার্যকারীতা ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন।

তবে ওই নেবুলাইজারে এন--95 মাস্কের বদলে অন্য এক ধরণের মাস্ক ব্যবহার ও নেবুলাইজারটি কিছুটা আপগ্রেড করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে দাবী করে তিনি বলেন, ফুসফুসে সংক্রমণ হলে বা ওষুধ দিতে হলে নেবুলাইজারের মাধ্যমেই তা দেওয়া হয়ে থাকে। এতে কাজ হয় তাড়াতাড়ি। ওই শিক্ষার্থীকে ওই নেবুলাইজার তৈরীর অনুমোদনসহ সংশ্লিষ্ট সকল সহযোগীতা করা হবে এমন আশ্বাস দেন তিনি।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম কলেজ প্রাঙ্গণে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেরেবাংলা হলের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রদলের অন্তত চারজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রশিবির এ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন ওমর ফারুক সাগর, রেদোয়ান ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ কাইফ ও মোরশেদুল ইসলাম। তারা বর্তমানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ওমর ফারুক সাগর বলেন, “চট্টগ্রাম কলেজে আজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। আমন্ত্রণ পেয়ে আমরা সেখানে যাই। কিন্তু শেরেবাংলা হলের সামনে পৌঁছানোর পর ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা আচমকা আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘ছাত্রদল নেতা ফারুক চট্টগ্রাম কলেজে থাকতে পারবে না।’ এরপর আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।”

তিনি আরও বলেন, "হামলাকারীরা শিবির নেতা শামীম আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন কর্মী নিয়ে হামলায় অংশ নেয়। তারা আমাদের মারধর করে এবং কলেজে ছাত্রদলের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করার হুমকি দেয়। বিষয়টি আমরা চকবাজার থানার ওসি ও বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছি। তারা যে নির্দেশনা দেবেন, আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি তানভীর হোসেন জুয়েল। তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তাই আমরা কোনো গ্যাদারিং করিনি এবং কলেজের বাইরে সংগঠনের কার্যক্রম চালাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা দেখেছি, ছাত্রদল বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে ফরম বিতরণ করছিল। তাদের কোনো কলেজ ড্রেস বা আইডি কার্ড ছিল না। তখন কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের বাধা দেয় এবং জানায় যে এখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তখনই উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিন্তু এটি রাজনৈতিক হামলা নয়। যদি ছাত্রশিবির হামলা করত, তাহলে তাদের নাম ও পদ-পদবি প্রকাশ করা হোক।”

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমার কাছে বিচার দিয়েছে যে, তারা লিফলেট বিতরণ করার সময় কিছু ছেলে এসে তাদের টানাহেঁচড়া করেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি তাদের ডেকে জিজ্ঞাসা করেছি। তারা জানিয়েছে, বার্ষিক ক্রীড়ার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এসে জটলা করছিল এবং তারা বহিরাগত। এরপর আমি উভয়পক্ষকে কিছুক্ষণ কাউন্সেলিং করেছি।”

এই ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে পরবর্তী কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।

Header Ad
Header Ad

সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার

বিরাট কোহলি। ছবি: সংগৃহীত

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে জয় পেয়েছে ভারত। বিরাট কোহলির দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ২৪২ রানের লক্ষ্য সহজেই পার করেছে রোহিত শর্মার দল।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। ভারতীয় বোলারদের দাপটে ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি বাবর আজমের দল। সৌদ শাকিলের ৬২, মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৪২ এবং খুশদিল শাহের ৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান ২৪১ রান সংগ্রহ করে। ভারতের পক্ষে কুলদীপ যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া ও মোহাম্মদ শামির বোলিং ছিল প্রশংসনীয়।

২৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল ভালো শুরু করেন। উদ্বোধনী জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৩১ রান যোগ করেন তারা। তবে পঞ্চম ওভারে শাহিন আফ্রিদির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরে যান রোহিত শর্মা। এরপর ক্রিজে আসেন বিরাট কোহলি এবং শুবমান গিলের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। ৫২ বলে ৪৬ রান করে গিল আউট হলে কোহলির সঙ্গী হন শ্রেয়াস আইয়ার।

কোহলি ও আইয়ারের ১১৪ রানের জুটি ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন আইয়ার। তবে ৫৬ রানে খুশদিল শাহের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। অন্যদিকে কোহলি ছিলেন অবিচল। ৪২.৩ ওভারে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান। তিনি ১১১ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসে বাবর আজম ও ইমাম-উল-হক ধীরে শুরু করলেও বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। বাবর ২৬ বলে ২৩ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। অন্যদিকে রান আউট হয়ে ২৬ বলে মাত্র ১০ রান করে ফেরেন ইমাম। এরপর রিজওয়ান ও শাকিল ১০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে শক্ত অবস্থানে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে ৭৭ বলে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান।

রিজওয়ান ফিরে গেলে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে। ৬২ রান করে শাকিলও বিদায় নেন। এরপর শেষ দিকে খুশদিল শাহ ৩৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহ ২৪১ রানে নিয়ে যান। ভারতের বোলারদের মধ্যে কুলদীপ, শামি ও হার্দিক পান্ডিয়া গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন।

বিরাট কোহলির অসাধারণ ব্যাটিং ও দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল ভারত।

Header Ad
Header Ad

নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি এখনও পদত্যাগ করেননি। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, সন্ধ্যায় তার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, "আমি পদত্যাগ করিনি। যে খবর ছড়িয়েছে, সেটা গুজব।"

এর আগে, গত মঙ্গলবার নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন, উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ এবং নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদানের বিষয়ে তিনি সপ্তাহের শেষ দিকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা
সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার
নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল
দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২