সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রতিষ্ঠিত নারী উদ্যোক্তা শারীরিক প্রতিবন্ধী রেহেনা

শারীরিক প্রতীবন্ধকতা কোনো কাজের বাধা হতে পারে না। স্বপ্ন পূরণের জন্য চাই কঠোর পরিশ্রম, অধ্যাবসায় আর মনোবল। এগুলোর উপর আস্থা রেখেই অনেকেই পৃথিবী জয় করেছেন। যাদের জন্ম দুশ্চিন্তায় ফেলেছিল পরিবারকে। সমাজের একটি আলাদা অংশ ছিল যারা। বলছিলাম শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও যারা আজ সাধারণ মানুষের কাতারে সামিল হয়েছে নিজেদের যোগ্যতায়। নিজের চেষ্টা আর দৃঢ় মনোবল তাকে সাফল্যের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। বলছিলাম জয়পুরহাটের শারীরিক প্রতিবন্ধী রেহেনা আক্তারের কথা।

তিনি দারিদ্র্যের কষাঘাত আর শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে দাখিল পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে নতুন জামা বিক্রি করা স্বপ্ন বিলাসী সেই রেহেনা আক্তার দারিদ্রতা জয়ের এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শুধু এলাকায় নয় বরং দেশের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তার জীবন যুদ্ধের দীর্ঘ সংঘাত, দারিদ্র্যগ্রস্ত জীবন আর শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্বেও আজকের সফলতার কাহিনি শোনার জন্য সরেজমিনে কথা হয় জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শিবপুর চার মাথায় অবস্থিত তার সমন্বিত কৃষি খামারের ভিতরে অতিথিদের জন্য নির্মাণাধীন টিনের ছাউনি ঘরে।

শিবপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদ আকন্দের আট সন্তানের মধ্যে রেহেনা আক্তার পঞ্চম সন্তান। ১৯৮১ সালে তাঁর ছয় বছর বয়সে পোলিও রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ডান পা দিয়ে হাঁটতে হয় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কারণে গ্রামের পাড়াপ্রতিবেশি তো দূরের কথা, পরিবারের লোকই চাইতো না সে লেখাপড়া করুক। কিন্তু তাঁর শিক্ষার প্রতি প্রবল আগ্রহ, ইচ্ছাশক্তি সব বাধাকে পেছনে ফেলে তাকে এগিয়ে নিয়ে যায় অন্য এক আলোর ভুবনে।

তিনি দুই সন্তানের জননী তারঁ বড় ছেলে আব্দুর রহমান জয়পুরহাট সরকারি কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন ও তার ছোট ছেলে আব্দুর রহিমকে তিন বছর আগে নিজের কষ্টের উপার্জিত টাকা দিয়ে সৌদি আরবে পাঠিয়েছেন।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে রেহেনা আক্তার (৪১) ঢাকা প্রকাশকে বলেন, দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করার জন্য যে টাকার প্রয়োজন তা ধনী-গরীব, মধ্যবিত্ত, ব্যবসায়ী, সমাজপতির দ্বারে দ্বারে ধরনা দিয়েও সেই টাকার ব্যবস্থা করতে পারেননি, ফিরে আসতে হয়েছে চোখের জলকে সঙ্গে নিয়ে।

নিজের অনেক কষ্টের দ্বারা অর্জিত টাকা দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার পূর্বে কিনেছিলেন ৩০৫ টাকা দিয়ে নতুন জামা। শেষ সম্বল সেই জামা বিক্রি করে তার এক বান্ধবীর কাছে বিক্রি করে সেই যাত্রা কোনভাবে সক্ষম হয়েছিলেন প্রবেশপত্র হাতে নেবার ক্ষেত্রে। নিজ বাড়ি থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে পরীক্ষা কেন্দ্র হওয়ায় সেখানে অবস্থান করার জন্য বাড়তি খরচ মেটাতে ধার করা টাকা পরিশোধ করেছেন জাল বুনানো কাজসহ অন্যান্য হাতের কাজের পারিশ্রমিকের অর্থ দিয়ে।

বর্তমানে রেহেনা আক্তার একজন ফাজিল পাস নারী হলেও তার পড়াশোনার খরচসহ গোটা পরিবারের ভরণপোষণের অর্থের যোগান আসতো চাঁদের আলোয় বুনানো জাল বিক্রির টাকা, হাঁস-মুরগী পালন, হোমিও ওষুধ বিক্রি এবং হাতের কাজ করার অর্থ দিয়ে। ১৬ বছর বয়সে বিয়ে হয় একই গ্রামের তার চেয়ে তিন গুণেরও অধিক বয়সী আব্দুর রশিদ মোল্লার সঙ্গে।

এক আবেগঘন পর্যায়ে রেহেনা আক্তার দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ঢাকা প্রকাশকে বলেন, এ বিয়ে ছিলোনা তার জৈবিক চাহিদা কিংবা সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য। এটি ছিল কৈশোরকালীন স্বপ্ন পূরণের ভিত। পরিবার আর সমাজ থেকে নিগৃহীত জীবনের মাঝে থেকে একটা পরিচয়ের পরিচয় দেবার উপলক্ষ মাত্র।

বয়সের অধিক তারতম্য বিদ্যমান থাকায় স্বামীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ভ্রুকুটিকে আমলে না নিয়ে বেসরকারি সংস্থা টিএমএসএস থেকে ২০০৫ সালে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ১২টি সোনালি মুরগি দিয়ে ছোট পরিসরে খামার শুরু করলেও তা একসময় বড় আকার ধারণ করে।

খামারটি যখন স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে আলোর মুখ দেখাচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে ২০১১ সালে বার্ডফ্লু রোগে তার খামারের ১৩০০ মুরগি সবগুলো মারা যাওয়ার কারণে ৫ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হন। তবুও তিনি থেমে থাকেননি। মুরগি পালন ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে আবার ৯ টি হাঁস দিয়ে শুরু করেন হাঁস পালন। যা পরবর্তীতে ১৭০০ হাঁসে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও গড়ে তুলেছেন ৭-৮টি গরুর খামার ও প্রায় দুই শতাধিকের ওপর কবুতরের খামার।

রেহেনা আক্তার আরও বলেন, গত এক বছরে ডিম বিক্রি ছাড়াই সাড়ে ১৬০০ হাঁস বিক্রি করেছেন ৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকায়। একই বছরে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কেনা ৮টি ছোট আকারের গরু বিক্রি করেছেন ৩ লাখ টাকায়। বর্তমানে খামারে রয়েছে ছোট আকারের ৭টি গরু। তিন বছর আগে ৬টি কবুতর দিয়ে শুরু করা কবুতরের খামারে কবুতরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ শতেরও অধিক। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার স্থানীয় বাজারে ১৫-২০ জোড়া কবুতরের বাচ্চা বিক্রি করে আয় করেন ২৭০০-৩৬০০ টাকা। ইতিমধ্যে ১ হাজার হাঁসের বাচ্চার জন্য অর্ডার দিয়েছেন।

রেহেনা আক্তারের জীবনের বড় একটি সাফল্য সেই ৫ শতাংশের ছোট্ট কুটির থেকে এখন তার সম্পদ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৫ বিঘায় (৩৩ শতক প্রতি বিঘা)। ২০১০ সালে তার এই উদ্যমী কাজের জন্য সিটি ব্যাংক থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার পুরষ্কৃত অর্থ দিয়ে নির্মাণ করেছেন গরুর শেড, হাঁস-মুরগির শেড। এর মধ্যে ৯৯ বছর মেয়াদি সরকারি এক একর লিজ নেওয়া খাস জমি বাদে বাকি আড়াই বিঘা জমি তার জীবনের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে কেনা।

নিজ জায়গায় লাগিয়েছেন বিভিন্ন ফলের গাছসহ প্রায় ৩ শতাধিক কলার গাছ। মৎস্য ও হাঁস পালনের রয়েছে ১৫ শতাংশের একটি ছোট পুকুর। রেহেনা আক্তার শুধু আর্থিকভাবে সফলকাম হননি, বেড়েছে তার সামাজিক মর্যাদাও। জেলা ও উপজেলায় বিভিন্ন সভায় তাকে ডাকা হয় যা তার সামাজিক মর্যাদা এনে দিয়েছে বলে নিজেকে এখন গর্বিত মনে করেন।

জয়পুরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান ঢাকা প্রকাশকে বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী রেহেনা আক্তার একজন প্রতিষ্ঠিত নারী উদ্যোক্তা। তিনি সমস্ত প্রতিকূলতা জয় করে তার একক প্রচেষ্টায় সম্বনিত কৃষি খামার গড়ে তুলেছেন। প্রতিবন্ধী নারী হিসেবে নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য উৎকৃষ্ট উদাহরণ রেহেনা আক্তার। প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে করা হবে।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম কলেজ প্রাঙ্গণে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেরেবাংলা হলের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রদলের অন্তত চারজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রশিবির এ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন ওমর ফারুক সাগর, রেদোয়ান ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ কাইফ ও মোরশেদুল ইসলাম। তারা বর্তমানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ওমর ফারুক সাগর বলেন, “চট্টগ্রাম কলেজে আজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। আমন্ত্রণ পেয়ে আমরা সেখানে যাই। কিন্তু শেরেবাংলা হলের সামনে পৌঁছানোর পর ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা আচমকা আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘ছাত্রদল নেতা ফারুক চট্টগ্রাম কলেজে থাকতে পারবে না।’ এরপর আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।”

তিনি আরও বলেন, "হামলাকারীরা শিবির নেতা শামীম আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন কর্মী নিয়ে হামলায় অংশ নেয়। তারা আমাদের মারধর করে এবং কলেজে ছাত্রদলের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করার হুমকি দেয়। বিষয়টি আমরা চকবাজার থানার ওসি ও বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছি। তারা যে নির্দেশনা দেবেন, আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি তানভীর হোসেন জুয়েল। তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তাই আমরা কোনো গ্যাদারিং করিনি এবং কলেজের বাইরে সংগঠনের কার্যক্রম চালাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা দেখেছি, ছাত্রদল বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে ফরম বিতরণ করছিল। তাদের কোনো কলেজ ড্রেস বা আইডি কার্ড ছিল না। তখন কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের বাধা দেয় এবং জানায় যে এখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তখনই উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিন্তু এটি রাজনৈতিক হামলা নয়। যদি ছাত্রশিবির হামলা করত, তাহলে তাদের নাম ও পদ-পদবি প্রকাশ করা হোক।”

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমার কাছে বিচার দিয়েছে যে, তারা লিফলেট বিতরণ করার সময় কিছু ছেলে এসে তাদের টানাহেঁচড়া করেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি তাদের ডেকে জিজ্ঞাসা করেছি। তারা জানিয়েছে, বার্ষিক ক্রীড়ার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এসে জটলা করছিল এবং তারা বহিরাগত। এরপর আমি উভয়পক্ষকে কিছুক্ষণ কাউন্সেলিং করেছি।”

এই ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে পরবর্তী কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।

Header Ad
Header Ad

সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার

বিরাট কোহলি। ছবি: সংগৃহীত

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে জয় পেয়েছে ভারত। বিরাট কোহলির দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ২৪২ রানের লক্ষ্য সহজেই পার করেছে রোহিত শর্মার দল।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। ভারতীয় বোলারদের দাপটে ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি বাবর আজমের দল। সৌদ শাকিলের ৬২, মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৪২ এবং খুশদিল শাহের ৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান ২৪১ রান সংগ্রহ করে। ভারতের পক্ষে কুলদীপ যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া ও মোহাম্মদ শামির বোলিং ছিল প্রশংসনীয়।

২৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল ভালো শুরু করেন। উদ্বোধনী জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৩১ রান যোগ করেন তারা। তবে পঞ্চম ওভারে শাহিন আফ্রিদির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরে যান রোহিত শর্মা। এরপর ক্রিজে আসেন বিরাট কোহলি এবং শুবমান গিলের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। ৫২ বলে ৪৬ রান করে গিল আউট হলে কোহলির সঙ্গী হন শ্রেয়াস আইয়ার।

কোহলি ও আইয়ারের ১১৪ রানের জুটি ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন আইয়ার। তবে ৫৬ রানে খুশদিল শাহের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। অন্যদিকে কোহলি ছিলেন অবিচল। ৪২.৩ ওভারে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান। তিনি ১১১ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসে বাবর আজম ও ইমাম-উল-হক ধীরে শুরু করলেও বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। বাবর ২৬ বলে ২৩ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। অন্যদিকে রান আউট হয়ে ২৬ বলে মাত্র ১০ রান করে ফেরেন ইমাম। এরপর রিজওয়ান ও শাকিল ১০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে শক্ত অবস্থানে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে ৭৭ বলে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান।

রিজওয়ান ফিরে গেলে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে। ৬২ রান করে শাকিলও বিদায় নেন। এরপর শেষ দিকে খুশদিল শাহ ৩৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহ ২৪১ রানে নিয়ে যান। ভারতের বোলারদের মধ্যে কুলদীপ, শামি ও হার্দিক পান্ডিয়া গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন।

বিরাট কোহলির অসাধারণ ব্যাটিং ও দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল ভারত।

Header Ad
Header Ad

নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি এখনও পদত্যাগ করেননি। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, সন্ধ্যায় তার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, "আমি পদত্যাগ করিনি। যে খবর ছড়িয়েছে, সেটা গুজব।"

এর আগে, গত মঙ্গলবার নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন, উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ এবং নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদানের বিষয়ে তিনি সপ্তাহের শেষ দিকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা
সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার
নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল
দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২