নাটোরে পৃথক ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ৩ জনের মৃত্যু
নাটোরের সিংড়া ও সদর উপজেলা এলাকায় পৃথক ঘটনায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১২ অক্টোবর) রাতে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন-সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামের ওমর ফারুকের মেয়ে ও নুরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ফারজানা খাতুন,(১৮), একই উপজেলার শেরজোল ইউনিয়নের
নীলচড়া গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে সবির (৫৫) এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার পারকোল গ্রামের নাজমুল হোসেন (২৩)।
সিংড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান, কলম ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল হক চুনু ও নাটোর রেল স্টেশনের ইনচার্জ অশোক চক্রবর্তী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কলম ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল হক চুনু জানান, বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল ও কলেজে এসএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষে অটোভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিলেন ফারজানা। নুরপুর এলাকায় পৌঁছালে অটোভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এ সময় ওই ভ্যানের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন ফারজানা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে সন্ধ্যায় নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিংড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, শেরকোল ইউনিয়নের নীলচড়া গ্রামে পারিবারিক রাস্তায় চলাচল নিয়ে নিহতর ভাগ্নে ও ভাতিজার দ্বন্দ্ব চলছিল। বুধবার সন্ধ্যার পর ওই বিষয়ে কথা বলতে মামা সবিরকে বাড়িতে ডাকেন ভাগ্নে আশরাফুল। এ সময় ভাতিজা রহিমকে নিয়ে ভাগ্নের বাড়িতে যাওয়ার পর তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ভাগ্নে আশরাফুল ও ভগ্নিপতি বরকত সবির ও রহিমকে মারধর করতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই সবির মারা যায়। স্থানীয়রা আহত রহিমকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ওই ঘটনায় উত্তেজিত গ্রামবাসী আশরাফুল ও বরকতকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন।
নাটোর রেল স্টেশনের ইনচার্জ অশোক চক্রবর্তী জানান, বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে খুলনাগামী রকেট মেইল স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার পর স্টেশনের অদূরে রেলগেট সিগন্যাল এলাকায় ওই ট্রেনে কাটা পড়ে নাজমুল নামে একজনের মৃত্যু হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে অশোক চক্রবর্তী জানান,ধারণা করা হচ্ছে-নাজমূল আত্মহত্যা করতে পারে। বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাজমুলের স্ত্রী মেরিনা খাতুন জানান, প্রায় ৮-৯ মাস আগে থেকে নাজমুলের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। প্রায়ই সে এদিক-ওদিক চলে যেত। কিছুদিন আগে একবার বিষপান করে আত্মহত্যাও করতে গিয়ে বেঁচে যায় নাজমুল।
তিনি আরো জানান,মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার হালসা এলাকায় তার ভগ্নিপতির সঙ্গে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে যায় নাজমুল। রেল স্টেশন এলাকায় তার এক খালাতো বোনের বাড়িতে কয়েকদিন আগেই তাকে নিয়ে বেড়িয়ে আসেন। বুধবার সে কেন, কিভাবে ওই এলাকায় যায় বা ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয় তা তারা বুঝতে পারছেন না।
এসআইএইচ